সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, নোট-গাইড শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণে এখনো নোট-গাইড জোর করে চালানো হচ্ছে। এর সাথে বৃহৎ সিন্ডিকেট জড়িত। এখন জাতীয়ভাবে ভাবা উচিত যে, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করার পরও এখনো নোট-গাইড চলছে কেমন করে।
বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ সহায়ক হিসেবে নোট বই ও গাইড বই ব্যবহার বিষয়ে জেলার শিক্ষক, অভিভাবক, পুস্তক বিক্রেতা ও সুধিজনের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক নোট-গাইড বই ক্রয়-বিক্রয় ও সংগ্রহের উপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করে আরও বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নোট-গাইড বিক্রয় বন্ধ থাকবে। কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।
সভায় মূল পাঠ্যপুস্তকের সাথে গ্রামার বইয়ের কিছুটা প্রয়োজন আছে, শিক্ষক-অভিভাবকদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে এবং তৎপরবর্তী ২০ জানুয়ারি পুনরায় শিক্ষক, অভিভাবক, পুস্তক বিক্রেতা ও সুধিজনের সাথে মতবিনিময় করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সে পর্যন্ত সকল দোকানে নোট-গাইড বিক্রয় বন্ধ রাখার নিদের্শনা দেওয়া হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এমএম মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ শিক্ষক, অভিভাবক, পুস্তক বিক্রেতা ও সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply