কলারোয়ার বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের আড়াই শতক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলারোয়ার বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের আড়াই শতক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮ ও ১৯ তারিখে এ জমি দলখ করে প্রাচীর নির্মাণ করে তারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ-বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের সভাপতি অধ্যাপক এম এ ফারুক ও কলেজ অধ্যক্ষ মাহবুবর রহমান গোপনে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কলারোয়া হাসপাতালের সাবেক ক্যাশিয়ার মুনসুর আলীর কাছে এ জমি কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষ দাড়িয়ে থেকে প্রাচীর দিয়ে দখল করে দেয়। এবিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মাহবুবর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান-আমি কিছুই জানি না। সবই কলেজের সভাপতি এমএ ফারুক সাহেব জানেন। অন্যদিকে কলেজের হেড ক্লাক খোকন ও নৈশ্য প্রহরী মজিবর রহমান জানান-কলেজ অধ্যক্ষ মাহবুবর রহমানের নির্দেশ্যে এ প্রাচীর দেয়া হয়েছে। শুনেছি কলারোয়া হাসপাতালের সাবেক ক্যাশিয়ার মুনসুর আলী নাকি কলেজের মধ্য কিছু জমি পাবেন। তাই মনে হয় কলেজ কর্তপক্ষ নিজেরাই তার জমি প্রাচীর দিয়ে দখলে দিয়েছে। এদিকে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যপক এমএ ফারুক অসুস্থ্য থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অন্য দিকে বঙ্গবন্ধু কলেজের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার সত্তে জানান-বর্তমানে ওই জমি প্রতি শতক ৪ লাখ টাকায় দর হচ্ছে। সেখানে ১৭/১৮টি বিভিন্ন ধরনের মোটা মোটা গাছ ছিলো সেগুলি কেটে বিক্রয় করে দেয়া হয়েছে। যা ম্যানেজিং কমিটির অন্যন্যে সদস্যরা কিছুই জানেন না। কলেজটি ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হওয়ার ২৬ বছর পরে কলেজের দেয়া প্রাচীরের মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষের এক ব্যক্তির কিছু জমি আছে বলে দাবী তুলছে। আর সাথে সাথে সেই জমি কলেজ কর্তপক্ষ প্রাচীর ভেঙ্গে নতুন প্রাচীর দিয়ে তার জমি ছেড়ে দিয়ে দখলে দিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত কলারোয়া হাসপাতালের সাবেক ক্যাশিয়ার মুনসুর আলী জানান-তিনি কলেজের ভিতরে কিছু জমি পাবেন। তবে তিনি বর্তমানে কোন জমি দখল করেন নি। কলেজ কর্তপক্ষ অল্প কিছু জমি ছেড়ে দিয়ে প্রাচীর দিয়েছে। যেটা পরে তিনি জেনেছেন। এদিকে একটি সূত্র জানায়-গোপনে কলেজের আশপাশের জমির মালিকদের কাছে কুট কৌশালে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কিছু জমি বিক্রয় করে দেয়ার পায়তারাও চলাচ্ছে কলেজ কর্তপক্ষ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *