দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পাঁ বেধে নির্যাতন। দীর্ঘ সময় পারকরে উঠানের মাড়াই করা ধান দিয়ে মিললো মুক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার উপজেলার চিনেডাঙ্গা গ্রামে। জানাযায়,চিনেডাঙ্গা গ্রামের মৃত-গোলাপ গাজীর পুত্র ওয়াজেদ আলীর নিকট বন্ধকীয় জমির নামে সুদের টাকা পেত একই গ্রামের জমির খোঁড়ার পুত্র মিজান আলী। তারই জের ধরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওয়াজেদ আলীর বাড়ীতে সুদের টাকা চাইতে যায় মিজান গাজী। তখন ওয়াজেদ আলী তার উঠানের মাড়াই করা ধান বিক্রয় করে মিজান আলীর টাকা দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু মিজান কোন কথা না শুনে তার উঠানের ধান নিয়ে কথা বলে। এক পর্যায়ে মিজান ধানের বস্তা নিয়ে টানাটানী করতে থাকে। তখন ওয়াজেদ আলীর বিবাহিত কন্যা তাকে বাধা দিয়ে বলে আমার আব্বার কাছে টাকা পাবেন আমরা টাকা দিয়ে দিব। আপনি ধান নিয়ে যেতে পারবেন না। আর এ কথা শুনেই মিজান মেয়েটির চোখের কোনাসহ বিভিন্ন স্থানে মারপিঠ করে ফোলা জখম করে। এ সময় মেয়ের পিতা ওয়াজেদ গাজী মেয়েকে ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় মিজানকে ঝাড়– দিয়ে মারপিঠ করে বলে জানায় ভুক্ত ভেগীর পরিবার। এ ছাড়া ওয়াজেদ গাজী আরো জানায়, এ ঘটনার পরে মিজান বাড়িতে যেয়ে পুনরায় লোক জন নিয়ে হাজির হয় আমার বাড়িতে । তখন মিজানের ভাই জিয়া ,রশীদ,ওহিদুল,খালেক ,মনি মিলে আমার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাকে টানতে টানতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় আমার স্ত্রী এবং কন্য বাধা দিলে তাদেরও মারপিঠ করে। আর আমাদের বাড়ির সামনে লোক বসিয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাকে অবরুদ্ধ করে কোথায়ও বাহির না হওয়ার জন্য বলে। আর আমার চার হাত পা বেধে মারপিঠ করার এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এ সুযোগে আমার বাড়ি থেকে ধান নিয়ে এসে আমাকে মুক্তি দেয় তারা। এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিজান জানায়, আমি ওয়াজেদকে ধরে এনে বাড়িতে বেধে রাখি। কিন্তু মারপিঠ করিনি। তবে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানায় ভুক্তভোগী ওয়াজেদ।
Leave a Reply