এসবিনিউজ ডেস্ক : সংসদীয় রাজনীতিতে সদ্যপ্রয়াত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবদান ও কর্ম স্মরণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার একাধিক সহকর্মী।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক শোকসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অংশ নেন।
জাতীয় সংসদে সুনামগঞ্জ থেকে সাত বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত গত রোববার মারা যান। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যই ছিলেন। তিনি আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
শাজাহান খান বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী। তার জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
“১৯৭২ সালে গণপরিষদের অধিবেশন দেখতে গিয়েছিলাম। তখন তার বক্তব্য শুনে অভিভূত হয়েছি। একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা দেশ গঠনে কিভাবে সুচিন্তিত মত দিচ্ছিলেন। সব শেষ মৃত্যুর তিনদিন আগেও তার সাথে আমার কথা হয়েছিল। সংসদীয় গণতন্ত্রের অনেক কিছু তার কাছ থেকে শিখেছি।
“রাজনীতির মাঠে অনেক কথা বলা যায়। কিন্তু সংসদে কথা বলতে হয় অনেক রীতিনীতি মেনে। এই বিষয়টি আমি সুরঞ্জিত বাবুর কাছেই শিখেছি।”
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তার দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অসম্প্রদায়িক মতবাদের বলিষ্ঠ ধারক ছিলেন তিনি।
সভায় সিরাজগঞ্জের সাংসদ নাসিম বলেন, “৮৬ সালে যখন প্রথমবারের মতো সংসদে যাই, তখন তার বক্তব্য শুনে অভিভূত হতাম। মনে হতো কেন তার মতো করে বলতে পারি না।
“তার বক্তব্যে রসবোধ অনন্য, জ্ঞানের ভাণ্ডার অফুরন্ত। সংসদীয় রীতির অনেক জ্ঞানে সমৃদ্ধ ছিলেন তিনি।”
সদ্যপ্রয়াত এই রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে ‘ট্রাজিক হিরো’ হিসেবে বর্ণনা করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “শেষ জীবনে অনেক কষ্ট নিয়ে চলে গেছেন। সব মানুষের জীবনেই কিছু কষ্ট তো থাকেই।”
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, “সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের কিংবদন্তী। তিনি সব সময় আমাকে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি পড়তে ও লাইব্রেরি ওয়ার্ক করতে বলতেন। আইন-কানুন সম্পর্ক তার মতো অগাধ জ্ঞান খুব কম লোকেরই আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ও নাট্যকার সৈয়দ হাসান ইমাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply