করোনা-বধের টিকা নাগালে, দাবি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের

দ্য হেগ ও টোকিও, ১ এপ্রিল (এএফপি): কে প্রথম হারাবে করোনাকে? প্রতিযোগিতার দৌড়ে এখন শামিল বিশ্বের প্রায় সব দেশই। এর মধ্যে চীন ও আমেরিকা টিকা তৈরিতে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে গিয়েছে বলে খবর। গতকাল একটি মার্কিন সংস্থা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাদের তৈরি টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। বুধবার প্রতিযোগিতার দৌড়ে ঢুকে পড়ল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপান। ইউরোপের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, তারাও কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা বাজারে নিয়ে আসতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে সামনের বছরের গোড়াতে কিংবা তারও কিছু আগে তাদের টিকা বাজারে চলে আসবে। এখন শুধু অপেক্ষা চূড়ান্ত অনুমোদনের। জাপান করোনা-বধে হাতিয়ার করতে চলেছে তাদের ফ্লু-রোধী ড্রাগকে। করোনার মহামারীতে ত্রস্ত এখন গোটা বিশ্ব। আট লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত করোনার করাল গ্রাস থেকে সভ্যতাকে রক্ষা করার দাওয়াই কোনও দেশের হাতেই নেই। চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও চলছে জবরদস্ত কাঁটাছেঁড়া। ‘এটা না হলে ওটা’র উপরেই আস্থা রাখতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তার মধ্যে করোনা-রোধী টিকা তৈরিতে বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্যকর দৌড় খানিকটা আশার আলো দেখাচ্ছে। এদিন, ইউরোপের ওই সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসের চোখ রাঙানোর দিন ফুরিয়ে আসছে। বড়জোড় হলে আর একবছর। কিংবা তারও আগে করোনা প্রতিরোধী সম্পূর্ণ টিকা তৈরি করে ফেলবে তারা। ইতিমধ্যেই দু’টি টিকার প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে আমস্টারডামের ওই সংস্থা। টিকা তৈরিতে অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে হেঁটেছে তারা। সাফল্য নিশ্চিত জেনেই অনুমোদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। আর অনুমোদন পেলেই দেদার টিকা তৈরিতে ঝাঁপাবে তারা।
করোনা-যুদ্ধে চীনের অভিজ্ঞতাকে অস্ত্র করছে জাপান। জাপানের ওই সংস্থার এক মুখপাত্র এদিন জানিয়েছেন, ২০ থেকে ৭৪ বছর বয়সী করোনা রোগীদের মধ্যে মোট ১০০ জনকে বাছাই করা হবে। তাঁদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহার করা হবে। জুন মাসের শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই পরীক্ষা চালানো হবে। তার পর প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন রাখবে ওই সংস্থা।  সুত্র : বর্তমান (ভারত) ২.৪.২০২০

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *