Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 16 of 82

Author: Hasan

  • জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা

    জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা

    ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। সোমবার জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বাজেট প্রস্তাব করেন।

    বাজেট বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শীঘ্রই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

    তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

  • আশাশুনিতে বজ্রপাতে রাজমিস্ত্রী নিহত

    আশাশুনিতে বজ্রপাতে রাজমিস্ত্রী নিহত

    সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বজ্রপাতে বাবলু গাজী নামের এক রাজমিস্ত্রী নিহত হয়েছে। রোববার (১ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভাদ্রকাটি সরকারি পাইমারী স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন নামের এক যুবক আহত হয়।

    বজ্রপাতে নিহত বাবলু গাজী (৫৫) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত সাব্বির হোসেন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভাদ্রকাটি গ্রামের মুদি দোকানী মোস্তফার ছেলে। তাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানী মোস্তফা জানান, রাজমিস্ত্রী বাবলু গাজী প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভাদ্রকাটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের পাশে জনৈক আবুল কালাম সানার ঘরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। বিকালে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে মালামাল ভ্যানে উঠিয়ে নেওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি ভ্যান ডাকছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। বজ্রপাতের সময় দোকানের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তার ছেলে সাব্বির হোসেন আহত হয়। স্থানীয়ভাবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বর গোলাম রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত

    প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত

    সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত এল্লারচর সেতুটির এক পাশের অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। গত ১৮ মে রাতে সেতুটির দক্ষিণ পাশের এ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা এবং আশাশুনি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

    স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের বালিথা, এল্লারচর, শিমুলবাড়িয়া, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা, মেল্লেকপাড়া, বড়খামার, উমরাপাড়া, পৌরসভার কুখরালি, চালতেতলা, গড়েরকন্দা, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বিলশিমুলবাড়িয়া, চরবালিথা, শ্যামনগর, ঢালিরঘের, আন্দোলপোতা, শশাডাঙ্গা, গবরাখালি, টিকেট, পুঁটিমারি, রঘুনাথপুর এবং আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের সরাফপুর, হাজিপুর, বাউচাষ, শালখালি,বদরতলাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।

    স্থানীয়রা আরও জানান, এল্লারচর সেতু দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটির দক্ষিণ পাশের অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ার পর তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। মরিচ্চাপ নদী পারাপারে আশেপাশে বিকল্প কোন মাধ্যম না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারী-শিশুসহ সব বয়সের মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

    একই সাথে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুর ওপারে দেবহাটার অংশে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন চিংড়ি ও সবজি চাষিরা। যেকোন সময় সেতুটির দক্ষিণ পাশের এপ্রোচ রোডের সম্পূর্ণ অংশ ধ্বসে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের মেম্বর ও গণমাধ্যমকর্মী আরশাদ আলী সেতুটির অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় জনদুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ষাটের দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নদীতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। নদী শাসনের ফলে মরিচ্চাপ নদী মরা নদীতে পরিণত হয়। নদীর উপর নির্মাণ করা হয় এল্লারচর সেতু। এরপর দুই-তিন বছর আগে খনন করা হয় মরিচ্চাপ নদী। যদিও নদীটি খননের সময় আদি ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে খনন করা হয়নি। নদী খননের পর বর্তমানে জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় গত ১৫দিন আগে ১৮ মে রাতে এল্লারচর সেতুটির দক্ষিণ পাশের এপ্রোচ রোড সংযোগ সড়ক ধ্বসে পড়ে। এতে করে তিন উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে তারা ওই সেতু পার হয়ে চলাচল করছেন।

    তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে সড়কটি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ সোমবার (২ জুন) সকালে এল্লারচর সেতুটি পরিদর্শন করে জানান, সেতুটি অনেক পুরাতন। সেতুটির প্রশস্ততা নদীর চেয়ে কম। জোয়ার-ভাটার স্রোতের টানে হয়তো সেতুটির সংযোগ সড়ক ধ্বসে গিয়েছে। আপাতত সেতুর পাশে ব্লকদ্বারা সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ আপাতত চলাচল করতে পারে।

    তিনি আরও বলেন, সেতুটি পুনঃনির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর এল্লারচর এলাকায় একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।

  • সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ

    সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের একটি চালের আড়ৎ থেকে ৭৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) রাতে উপজেলার নূরনগর বাজারের পুরাতন মৎস্য আড়ৎ সংলগ্ন আল্লাহর দান চাউলের আড়ৎ থেকে এই চাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।

    খাদ্য অধিদপ্তরের মনোগ্রামযুক্ত সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে এসব চাল বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করেছিলেন নুরনগর বাজারের আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিক শাহিনুর রহমান বকুল। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাতের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালগুলো জব্দ করে। পরে জব্দকৃত চাল স্থানীয় কয়েকটি মাদরাসা ও এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।

    এছাড়াও এ ঘটনায় সরকারি চাল সংরক্ষণ ও বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিক শাহিনুর রহমান বকুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করা হয়।

    ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান বকুল সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের শোকর আলী গাজীর ছেলে।

    অবৈধভাবে সরকারি চাল মজুদকারী শাহিনুর রহমান বকুল বলেন, তিনি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর এলাকার ধান ব্যবসায়ী আবু মুসা ও জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৭৫ বস্তা সরকারি চাল (১২৫০ টাকা বস্তা দরে) ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকায় কিনেছিলাম। রাতে অভিযানে এসে এসিল্যান্ড চালগুলো জব্দ করে নিয়ে গেছে।

    তবে কাশিমাড়ি এলাকার ধান ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, নুরনগর বাজারের একটি চাউলের দোকানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাল মজুদ রয়েছে এমন সংবাদে সেখানে অভিযানে যাই। সেখানে গিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৭৫ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করি। যেহেতু আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিকের ৭৫ বস্তা সরকারি বস্তা পরিবর্তন করা চাল জব্দ করা হয়েছে সে কারণে তাকে জরিমানা করা হয়।

    এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চাল বাজারে বিক্রি করা বা ব্যক্তিমালিকানাধীন গুদামে মজুদ রাখা বেআইনি।

    অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রিফাতের সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শারিদ বিন শফিকসহ উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী ও শ্যামনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে স্থানীয় মনিরুজ্জামান, জোবায়ের, হাফিজুর রহমান ও তাহমিনুর রহমান এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা বের করতে তদন্তের দাবি জানান।

    এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?

    জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?

    সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবোধ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি জেলে কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারি চাল ইউনিয়ন পরিষদ বা নির্ধারিত গোডাউনে না রেখে নিজ বাড়িতে মজুত করেছেন এবং প্রত্যেক জেলে কার্ডধারীকে বরাদ্দের চেয়ে কম পরিমাণ চাল দিয়ে নগদ অর্থ আদায় করছেন।

    একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কার্ডধারী জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। তবে আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের জেলেদের কার্ডে বরাদ্দের চেয়ে প্রায় ২০ কেজি পরিমাণ চাল কম দেয়া হচ্ছে। আবার সরকারি এই চাল দেয়ার জন্য জেলেদের কাছ থেকে টাকাও নেয়া হচ্ছে।

    খাজরা ইউনিয়নের জেলেরা অভিযোগ করেছেন, খাজরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবোধ মণ্ডল তাদের জোরপূর্বক ৩১ থেকে ৩৪ কেজি চাল দিয়ে বাকি চাল নিজে রেখে দিচ্ছেন। এর বাইরে চাল পরিবহনের খরচ দেখিয়ে মাথাপিছু কিছু টাকাও আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

    খাজরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, সরকার আমাদের প্রতি মাসে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম করেছে। কিন্তু সভাপতি কম চাল দিচ্ছেন ও টাকাও নিচ্ছেন। আমরা এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি সুবোধ মণ্ডল বলেন, আমার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪০ জন জেলের চাল আমার বাড়িতে রাখা আছে। কারণ ইউনিয়নে রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে চাল বাড়িতে রেখেছি। এবার বাজেট কম আসায় ইউনিয়নের ৬৫১ জন কার্ডধারীকে ৩১ কেজি ৪০০ গ্রাম করে চাল দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি সবার জানা।

    তবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, চাল পরিবহনে কিছু খরচ হয়, সেটুকু সমন্বয়ের জন্য সামান্য টাকা নিয়েছি। এর বাইরে কোনো অনিয়ম হয়নি।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে আশাশুনি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার বলেন, আমরা স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

    বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৫৬ কেজি করেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম বিতরণের কোনো সুযোগ নেই।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সরকার প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে চাল বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এটি কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তির বাড়িতে রাখা বা ইচ্ছেমতো বিতরণের সুযোগ নেই। সরকারি নীতিমালার বাইরে গিয়ে চাল বিতরণ করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    এদিকে ইউনিয়নের সচেতন মহল ও ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক হিসাব অনুযায়ী চাল বিতরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, এভাবে যদি চাল কেটে দেওয়া হয় ও কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়, তাহলে প্রকৃত জেলে পরিবার তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

  • বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল

    বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল

    ২০২২ সালে এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙেছিল গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। চিকিৎসায় সুস্থ হলেও মাঝে মধ্যেই তাঁর পায়ে সমস্যা হতো। সেই পা নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংসটি খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। সেই পায়ের জন্য ৩৬ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান গতকাল ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ৫০ ওভারের ক্রিকেট ছাড়লেও টি২০ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।

    ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ২৯১ রান তাড়া করতে গিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৯১ রানে ৭ উইকেট পতনের পর মনে হচ্ছিল বড় পরাজয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে অসিরা। সেই পরিস্থিতি থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। একে তো দুর্ঘটনা থেকে সেরে ওঠা পা, তার ওপর ক্র্যাম্প! উইকেটে দাঁড়াতেই পারছিলেন না তিনি। প্রতিটি শটের পর তাঁর মাংসপেশিতে টান লাগত। অসহ্য ব্যথা, তীব্র যন্ত্রণায় মাটিতে শুয়ে পড়তে বাধ্য হতেন তিনি।

    ওই অবস্থায় ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। একা হাতে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। ২০২ রানের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে কামিন্সের অবদান কেবল ১২ রান। এই ইনিংসকে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা না বলে উপায় আছে!

    অনেকের মতে, ওই জয়ের স্পিরিটেই ফাইনালে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া। কাকতালীয়ভাবে ফাইনালে জয়সূচক রানটি এসেছিল ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকেই। দুটি বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা ১৩ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন।

    ‘ফাইনাল ওয়ার্ড পডকাস্ট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, এই শারীরিক অবস্থায় আমার জন্য দল পিছিয়ে পড়ছে। আমি তাঁকে (বেইলি) বলেছি, আমার মনে হয় না আমি সেই (২০২৭) বিশ্বকাপ খেলতে পারব। এখন সময় হয়েছে আমার জায়গায় নতুন কাউকে সুযোগ দেওয়ার। যেন সে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পায়।’

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই স্টিভ স্মিথ ও মার্কাস স্টয়নিস ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। ১৪৯টি ওয়ানডে খেলা ম্যাক্সওয়েলও তাদের পথেই হাঁটলেন। ২০১২ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া এই তারকা ব্যাট হাতে ৩৯৯০ রান করার পাশাপাশি অফস্পিনে ৭৭টি উইকেটও নিয়েছেন।

  • জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

    জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

    জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না- এ কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, জুলাই সনদ ঘোষণার আগে যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়, তাহলে সংস্কারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেরিয়ে এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

    জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানিয়েছি, ১৬ বছর আমরা অপেক্ষা করেছি, এরপর ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে চাই এবং সরকারকে সময় দিতে চাই সব রাজনৈতিক দল মিলে। দুই মাসের মধ্যে আমাদের জুলাই সনদ, যেখানে জনগণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ শাসনের রূপরেখা, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা দেখতে পারবে। সেই জুলাই সনদ হওয়ার পরে সরকার যাতে নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে, সে আহ্বান আমরা জানিয়েছি। জুলাই সনদ হওয়ার পরে আমরা আমাদের দলীয় মন্তব্য জানাব যে আমরা কখন নির্বাচন চাচ্ছি।’

    নির্বাচন কমিশন এখন যে প্রক্রিয়ায় চলছে, তার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন নাহিদ ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার। নির্বাচন–সংক্রান্ত ও নির্বাচন কমিশন–সংক্রান্ত যে আইনগুলো রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি।’

    জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে তিনটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান নাহিদ ইসলাম। বিষয়গুলো হলো, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকার যে জুলাই সনদ ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলেছিল, সেটির অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যাতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হয়, সে আহ্বান জানিয়েছেন।

    ‘কারণ, আমরা এর আগেও দেখেছিলাম, জানুয়ারি মাসে একটা ডেট দেওয়া হয়েছিল, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবার যাতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না হয়। জুলাই মাসের মধ্যে সবার সাক্ষ্য নিয়ে জুলাই সনদ যাতে কার্যকর করা হয়, সে বিষয়ে দাবি জানিয়েছি,’ বলেন তিনি।

    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস; জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

  • জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

    জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যেটুকুই আলাপ ছিল, দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্বকে ঘুচিয়ে এনে যাতে জুলাই সনদের বর্তমানে যত ঐকমত্যের বিষয় আছে, তার সঙ্গে আরও কিছু যোগ করতে পারি। দেখতে সুন্দর লাগবে, জাতীয় একটা সনদ হলো, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি, গর্বিত জাতি হিসেবে আমরা যাতে দাঁড়াতে পারি। আমরা তো বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনীতি সৃষ্টি করিনি। আমরা সৃষ্টি করেছি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য, দেশের উন্নতির জন্য। দেশের মঙ্গলের জন্য। সোমবার (২ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

    ড. ইউনূস বলেন, আমি সারা দিন যত মিটিং করি, সব থেকে আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে এরকম বসে আলাপে। কারণ এখানেই সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরণ জাগায়, এরকম একটা কাজে আমি নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছি। শুধু আপনাদের কথা শোনার জন্য এটাকে আপনারা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সংস্কার করার জন্য। আমরা তো বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে শুরু করবো। প্রথমেই নানা আলাপের মধ্যে ঠিক হলো, আমরা কিছু কমিশন করে দেই। তারা প্রকৃতপক্ষে ভেতরে গিয়ে জিনিসটা তৈরি করবে। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, শেষ পর্যন্ত আমরা লোক জোগাড় করলাম।
    প্রথমে ছয়টি, পরবর্তী সময়ে আরও ছয়টি কমিশন করা হলো। দ্রুতগতিতে কাজ করার জন্য তাদের ৯০ দিন সময় দিয়েছিলাম। তারা করতে পেরেছে, কয়েকটা কমিশন বেশি সময় নিয়েছে, তাতে অসুবিধা নেই। কমিশনের রিপোর্ট আসার পর এখন আমরা যে ঐকমত্য গঠন করতে চাচ্ছি, এটা কীভাবে হবে। সেখান থেকে আইডিয়া হলো আলাদা একটা কমিশন করি। আমি কমিশনের সঙ্গে যখনই বৈঠক করি, আমাকে জানানো হয় আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই, যেভাবে আপনারা সহযোগিতা করেছেন, কারণ আমার মনে হয়েছিল কারও আগ্রহ হবে, পাশ কাটিয়ে যাবে। আমি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি, কত গভীরভাবে আপনারা এর ভেতরে গিয়েছেন।

    তিনি বলেন, এরকম আগ্রহ নিয়ে যদি আমরা নিজে থেকে বসি তাহলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু আসবে। আজকে প্রথম পর্ব শেষ হলো, সেটাও আনন্দের দিন। সবাই কোন বিষয়ে একমত হলাম, সেসব মিলিয়ে সবাই মিলে আমরা জুলাই সনদ করবো। এটি আমাদের লক্ষ্য। এটি ছিল প্রথম পর্বে, দ্বিতীয় পর্বে তাহলে কী হবে। অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আমরা কাছাকাছি এসেছি, আরেকটু একমত হলে আমাদের তালিকাটি আরেকটু সুপারিশযুক্ত হয়। এই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।

  • দেবহাটায় ছাত্রীদের ইভটিজিং, সাজা প্রদান

    দেবহাটায় ছাত্রীদের ইভটিজিং, সাজা প্রদান

    দেবহাটায় ছাত্রীদের ইভটিজিং এর দায়ে ১ ইভটিজারকে আটক করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের সাজা প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান। জানা গেছে, উপজেলার চকমোহাম্মাদালীপুর গ্রামের মৃত শাহাদাত হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলামের ঈদগাহ বাজারে ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকান আছে। সে ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন সময়ে ইভটিজিং করতো। বিষয়টি গত কয়েকদিন যাবৎ একাধিক শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদেরকে জানাই। পরে অভিভাবক ও শিক্ষকরা প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে জানালে সোমবার ২ জুন সকাল ১১টার দিকে শাহিনুরকে পুলিশ আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত শাহিনুরকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের দন্ড প্রদান করেন। পুলিশ আসামীকে আটক করে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরন করেছে।

  • তালায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ও সমাধানের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা

    তালায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ও সমাধানের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা

    তালা প্রতিনিধি
    সোমবার (২ জুন) সকালে তালার শাহাপুর উইমেন জব ক্রিয়েশন সেন্টার অফিসে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ও সমাধানের করনীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উইমেন জব ক্রিয়েশন সেন্টারের স্কোপ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোঃ রাসেল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উইমেন জব ক্রিয়েশন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন্নাহার আশা। অধ্যাপক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাছুম বিল্লাহ,  সমাজসেবা অফিসার মনোজ কান্তি রায়, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশুতোষ কুমার বিশ^াস, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু, ভূমিজ ফউন্ডেশন পরিচালক অধ্যাপক অচিন্ত্য সাহা, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উত্তরণ কর্মকর্তা শেখ সেলিম আক্তার স্বপন, দিলীপ কুমার সানা, পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, সাংবাদিক গাজী জাহিদুর রহমান,  নারী সংগঠক গুলশানারা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য রাশেদ সানা, কৃষক তফেজ আলী, মোবারক হোসেন, শিক্ষক রুহুল আমিন, জেসমিন খাতুন, মানছুরা খাতুন, রেবেকা খাতুন, টুম্পা খাতুন, মোঃ আফজাল হোসেন প্রমুখ।
    সভায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয় এবং সমস্যা সমাধানের উপর নানাবিধ আলোচনা হয়। এছাড়া বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমসহ সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
  • সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী মাজেদ গংয়ের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে গ্রামবাসীর রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী মাজেদ গংয়ের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে গ্রামবাসীর রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামের আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করার মানসে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যে মামলা দিয়ে ব্রজবাকসা ও রঘুনাথপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী মিস্টার এই অভিযোগ করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইরি মৌসুমে তিন গ্রামের অধিবাসীরা ২টি গভীর নলকূপের পানি সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে থাকেন। ডিপ পরিচালনার নিয়ম হলো একজন ব্যক্তি কয়েক বছর একাধারে ডিপের সেচ পরিচালনা করতে পারবে না। এলাকার মানুষের দাবী ডিপ নিয়ম অনুসারে চলবে। কিন্তু আব্দুল মাজেদ এই নিয়ম মানতে নারাজ। সে অর্থ এবং গায়ের জোরে তার পোষ্য লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ২টি গভীর নলকূপ ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে গেল মৌসুমে সেচের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হয়। যার ফলে তিন গ্রামের মানুষ আর্থিকভাবে দারুন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এঘটনায় এলাকার জনগণ কোর্টে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭৩/২৫ এবং ৭৪/২৫। যেটা চলমান।
    জুলফিকার আলী মিস্টার আরো বলেন, এঘটনার জের ধরে আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসীদের নামে চাঁদাবাজী, ছিনতাই সহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই। এই সুযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক-শ্রেণির তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক তদন্ত না করে মাজেদের অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে এলাকাবাসীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে চলেছে। আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে শরিফুল ইসলামের দৌরাত্ম ও টাকার অহংকারের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মাজেদ এবং তার ছেলের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। থানার তদন্ত কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
    তিনি আরো বলেন, মাজেদ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে সি আর ৬/২৪, কলারোয়া, সি.আর ৩১/২৫, কলারোয়া, সি আর ২৬/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ২০৯৮/২৪, পিটিশন ৩৭৬/২৫, পিটিশন ১৭৮/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ১৭৯/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ৮৯০/২৪, সহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলা করেছে। প্রতিটি মামলায় এলাকা থেকে ২০/২৫ জন ব্যক্তিদেরকে আসামী করা হয়েছে। তার মিথ্যে মামলা থেকে এলাকার বৃদ্ধ মানুষেরাও রেহাই পায়নি। এলাকার মানুষ সন্ত্রাসী, গডফাদার, ভূমিদস্যু ও চোরাকারবারী মাজেদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে চায়।
    তিনি চোরাকারবারী মাজেদ ও তার ছেলের হাত থেকে এলাকাবাসীর নিষ্কৃতির দাবিতে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • আশাশুনি সরকারি কলেজে  অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি সরকারি কলেজে অভিভাবক সমাবেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় কলেজ মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আলোচনা রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অবঃ প্রফেসর এম এম রিয়াজ উদ্দীন, সমাবেশের আহবায়ক মেজর মোঃ এছহাক আলী, আশাশুনি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ছহিল উদ্দীন, প্রভাষক সজল কুমার আঢ্য, প্রভাষক রবিউল ইসলাম,  অভিভাবকদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম, ইয়াহিয়া ইকবাল, মোশাররফ হোসেন, নিখিল মন্ডল ও শিপ্রা মন্ডল। সংগীত পরিবেশন করেন, শিক্ষার্থী সুতপা মন্ডল। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, প্রভাষক আছমাতুল্লাহ ও গীতা থেকে পাঠ করেন, প্রভাষক নিলেন্দু মুখার্জী। সবশেষে প্রশ্নোক্তর পর্বে অভিভাকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন এবং কলেজকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ উন্নত করতে পরিকল্পনা ও প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
  • আশাশুনিতে মানব পাচার প্রতিরোধে ইন্টারেক্টিভ ডায়লগ মিটিং অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে মানব পাচার প্রতিরোধে ইন্টারেক্টিভ ডায়লগ মিটিং অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে মানব পাচার প্রতিরোধে ইন্টারেক্টিভ ডায়লগ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ জুন) সকাল ১০ টায় আশাশুনি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আশ্বাস প্রকল্পের সাতক্ষীরা জেলার প্রোগ্রাম অফিসার দিপ্তি রায়। তিনি প্রকল্পের কার্যক্রম আলোচনা ও সারভাইভারদের সুরক্ষায় সরকারী বেসরকারী সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় মানব পাচার রোধে করণীয় বিষয়ে সরকারি দপ্তরগুলো থেকে তাদের কার্যক্রম ও সেবা প্রদান বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা  যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাস, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আশাশুনি থানার  সাব ইন্সপেক্টর মোঃ ফিরোজ আলম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার বর্মন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুক। এ সময় সাতক্ষীরা জেলার সিটি আই পি সদস্য মনিরুজ্জামান টিটু ও আসমাউল হুসনা মানব পাচার রোধে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন ও সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
  • আশাশুনি ও শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট সভা 

    আশাশুনি ও শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট সভা 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এ বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় ওয়াটার এইড বাংলাদেশ ও সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় রূপান্তরের গোফর ইম্প্যাক্ট প্রজেক্ট এর মাধ্যমে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট সভা শেষে শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায়। শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, স্ট্যান্ডিং কমিটি, ইউ ডিসিসি কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি বৃন্দ ও রূপান্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মিনহাজুল হক এবং সৌমিক দত্ত, পরিষদের সচিব মোঃ খাইরুল ইসলাম প্রমোখ।
  • ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব

    ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব

    সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদনের অভিযোগে ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামক একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব-৬।
    মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুতের প্রমাণ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কারখানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: পলাশ আহমেদ।
    এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‍্যাব-৬ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহিন উদ্দীন মো: জিয়াদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
    র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, কারখানাটিতে নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। মিষ্টির উপকরণ ও তৈরি পণ্যের আশপাশে সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। এতে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির আশঙ্কা দেখা দেয়।
    অভিযান শেষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্রুত পরিষ্কার করে মানসম্মত খাদ্যপণ্য উৎপাদনের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি সাংবাদিক দের আরো জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
  • দেখে নিন ঈদের দিন আপনার এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে কিনা

    দেখে নিন ঈদের দিন আপনার এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে কিনা

    আগামী ৭ জুন ২০২৫, ঈদের দিন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (BMD) পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    নিচে বিভাগভিত্তিক সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের তথ্য দেওয়া হলো:

    বিভাগ সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের মাত্রা
    রংপুর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি
    ময়মনসিংহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি
    সিলেট হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি
    রাজশাহী হালকা বৃষ্টি
    ঢাকা হালকা বৃষ্টি
    খুলনা হালকা বৃষ্টি
    বরিশাল হালকা বৃষ্টি
    চট্টগ্রাম হালকা বৃষ্টি

     

    উল্লেখ্য, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই অঞ্চলে ৭ জুন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। অন্যদিকে, অন্যান্য বিভাগে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিনে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। অন্যদিকে, খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগে ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ থেকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    সুতরাং, ঈদের দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    বি.দ্র: উক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরিকৃত সুতরাং নিয়মিত আপডেট জানতে ফলো করুন : https://www.facebook.com/dmnews.sat/

  • পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটে যেসব পরিবর্তন আসছে

    পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটে যেসব পরিবর্তন আসছে

    ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলে গেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে, তা স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী একটি বাজেট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—এটি হবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় ছোট এবং সংসদের বাইরে ঘোষণা করা হবে।

    অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রণীত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বাজেটের মূল লক্ষ্য হবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্বল্প আয়ের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া।

    সাংবিধানিক কাঠামোর ব্যত্যয় এবং সংসদ না থাকায় এবার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। ফলে আসন্ন বাজেটটি সরকারি টেলিভিশন বিটিভিসহ বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে সম্প্রচার করা হবে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ সোমবার বিকেল ৪টায় জাতির উদ্দেশে বাজেট বক্তব্য দেবেন।

    রাজস্ব ও ব্যয়ের খসড়া চিত্র

    • মোট আয়: ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
    • এনবিআর থেকে: ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি
    • এনবিআর বহির্ভূত: ১৯ হাজার কোটি
    • কর বহির্ভূত আয়: ৪৬ হাজার কোটি
    • অনুন্নয়ন ব্যয়: ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ কোটি
    • উন্নয়ন ব্যয় (এডিপি): ২ লাখ ৩ হাজার কোটি
    • বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

    এই ঘাটতি মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে।

    মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা

    • মূল্যস্ফীতি: ৬.৫ শতাংশে সীমিত রাখার লক্ষ্য
    • জিডিপি প্রবৃদ্ধি: ৫.৫ শতাংশ

    সামাজিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান
    বাজেট পরিকল্পনায় গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট সংস্কার, নির্মাণ কাজে জোর দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরির কথা বলা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানা গেছে।

    মতামত চাওয়া হবে নাগরিকদের কাছ থেকে
    এই ব্যতিক্রমী বাজেট ঘোষণার পর অর্থ মন্ত্রণালয় নাগরিকদের কাছে মতামত চাইবে, যা যাচাই-বাছাই করে ২৩ জুনের পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। সেখানে অনুমোদিত বাজেট রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর করা হবে।

  • নতুন নোট বিতরণ শুরু

    নতুন নোট বিতরণ শুরু

    জুলাই বিপ্লবের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাড়া নতুন নোট বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বিতরণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস।

    আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ সকল শাখা অফিস থেকে সীমিত পরিসরে মিলবে নতুন নোট। এছাড়া ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকেও টাকা বিতরণ করা হবে। নতুন ডিজাইনের নোটের পাশাপাশি প্রচলনে থাকা অন্য সব নোট চলবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসের বাইরে আজ যে ১০টি ব্যাংকে টাকা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, পূবালী, উত্তরা, ডাচ্-বাংলা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ও ব্র্যাক ব্যাংক। এসব ব্যাংকের লোকাল অফিসকে টাকা দেওয়া হয়েছে।