1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ন
২৮ চৈত্র, ১৪৩১
Latest Posts
📰এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে যুবক আটক, ১০ দিনের কারাদন্ড📰বড়দলে ১ যুগের বেশি ডিসিয়ারকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন 📰শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিন সাতক্ষীরায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা📰গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ📰ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন📰আশাশুনিতে বানভাসী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের পক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ📰আশাশুনিতে বাংলা নববর্ষ  উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা 📰সাতক্ষীরায় পলিথিনের ব্যবহার বর্জন বিষয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন📰২৫০ ধরনের ওষুধ ৩ ভাগের ১ ভাগ দামে পাবে জনগণ📰সাতক্ষীরায় সরকারি খাসজমি উদ্ধারে অভিযান শুরু

করোনার সাথে যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে তৈরী হোক মানবিকতার পৃথিবী

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৯৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে


অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী
একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি বিশ্ববাসীর সাথে আমরাও। সারা পৃথিবী আজ স্তব্ধ প্রায়। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত মানুষের কাফেলা। সবচেয়ে শক্তিশালি, আর্থিক ভাবে নিরাপত্তাপূর্ন, ধনী রাষ্ট্রগুলো বেশী সংকটে। প্রতিদিন বাড়ছে মানুষের মৃত্যুর মিছিল। কোন ভাবেই সামাল দিতে পারছে না করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এতবড় হোচট খাইনি বিশ্ব।
রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জীবনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সাধারন ছুটি ঘোষনা করেছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে রাষ্ট্রের নাররিকদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করার জন্য, যেটাকে বলা হচ্ছে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’। গত কয়েক দিনের কড়াকড়িতে মানুষকে ঘরে মোটামুটি ভাবে আটকানো গিয়েছিল। মানুষও নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে- এটা বলার অবকাশ রাখে না। কিন্তু নিয়ম মানার ক্ষেত্রে ‘অন্যের জন্য আইন আমার জন্য নয়’ এরকম একটা মানষিক গঠন বলতে গেলে প্রায় সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
করোনা নামক একটি অদৃশ্যমান শত্রুর অঘোষিত যুদ্ধে বিপর্যস্ত সমগ্র পৃথিবীর মানবকুল। চরম এক দুর্যোগময় মহামারীর মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে চলতে হচ্ছে। ইতোপূর্বের সকল দূর্যোগের সময় মানুষ্য জাতির সাথে প্রকৃতিতেও বিপর্যয় ঘটতো। মাপনুষের পাশাপাশি নদী, প্রানীকুলসহ প্রাকৃতিক পরিবেশেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া কিছু না কিছু ঘটতো। কিন্তু এবারের বিষয়টি একবারে উল্টো। প্রকৃতি অনেক স্বাভাবিক নয় আরো সৃজনশীল। নদী ফিরে পাচ্ছে পুরাতন ঐতিহ্য। প্রাণিকুলে সৃষ্টি হয়েছে নূতন জীবনের স্পন্দন। সবচেয়ে দূর্ষোনযুক্ত নদী গুলো আজ দূর্ষোণের কবল থেকে অনেকাংশে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিকতা ফিরে পেয়েছে। যেখানে পাখির দেখা পাওয়া যেত না সেখানে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত। কেমন যেন মানবজাতির বিপক্ষে সকল প্রকৃতি।
