Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 14 of 82

Author: Hasan

  • বেনাপোলে ৯ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ১ 

    বেনাপোলে ৯ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ১ 

    যশোরের বেনাপোলে অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ ২০ হাজার জাল টাকার নোটসহ চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

    শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমড়াখালি চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে জাল টাকার চালান আটক করা হয়।আটক জাল টাকা চক্রের সদস্য হলেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের ইছাহাক আলীর ছেলে খালিদ হোসেন (১৭)।

    বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে বেনাপোল থেকে জাল টাকা সরবরাহকারী চক্রের এক সদস্য বিপুল পরিমাণ জাল টাকা নিয়ে যশোরের দিকে যাবে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে আমড়াখালী চেকপোস্টে কর্মরত নায়েব সুবেদার মোঃ শফিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে বিজিবির টহলদল একটি ইজিবাইক থেকে সন্দেহভাজন এক যুবককে নামিয়ে তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের ভিতর থেকে ৯২০ পিস এক হাজার টাকা নোটের জাল টাকা পাওয়া যায়। এ সময় জাল নোটসহ এক যুবককে আটক করা হয়।

    যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জাল টাকা সহ এক যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,মামলা দিয়ে উদ্ধারকৃত জাল টাকাসহ আটক যুবককে শার্শা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

  • ইনকোর্স পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ না পেলে ফরম পূরণ নয় : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

    ইনকোর্স পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ না পেলে ফরম পূরণ নয় : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইনকোর্স পরীক্ষায় ৪০ শতাংশের কম নম্বর পেলে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করতে পারবে না। একই সঙ্গে ৬০ শতাংশের কম ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি মিলবে না। শিক্ষা কার্যক্রমের গুণগত মান বাড়ানো, শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করা এবং ইনকোর্স পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে নতুন এসব নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইনকোর্স পরীক্ষার নিয়ম আগে থেকেই চালু থাকলেও অনেক জায়গায় তা কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল না। কিছু শিক্ষক অতিরিক্ত নম্বর দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ অপ্রয়োজনীয়ভাবে কম নম্বর দিচ্ছেন—এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এবার ইনকোর্সে অংশগ্রহণ, নম্বর প্রদান ও উপস্থিতির বিষয়ে কঠোর নীতিমালা চালু করা হয়েছে।

    নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, চার ক্রেডিটের তত্ত্বীয় কোর্সে ইনকোর্স পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১৫ নম্বর থাকবে, যার মধ্যে ৬ নম্বর পেলেই পাস ধরা হবে। তিন ও দুই ক্রেডিটের কোর্সে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ২৫ ও ৭ দশমিক ৫ নম্বর থাকবে, পাস নম্বর যথাক্রমে ৪ দশমিক ৫ ও ৩। আর প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের জন্য নম্বর আরও চার ক্রেডিটের কোর্সে সর্বোচ্চ ২০ নম্বর, যেখানে পাস করতে পেতে হবে অন্তত ৮ নম্বর।

    এছাড়া শুধু ইনকোর্স পরীক্ষায় পাস করলেই হবে না, ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্ধারিত ক্রেডিট অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশের নিচে থাকবে, তারা কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। ৮০ শতাংশের বেশি উপস্থিত থাকলে সর্বোচ্চ উপস্থিতির নম্বর পাওয়া যাবে। উপস্থিতির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার জন্যও আলাদা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি কোর্সের জন্য বর্ষভিত্তিক দুটি ইনকোর্স পরীক্ষা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সিলেবাসের আলোকে পরীক্ষা নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন এবং গড় নম্বর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এন্ট্রি করতে হবে। এরপর হার্ড কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকোর্স মনিটরিং সেলে পাঠাতে হবে।

    নতুন এই নির্দেশনা আগামী অনার্স ২য় বর্ষ পরীক্ষা-২০২৪, ডিগ্রি পাস ১ম বর্ষ পরীক্ষা-২০২৪, মাস্টার্স শেষ বর্ষ পরীক্ষা-২০২৩ এবং প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স পরীক্ষা-২০২৩ থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।

  • মরিয়ম খেজুরে সাফল্য কালিগঞ্জের কৃষক শোকর আলীর

    মরিয়ম খেজুরে সাফল্য কালিগঞ্জের কৃষক শোকর আলীর

    সা।তক্ষীরায় মরিয়ম খেজুর চাষে সাফল্য পেয়েছেন কালিগঞ্জের কৃষক শোকর আলী। ফলে দেশের মাটিতে মরিয়ম খেজুর চাষে খুলতে পারে সম্ভাবনার দ্বার। এক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছেন বিদেশের মাটিতে খেজুর চাষে অভিজ্ঞতা অর্জনকারি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কৃষক শোকর আলী। তার মাধ্যমে এলাকায় এখন মরিয়ম খেজুর চাষের সম্প্রসারণ হচ্ছে।

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের নরহরকাটি গ্রামের এই কৃষক বাহরাইনে খেজুর বাগানে শ্রম দিয়ে অর্জন করেন বাস্তব জ্ঞান। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশে ফিরে নিজের এলাকায় গড়ে তুলেছেন উন্নত জাতের খেজুরের নার্সারি। যা এখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষিতে এক নতুন সম্ভাবনার নাম।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে জীবিকার তাগিদে বাহরাইন যান শোকর আলী। সেখানে খেজুর বাগানে কাজ করতেন তিনি। ২০২১ সালে দেশে ফেরার সময় সঙ্গে এনেছিলেন উন্নত জাতের প্রায় ৫০টি খেজুরের বীজ।

    নিজের বাড়ির আঙিনায় সেই বীজ রোপণ করেন তিনি। তা থেকে বের হয় চারা। পরে তার দুই ছেলের একজনকে পাঠান বাহরাইন ও অন্যজনকে সৌদি আরবে। পরে তাদের মাধ্যমে আরও উচ্চফলনশীল জাতের বীজ সংগ্র্রহ করে নার্সারি পরিপূর্ণ করে তোলেন। বর্তমানে তার নার্সারিতে ১০-১২ হাজার খেজুর চারা রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু গাছে ফল আসতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় খেজুর।

    কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসিম উদ্দিন জানান, শোকর আলীর নার্সারিতে ইতিমধ্যে উন্নত জাতের কিছু গাছে ফলন দেখা দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। উপকূলীয় মাটি ও জলবায়ু বিবেচনায় পরীক্ষামূলক চাষ সফল হলে বড় পরিসরে সম্প্রসারণ করা সম্ভব। একই উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের শফিউল্লাহও সৌদি খেজুরের বীজ থেকে নিজের চিংড়িঘেরের বাঁধে খেজুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

    সাতক্ষীরা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি ও পানির বৈশিষ্ট্য স্থানভেদে ভিন্ন। তবে খেজুর একটি তুলনামূলকভাবে খরা ও লবণাক্ততা সহনশীল ফসল। তাই পরীক্ষামূলকভাবে ছোট পরিসরে বিভিন্ন এলাকায় খেজুর চাষ করে উপযোগিতা যাচাই করা যেতে পারে। যদি এসব পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়, তবে পরিকল্পিতভাবে বড় পরিসরে খেজুর চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব।
    বাংলাদেশে প্রতিবছর রমজানসহ অন্যান্য সময়ে কয়েক হাজার মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করতে হয়। দেশেই উন্নত জাতের খেজুর উৎপাদন শুরু হলে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে, বাড়বে কৃষকের আয়। বিশেষ করে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের লবনাক্ত জমিতে খরা সহনশীল খেজুর চাষ নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে। একজন প্রবাসী শ্রমিকের দূরদর্শী চিন্তা আর সাহসী প্রয়াস এখন দেশের কৃষি উন্নয়নে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। প্রয়োজন শুধু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি বিভাগ ও সরকারের যথাযথ সহায়তা। শোকর আলীর এই সবুজ স্বপ্ন বদলে দিতে পাওে উপকূলীয় কৃষির ভবিষ্যৎ।

  • ঢামেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

    ঢামেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্র-ছাত্রীদের রোববার (২২ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পেশাগত ও এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবেন।

    শনিবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ অনুষ্ঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

    উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মিলন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

    তাদের দাবির মধ্যে ছিল—

    •  পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ছাত্রাবাসের বিকল্প ব্যবস্থা।
    • নতুন ছাত্রাবাস ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পাস।
    • শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, দাবিগুলো মানা না হলে তারা নিজেরাই একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন। তবে তার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজ বন্ধের ঘোষণা এলো।

  • সাতক্ষীরায় জাতীয় ফল মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

    সাতক্ষীরায় জাতীয় ফল মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

    দেশী ফল বেশী খাই আসুন ফলের গাছ লাগাই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) বিকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরার সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ।
    ফল মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হর্টিকালচার সেন্টার সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সহকারি উপপরিচালক কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনার সাইন্টিফিক অফিসার মিলন কবির ও সাইন্টিফিক অফিসার মশিউর রহমান প্রমুখ।
    পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-পূর্বে অতিথিবৃন্দ ফল মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থী, পৌর ও সদর উপজেলার মানুষের মাঝে কাটিমন আমের চারা বিতরণ করা হয়। এসময় উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ও কৃষক কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।
    সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার প্লাবনী সরকার।

  • তালায় ছাত্রদলের উদ্দ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

    তালায় ছাত্রদলের উদ্দ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

    তালা :
    সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
    বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ঘোষনা করেন। তার নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ১৫ দিন ব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচী গ্রহণ করে।
    শুক্রবার (২০ জুন) তালা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তালা উপ-শহরের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপন করা হয়। এই কর্মসূচী সফল করতে সার্বিক সহযোগীতা করেন ছাত্রদল কর্মী হাসিবুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান আকাশ।
    তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোয়ার্দ্দার ফারুক হোসেন, তালা সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিপন ইসলাম, তাল সরকারী কলেজের নব গঠিত কমিটির সভাপতি সোহাগ হাসান সাগর, সাধারণ সম্পাদক নাঈম রিয়াদ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রনেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • খলিল ছিলো বিএনপির নিবেদিত প্রাণ, অকুতভয় সংগঠক- সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    তালা :
    তালা উপজেলা বিএনপির একনিষ্ট কর্মী, ত্যাগী, নির্লোভ, সৎ , রাজপথের লড়াকু সৈনিক প্রয়াত মোঃ খলিলুর রহমানের পরিবারের সাথে স্বাক্ষাৎ করছেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
    শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় তালা উপজেলার মহান্দী গ্রামে প্রয়াত খলিলুর রহমানের পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত করেন তিনি। তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, ভাই সহ পরিবারের সকলের সাথে কথা বলেন, পরিবারের খোঁজ খবর নেন। এসময় খলিলুর রহমানের একমাত্র পুত্র সীমান্তর লেখাপড়ার সহ সকল দ্বায়দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
    হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, খলিল ছিলো শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। সে শুধু মাত্র রাজনীতি করার জন্য, কলেজে ছাত্র রাজনীতি করার জন্য ৮ বার এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়। দলের দূর্দিনে প্রতিটি দলীয় কর্মসূচীতে সে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছে। তার রাজনৈতিক জীবনে কোনো অন্যায় অপরাধের সাথে নিজেকে জড়ায়নি। তার একটি মাত্র ছেলে খুব অসহায় অবস্থায় আছে। আজ থেকে আমি তার লেখাপড়া সহ সকল দ্বায়দ্বায়িত্ব নিলাম। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তাকে যেন বেহেশত নসিব করেন।
    তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাঃ মোশারাফ হোসেন, বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন, মোঃ আছিরুদ্দীন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান, উপজেলা যুব দলের সভাপতি মীর্জা আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, আনিসুজ্জামান, তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোয়ার্দ্দার ফারুক হোসেন, স্বেচ্ছা সেবকদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবুল কালাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান শত শত বিএনপির নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন সকাল ১০ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

  • উপকূলের গ্রামীণ নারীরা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে

    উপকূলের গ্রামীণ নারীরা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে

    সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ঘটছে। জলবায়ূ পরিবর্তন এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরা জেলায় জলবদ্ধতা, লবণাক্ততা, বন্যাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে এলাকার মানুষ বিশেষ করে উপকূলের গ্রামীণ নারীরা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১০ টায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো সাতক্ষীরা ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে অনুষ্ঠিত এক এডভোকেসি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

    সভায় বক্তারা বলেন, প্রায় প্রতিবছর কোন না কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল। সিডোর, আইলা, আম্পান ইয়াস, রিমাল তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ। এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে সমস্যা বাড়ায় কৃষি, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ, অবকাঠামো, পানি পয়ঃনিস্কাসন, স্বাস্থ্য খাত এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা বিরূপভাবে প্রভাবিত হয়। এসব প্রতিকূল প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ে নেওয়ার মত সক্ষমতা বা দক্ষতা এখন ও গড়ে উঠেনি।
    এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী করা। স্থানীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিসেবা নিশ্চিত করা। আশ্রয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় করা এবং জরুরী পরিস্থিতিতে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাস করা।

    সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ। অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.শাহিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন ঢালি, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ইপিআই) শেখ মহিবুর রহমান প্রমুখ।

    সভায় কার্যক্রমের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদ্জুজামান (তহিদ)। এসময় আরো বক্তব্য প্রদান করেন, প্রান্তিক যুব সংঘের সদস্য ইমতি জামিল, স্বপ্নচূড়া যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন, ইয়ূথ এ্যালায়েন্সের সভাপতি মুশফিকুর রহমান, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক।

    সভায় আরো উপস্থিতি ছিলেন, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলকাস আলি, ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল (ওসিসি) সাতক্ষীরা সদর হাসপতাল আব্দুল হাই সিদ্দিকী। গাভা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঈমাম মাহবুবুর রহমান, মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী, জিডিএফ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, নূনগোলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার এবিএম হাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক ও যুব সদস্যববৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানিটি সঞ্চালনা করেন যুব সদস্য সাকিব হাসান।

  • সাতক্ষীরার ৪৭ কলেজে একযোগে ছাত্রদল! ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা কলেজেও কমিটি

    সাতক্ষীরার ৪৭ কলেজে একযোগে ছাত্রদল! ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা কলেজেও কমিটি

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজসহ জেলায় অবস্থিত ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একসাথে ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গঠন করা হলো ছাত্রদলের কমিটি। এই কলেজের রাজনৈতিক অঙ্গনে এটিই ছাত্রদলের প্রথম সাংগঠনিক উপস্থিতি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে এসব কমিটি ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। নবগঠিত সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের আহ্ববায়ক কমিটিতে আহ্ববায়ক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন আইরিন আমিন এবং সদস্য সচিব হয়েছে করিমন নেছা শান্তা। অপরদিকে নবগঠিত সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদল কমিটিতে সভাপতি মাসুদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ শাহাজুদ্দীন। একইসঙ্গে অনুমোদন দেওয়া অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজ, সাতক্ষীরা দিবা নৈশ্য কলেজ, সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রসা, সাতক্ষীরা শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ সাতক্ষীরা, ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ, সীমান্ত আদর্শ কলেজ (সাতক্ষীরা সদর), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহমেদ রবি আদর্শ কলেজ, সাতক্ষীরা আহসানিয়া মিশন মাদ্রাসা।

  • ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

    ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

    আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ১০ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব অথবা পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এ ছাড়া আবহাওয়ার সতর্কবাতায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিসহ দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

  • জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে  বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিনিধিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এ সময়
    অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিনিধিরা
     রেড ক্রিসেন্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে   জেলা প্রশাসকের  সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
    সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন, সেক্রেটারি তাসকিন আহমেদ চিশতী, সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, আবুল হাসান আল হাদী, আবু জাহিদ ডাবলু,, ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, প্রমুখ।
  • ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

    ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

    ইরানের আহমেদাবাদের কাছে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায় (শহীদ আহমাদি রোশন পারমাণবিক স্থাপনা) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী বুধবার রাতে ইরানের নাতাঞ্জ শহরে একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতো। খবর-বিবিসি

    ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, এই স্থাপনায় এমন বিশেষ যন্ত্রাংশ ও উপকরণ রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয়। সেখানে এমন প্রকল্প চলছে যা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

    ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে নাতাঞ্জে এর আগেও হামলা হয়েছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রথম দিকে ১৪ জুন সেখানে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই সময় ইরানে ইসরায়েলের হামলায় বেশ কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল নিহত হন।

    তবে ইরান নিশ্চিত করেছে যে, নাতানজ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের ভূমির ওপরের অংশগুলো ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ‘অপরিবর্তিত রয়েছে।

    আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, ইরানের ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে থাকা সেন্ট্রিফিউজগুলো পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও সম্ভবত ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’। ইসরায়েলের গত শুক্রবারের হামলার পর এ কথা জানান তিনি।

    ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান সম্প্রতি তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদকে ‘অস্ত্র তৈরির পথে’ নিয়ে যাচ্ছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন বা পারমাণবিক বোমা দুটোর জন্যই ব্যবহৃত হতে পারে।

    রোববার, ইরান আবার জানিয়েছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের জন্য। ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ৩৫ জাতির বোর্ডকে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

    তেহরান থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নাতাঞ্জ ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে ২০২১ সালের এপ্রিলে এবার হামলা হয়েছিল। এটি বাংকারযুক্ত একটি স্থাপনা। ২০০২ সালে কেন্দ্রটির কথা প্রথম প্রকাশ পায়। এই স্থাপনার দুটি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে প্রায় ৭০টি সেন্ট্রিফিউজের সারি আছে।

  • সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত

    সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত

    সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৩০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একটানা বর্ষণের ফলে জেলার শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছোট ব্যবসায়ীরা।
    বুধবার (১৮ জুন) সকালেও জেলার বেশ কিছু এলাকায় পানি জমে রাস্তাঘাট ও বাজারে চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
    সদর উপজেলা, বাঁকাল, কাটিয়া, মুনজিতপুর, তালা ও কলারোয়ার কিছু অংশে বাসাবাড়ির সামনে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও ড্রেন উপচে পানি রাস্তায় উঠে এসেছে।
    জেলার কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা রাশেদা খাতুন বলেন, ‘বাসার সামনে রাস্তায় হাঁটুপানি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। বৃষ্টির পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেই। দুই দিনের বৃষ্টিতে তাই এই অবস্থা।
    একই চিত্র দেখা গেছে বুধহাটায় বাজারের দোকানি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির পানি জমে দোকানে ঢুকে পড়েছে। বিক্রিও বন্ধ, লোকজন আসছে না।’
    ইজিবাইক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছি না। বের হলেও ভাড়া নেই, লোকজন ঘরেই বসে আছে।’
    আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, “গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।”
    বৃষ্টির কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একদিকে কাজ নেই, অন্যদিকে বাড়ির সামনেই জমে থাকা পানি চলাচলও কঠিন করে তুলেছে।

  • সাতক্ষীরায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান

    সাতক্ষীরায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান

    মশাল ডেস্ক, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এই ধাপে জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মোঃ মাহফুজার রহমান (৬১)। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান কলেজ এলাকা সংলগ্ন বাসিন্দা।
    বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার পর তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে তাকে একই হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মাহফুজার রহমানই এবারের নতুন করোনা ঢেউয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রথম পজেটিভ রোগী।
    স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন জানিয়েছে, রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে এবং তার এলাকার আশপাশে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
  • খানা-খন্দে ভরা নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, জলাবদ্ধতায় নরকযন্ত্রণা

    খানা-খন্দে ভরা নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, জলাবদ্ধতায় নরকযন্ত্রণা

     সড়কটি যেন আর সড়ক নয়, এক ভয়ঙ্কর মৃত্যু ফাঁদ। নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগআঁচড়া সাতমাইল বাজার থেকে বেলতলা আমবাজার পর্যন্ত অংশজুড়ে যেন ভয়াল বিভীষিকা। খানাখন্দে পরিপূর্ণ এই সড়ক প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে জনজীবনের স্বাভাবিকতা। ভোগান্তির যেন শেষ নেই। জলাবদ্ধতা, কর্দমাক্ত গর্ত, যানজট ও দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।

    সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাগআঁচড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। জিরো পয়েন্ট মোড়ে বড় বড় গর্তের কারণে বাজারে আসা মানুষজন পড়ছেন চরম বিড়ম্বনায়। বর্ষায় এই গর্তগুলোতে জমে থাকা পানি ও কাদামাটি রাস্তার চেহারাই পাল্টে দিয়েছে—দেখলে মনে হয় যেন শহরের বুকে গজিয়ে ওঠা বিশাল পুকুর!

    মাত্র দুইদিনের বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি! স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের এই করুণ দশায় একটি মাঝারি বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাজুড়ে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। বিশেষ করে সাতমাইল থেকে বেলতলা পর্যন্ত বাজার এলাকায় কোথাও কোথাও পথচারীরা ঠিক করে বুঝতেও পারেন না, তারা হাঁটছেন গর্তে না সমতলে! দোকানপাটে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে, কেউ কেউ কাঁধে করে শিশু বা বই-খাতা বাঁচিয়ে রাস্তা পার হন। জলাবদ্ধতায় মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যান প্রায়শই বিকল হয়ে পড়ে থাকে, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই মনে হয় নদী বয়ে যাচ্ছে, মানুষ পড়ছে, পণ্য নষ্ট হচ্ছে, আমাদের জীবনই যেন থেমে যায়।”

    সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে জেগে উঠেছে গভীর গর্ত। যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার লাখো মানুষ চলাচলের একমাত্র ভরসা এই মহাসড়কটি এখন যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজগামী হাজারো শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ নিত্য ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

    বাগআঁচড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিশা খাতুন বলেন,“প্রতিদিন প্রায় ২ কিমি পথ হেঁটে কলেজে যাই। আগে যেখানে ২০ মিনিটে পৌঁছাতাম, এখন সেখানে লাগে এক ঘণ্টা। ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারি না। বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে সঠিক সময়ে পৌঁছানো দুঃস্বপ্নের মতো। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুতি—দয়া করে এই সড়কের দিকে নজর দিন।”

    একই কথা বললেন স্থানীয় ভ্যানচালক আয়ুব আলী মুন্সি। তিনি বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী বহন করি। গর্তে পড়ে ভ্যান উল্টে প্রতিদিনই কেউ না কেউ আহত হচ্ছে। অথচ সড়ক বিভাগের কেউ নেই দেখার!”

    বাগআঁচড়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, “বাজারের মূল স্থানে গর্তে জমে থাকা পানিতে গাড়িগুলো একে অপরকে ওভারটেক করতে গিয়ে যানজট তৈরি করছে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে রীতিমতো পানিতে ডুবে যায় পথচারীরা। বহু মোটরসাইকেল উল্টে আহত হয়েছে। ভারী ট্রাকগুলো বিকল হয়ে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকে বাজারের মাঝখানে।”

    স্থানীয় যুবক জয়নাল আবেদিন বলেন, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের উপকরণ এবং সংস্কারের দীর্ঘসূত্রতা এ দুরবস্থার প্রধান কারণ। মাঝে মাঝে লোক দেখানো মেরামত করা হলেও, তা এক বর্ষাতেই ধুয়ে-মুছে যায়।“প্রতিবছর সাংবাদিকরা আসে, ছবি তোলে, নিউজ হয়। পরে সড়ক বিভাগ লোক দেখানো মেরামত করে—দুই-এক বস্তা বালি দিয়ে গর্ত ঢেকে চলে যায়। কিছুদিনের মধ্যেই সব আগের অবস্থায় ফিরে যায়।”

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খান বলেন, “নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সংস্কারকাজের দরপত্র (টেন্ডার) ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী জুলাই মাসেই কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।”

    তিনি আরও বলেন, “বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত দোকান ও ভবন নির্মাণ। যত্রতত্র ড্রেনেজ লাইন না থাকায় বাজার ও আশপাশের বাসাবাড়ির পানি সরাসরি রাস্তার ওপর এসে পড়ে, এতে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক জায়গায় সড়কের চেয়ে দোকান বা মার্কেটের প্ল্যাটফর্ম উঁচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি রাস্তাতেই জমে থাকে। অথচ এসব স্থানে পানি নিষ্কাশনের কোনো পরিকল্পনাই রাখা হয়নি।”

    তিনি বলেন, “প্রতিটি সড়কে লম্বালম্বিভাবে ড্রেন নির্মাণ সম্ভব নয়, এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আবার বিটুমিনের (রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত উপাদান) বড় দুর্বলতা হলো—পানি। টানা দুই-তিন দিন বৃষ্টিতে ভিজে থাকলে বিটুমিন দ্রুত ক্ষয়ে যায়। তাই সড়ক টেকসই করতে হলে শুধু মেরামত নয়, জনগণকেও ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।”

    মাহবুব হায়দার খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে আরো জানান, “আগামী মাসে আমরা বাজার কমিটি ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠাব, যাতে ভবিষ্যতে দোকান-পাট ও ঘরবাড়ি নির্মাণে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া শুধু সড়ক বিভাগ একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।”

  • দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকারের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

    দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকারের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১০ টায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো সাতক্ষীরা ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে এডভোকেসি সভায় সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ।
    সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.শাহিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন ঢালি, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ইপিআই) শেখ মহিবুর রহমান।
    উপস্থিতি ছিলেন ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলকাস আলি, ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল (ওসিসি) সাতক্ষীরা সদর হাসপতাল আব্দুল হাই সিদ্দিকী।  গাভা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঈমাম মাহবুবুর রহমান, মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী, জিডিএফ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, নূনগোলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার এবিএম হাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক ও যুব সদস্যববৃন্দ।
     কার্যক্রমের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদ্জুজামান (তহিদ)।
    আরো বক্তব্য প্রদান করেন প্রান্তিক  যুব সংঘের সদস্য ইমতি জামিল, স্বপ্নচূড়া যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন ইয়ূথ এ্যালায়েন্সের সভাপতি মুশফিকুর রহমান, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক।
    এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী করা। স্থানীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহন ও পরিসেবা নিশ্চিত করা। আশ্রয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় করা এবং জরুরী পরিস্থিেিততে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাস করা।
    সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ঘটছে। জলবায়ূ পরিবর্তন  এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। সিডোর, আইলা, আম্পান ইয়াস, রিমাল তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ। এসব সমস্যা বাড়ায় কৃষি, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ, অবকাঠামো, পানি পয়:নিস্কাসন স্বাস্থ্য খাত এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা বিরুপভাবে প্রভাবিত হয়। এসব প্রতিক‚ল প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ে নেওয়ার মত সক্ষমতা বা দক্ষতা এখন ও গড়ে উঠেনি। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারনে সাতক্ষীরা জেলায় জলবদ্ধতা, লবণাক্ততা, বন্যাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।  যার ফলে এলাকার মানুষ বিশেষ করে গ্রামীন নারীরা তারা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
    এডভোকেসি সভায় তরূনদের চাহিদা উপস্থাপন করা হয়। সাইক্লোন শেল্টারটি নারী বান্ধব করা। ব্রেষ্ট ফিডিং/মাতৃদুদ্ধ কর্নারের ব্যবস্থা করা। গর্ভবতী মায়েদের সেবা ও চিকিৎসার জন্য নারী ডাক্টার নিশ্চিত করা। দুর্যোগকালীন সময়ে নারীদের জন্য হাইজিন কিডস ব্যবস্থা রাখা। কমিউনিটিভিক্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো এবং উন্নয়ন সংগঠন সমূহ দুর্যোগ কালীন সময়ে শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সমন্বয় রেখে আরো বেশি বেশি কাজ করা। সাইক্লোন শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আর ও সক্রিয় হওয়া । আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্যোগ কালীন সময়ে স্থানীয় যুবরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সুযোগ তৈরী করা। টয়লেটের পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন, সাথে সাথে টয়লেট প্রতিবন্ধি, শিশু, গর্ভবতী ও বয়স্কদের ব্যবহারে উপযোগী করা। শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটি (এস এম সি) সদস্যদের দুর্যোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করার সুযোগ আছে। শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটিতে স্থানীয় যুবদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরী করা। আশ্রয়কেন্দ্রে বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ওয়াস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, কেন্দ্রগুলো নারী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা ও প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী নিশ্চিত করার সুযোগ আছে। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগপরবর্তী কালীন সময়ে যাতে লিঙ্গ বা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা না হয় তার জন্য বেশি বেশি করে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা যেতে পারে। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগপরবর্তী কালীন সময়ে লিঙ্গ বা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা নিরসনে যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জোড়ালো ভূমিকা নিশ্চিত করার সুযোগ আছে।
    সমগ্র অনুষ্ঠানিটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন যুব সদস্য সাকিব হাসান। উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেরিটর একশনএইড বাংলাদেশ সুমন আচার্য্য,  প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফাইন্যান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য।
  • আশাশুনিতে দুর্যোগ সাড়াদানের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম লার্নিং, শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে দুর্যোগ সাড়াদানের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম লার্নিং, শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে দুর্যোগ সাড়াদানে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম লার্নিং, শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উত্তরণ এনজিওর বাস্তবায়নে এ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নে “স্ট্রেইনদেনিং ফোরকাস্ট বেইজড আরলি এ্যাকশনস ইন সাইক্লোন প্রোন কোস্টাল রিজিওন ইন বাংলাদেশ (স্টেপ প্রোজেক্ট)” এসিএফ এর সহযোগিতায় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাশ, মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার, ভেটোনারি সার্জন ডাঃ আঃ সালাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, শ্রীউলা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, প্রতাপ নগর ইউপির চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু দাউদ ঢালী। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম। উত্তরণের স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয় কারি মোঃ রেজওয়ান উল্লাহ, প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে স্টেপ প্রকল্পে লারনিং সকলের মাঝে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট অফিসার পার্থ কুমার দে, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর খান মোঃ আলামিন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ। উত্তরন এনজিও প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগের আগাম সাড়াদানের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম করা হয়।
  • সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত দিয়ে ৬জন নারী-পুরুষকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর

    সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত দিয়ে ৬জন নারী-পুরুষকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর

    আন্তর্জাতিক আইন মেনে সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত দিয়ে ৬জন নারী-পুরুষকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বুধবার রাতে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    হস্তান্তর করা ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তোতলা গ্রামের মুন্সি নজরুল হকের ছেলে আবু সাঈদ মুন্সি,রংপুরেরর মুন্সিগজ্ঞর বাসিন্দা নাজিম উদ্দীনের ছেলে ওয়াজ কুরুনী, নারায়ণগঞ্জের কদমতলী গ্রামের মোঃ মাসুদের স্ত্রী রোকসানা বেগম, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাঘআছড়া গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী সাবরিনা খাতুন ,একই উপজেলার সনাতনকাটি গ্রামের ইব্রাহীম সরদারের মেয়ে মোছাঃ হাফিজা বেগম ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের ওমর আলীর স্ত্রী রোকসানা খাতুন । তারা কেউ কৃষিকাজ, আবার কেউবা গৃহকর্মীর কাজের জন্য ২ থেকে ৬ বছর আগে সাতক্ষীরার ভোমরা,কুশখালিসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতের বোম্বে গিয়েছিল।

    সাতক্ষীরার কুশখালি বিজিবি’র হাবিলদার মেজবাহউদ্দীন জানান,ভারতীয় পুলিশ তাদের বোম্বে এলাকা থেকে আটক করে পশ্চিমবাংলার চব্বিশ পরগনা জেলার তারালি ক্যম্পের বিএসএফ সদস্যদের কাছে দেয়।  আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিএসএফের তারালি ক্যাম্পের পরিদর্শক বিকাশ রায় তাদেরকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে। যেহেতু তারা বাংলাদেশের নাগরিক,তাই তাদেরকে বিজিবি গ্রহণ করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান,‘‘ সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা ৬ জন নারী-পুরুষকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‘’