সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলী হত্যা ও ফতেপুরের সংখ্যালঘুদের বাড়ি পোড়ানোসহ আটটি নাশকতা মামলার আসামী আব্দুল কাদের হেলালী ও তার সহযোগীদের নাশকতার পরিকল্পনা প্রতিরোধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুকুন্দ মধুসুধনপুর চৌমুহুনীতে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য দেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক , সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন পাল বাচ্চু, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহ আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,নয় বছরে দাখিল পাশ করেন দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসার এক সময়কার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের হেলালী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঞ্চস্ত হুজুরে কেবালা নাটকে মহানবীকে কটুক্তি সংক্রান্ত গুজব তৈরি করে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ ফতেপুর গ্রামের শিক্ষক মিতা রানী বালা, লক্ষীপদ মণ্ডলসহ বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর জেল হাজতে যান। এ ছাড়া তিনি ২০১২ সালের ৩১ মার্চ আব্দুল হাকিম এর বাড়ি ভাঙচুর , ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ফতেপুর হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলে ভাঙচুর মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী। এ ছাড়া তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলী হত্যা মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে শ্রীধরকাটি গ্রামের ইউপি সদস্য ছিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলা, গড়ের কান্দায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আশরাফুল ইসলাম বাবু আহত হওয়ার মামলা, কালিগঞ্জের নলতা ও কালিকাপুরে নাশকতাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জেল হাজতে যাওয়া ও জামিনে মুক্তি পেয়ে পাঁচ বছর মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন না উপস্থিত হওয়ায় তিনি কর্মচ্যুত হন। এরপরও তিনি তার ছেলে হাসানুজ্জামান স্থানীয় ইউপি সদস্য জামায়াত শিাবরের পৃষ্টপোষক সিরাজুল ইসলাম, শ্রীরামপুরের জামায়াতের অর্থযোগানদাতা রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসার পিওন শাকির আহম্মদ, মোসলেম হত্যা মামলার আসামী মাষ্টার হাবিবুর রহমান ও হত্যাসহ একডজন নাশকতা মামলার আসামী ছিদ্দিকসহ কয়েকজনকে নিয়ে গত বছরের ৫ মে নিয়ে দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চলতি দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে ইচ্ছামত লিখিয়ে নেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে হেলালী ও তার সহযোগীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা করে এলাকায় নতুন করে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে চাইছেন। এটা মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে হেলালী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
জানতে চাইলে আব্দুল কাদের হেলালী(০১৭১৪৮৪৭২১১) বলেন, তিনি যাতে বৈধভাবে মাদ্রাসার সুপার হিসেবে যোগদান না করতে পারেন সেজন্য একটি মহল ষঢ়যন্ত্র করে চলেছে।
Leave a Reply