পৃথিবীতে মানুষজাতির উদ্ভব এরপর থেকে মানুষ প্রকৃতিকে নিজেদের ইচ্ছামত ব্যবহার করেছে নিজের বেঁচে থাকা ও বিকাশের প্রয়োজনে।এক শ্রেনী অত্যাধিক মুনাফা অর্জণ, ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখা এবং সকল মানবজাতিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পৃথিবীর বুকে চালিয়েছে নির্বিচারে লুন্ঠন। আর এগুলো করতে যেয়ে বিজ্ঞানকে অপব্যবহার করে করেছে রাসয়ানিক বিষক্রিয়া। একেরপর এক মারনাস্ত্র ব্যবহার করে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। নিবিচারে ধ্বংশ করেছে প্রকৃতিক স্বাভাবিক চক্রকে। সীমাহীন ভোগবাদী মানষিকতায় সর্বচ্চ সুখ প্রাপ্তির আশায় তৈরী করেছে পরিবেশ নিয়ন্ত্রন করার যন্ত্র। ফলে ধরিত্রি গরম হতে হতে একটি জ্বলন্ত চুল্লিতে পরিনত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে সকল ধরনে ভারসাম্য।
তাবৎ পৃথিবীর শান্তি প্রিয় মানুষ, বিজ্ঞানী, গবেষকসহ মানবিকতা সম্পন্ন গোষ্টি ও অপেক্ষাকৃত দূর্বল এবং ঝুঁকির মধ্যে পড়া দেশ গুলোর পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছিল, একটু সামলে চলো। একটু সংযত হও। ধরিত্রিকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিকতার পথে ফিরে আসার সুযোগ তৈরী করো। প্রাণীকুলদের জীবনকে হুমকিতে রেখ না। নদীকে দুর্ষোনে ভরে দিও না। পানিকে নিরাপদ করো। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তাবৎ ধনী রাষ্ট্র ও তাদের মোড়লরা কারো কথায় কর্ণপাত করা দুরে থাক, আরো বেশী আগ্রাসীভাবে ধ্বংসের উৎমাদনায় নেচেছে।

সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস এর উৎপত্তি-বিকাশ নিয়ে নানান আলোচনা হচ্ছে। কারনের কারন খুজছে বড় বড় পন্ডিতরা। প্রশ্ন তৈরী হয়েছে, এটি প্রাকৃতিক না মানুষ সুষ্ট। বিশ্ব মোড়ল আমেরিক ও তাদের কয়েকজন সহযোগি, যারা ইরাককে বিধ্বস্ত করেছে, লিবিয়াকে ধ্বংশের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে, তারা প্রমান করার জন্য আর্ন্তজাতিক আদালতে যেয়ে উঠেছে এই বলে যে, চীন এ ভাইরাস টাকে ছেড়েছে।
আর মানবজাতির এ বিপর্যয়ের মধ্যে প্রকৃতি, নদী, প্রাণীকুল যেন প্রাণ পেয়েছে। নদীরপানি দুষোনমুক্ত হয়েছে অনেকাংশে। বড় বড় প্রাকৃতিক বনগুলোতে সবুজের প্রলেপ লেগেছে বৃক্ষরাজীর পাতায় পাতায়। নানান ধরনের পাখির কলকাকোলী আবার শোনা যাচ্ছে। বিপন্ন হওয়ার হুমকিতে থাকা প্রানী কুলের বিচরন স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠছে পরিবেশবীদদের কাছে। এ যেন ধ্বংশ আর সৃষ্টির পাশাপাশি চলা। কিন্তু একটু ব্যতিক্রম যেটি হচ্ছে সেটি হলো মনুষ্য জাতি প্রতিদিন মৃত্যুর তালিকাভুক্ত হচ্ছে। মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা শুধুই বাড়ছে। এ মৃত্য নিয়ে কেহ প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করতে পাছে না।
রাষ্ট্র সমুহের অবস্থান দেখলে দেখা যাবে একটু নিয়মতান্ত্রিক বাষ্ট্র কাঠামো, পরিকল্পিত অর্থনীতি ও সামাজিক বিন্যাস সে সকল রাষ্ট্র অনেকাংশে সামলে নিয়েছে। মৃত্যুর কাফেলাকে কমাতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের জীবনকে বেশীভাগ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বলায়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে যে সকল রাষ্ট্র অবাধ জীবসযাপনে অভ্যস্ত, ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাশিতা সীমাহীন। পৃথিবীর মোড়ল তথা পরাাশক্তি হিসেবে এতদিন নিজেদেরকে প্রচারনায় রেখে ছিলেন, তারাই পড়েছেন বেশী সংকটে। মানুষের জীবন কত অসহায় করে রেখেছিল তার চিত্র প্রতিদিনের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ঘটছে। পৃথিবীর দেশে দেশে অস্ত্র পাঠিয়ে দেশগুলোকে অস্থির করে রেখেছিল। তারা কত অবস্থ্যাপনা নিজের দেশে করে রেখেছিল মানুষের মৃত্যুতে তা প্রকাশিত হয়েগেছে। মৃত্যুর কাফেলা রাশ টানতে হিসসিম খেতে হচ্ছে।
সবথেকে ছোট দেশ গুলোর অন্যমত, পশ্চিমা প্রচারনায় সবচেয়ে আর্থিক সংকটে থাকা দেশ সামাতান্ত্রিক কিউবা আজ অনেক রাষ্ট্রের জন্য প্রেরনাদায়ক শুধু নয়, বরঞ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে তাদের দিকে। আজকের করোনা ভাইরাসের মধ্য দিয়ে পরিস্কার হয়ে গেছে পররাষ্ট্রের অভ্যন্তরিন বিষয় সমুহকে অস্থির করা দেশগুলোর মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে কত ব্যার্থ এর সরকারগুলো।
আজকের প্রেক্ষাপটে পরিস্কার হয়েগেছে রাষ্ট্রের কোন কোন খাতগুলো বানিজ্যের বাহিরে নিয়ে মানুষের নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য বাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। মানুষের মৌলিক চাহিদা সমুহ রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। খাদ্য, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা আর পরিবেশকে রাষ্ট্রকে পৃথিবীর ভারসাম্যের সাথে মিলিয়ে চালাতে হবে। ধনী রাষ্ট্র গরিব রাষ্ট্র এ মূল্যবোধকে পরিত্যাগ করতে হবে। বিজ্ঞানকে মারনাস্ত্র তৈরীতে বেশী ব্যবহার না করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহার করা। দরকার পৃথিবীর ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্থ করে এমন সিদ্ধান্ত থেকে বড় রাষ্ট্র গুলোকে সরে আসতে হবে। রাষ্ট্রসংঘ বা জাতীসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত প্রতিষ্ঠান গুলোকে শক্তি প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করা। বিশ্ব বানিজ্য সংস্থাকে সার্বজনিন করা এবং পিছিয়ে থাকা রাষ্ট্র গুলোকে বিধি নিষেধের বেড়াজ্বাল মুক্ত করে নায্যতা নিশ্চিত করা।
করোনা নামক ভয়বহ ভাইরাস খেকে পৃথিবীর মানুষকে নিরাপদ করতে ইতোমধ্যে শুরু হযেছে গবেষনা। মানব ট্রায়েল শুরু হয়েগেছে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের। হয়ত আরো মানুষের শব যাত্রা শেষ করে মানুষ প্রতিরোধক ঔষধ তৈরী করে সামলে উঠবে। কিন্তু মরনের কাফেলায় সে সকল পরিবার তাদের প্রিয়জন অথবা আয়ের প্রধান ব্যক্তি যেুক্ত হয়ে গেছে ইতোমধ্যে সে সকল পরিবারের ক্ষতি কি ভাবে পুষিয়ে নেবে। রাষ্ট্রের যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে যাবে তা কাটিয়ে উঠতে কত কষ্টের সীমা অতিক্রম করতে হবে নাগরিকদের সেটি চিন্তা বাইরে। তবে এ সংকট চোখেআঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ব্যক্তি ভোগের জন্য উম্মুক্ত না রেখে পরিকল্পিত ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকের জীবন নিরাপত করতে প্রয়োজনীয় কাজ গুলোতে রাষ্ট্রকে বেশী মনোযোগি হতে হবে। প্রত্যেকটিনাগরিকের স্বাস্থ্য ও খাদ্য এবং পরিবেশ সম্মত নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রধান জরুরী। মোড়লীপনার চিন্তার পরিহার করে নুন্যতম সহমর্মিতার পথে হাটতে হবে সকল প্রধান রাষ্ট্রকে। বৈষম্যময় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে নায্যতা স্বীকৃতি দেওয়ার মানষিকতা তৈরী করতে হবে সকল রাষ্ট্রের।
সকলের আকাংথার জায়গাটা তৈরী হবে মানবিকতার পক্ষে। মানবিক রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে। বৈষম্য নয়, সাম্য হোক লক্ষ্য।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd