নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের দখল নিয়ে মালিকদের দু’গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মালিক সমিতি থেকে বিতাড়িত গ্রুপের সদস্যরা অধ্যাপক আবু আহমেদের নেতৃত্বে টার্মিনালে গেলে স্থানীয় সংসদ গঠনকৃত মালিক সমিতির সদস্যদের সাথে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। এসময় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতদের ৩ জনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ টার্মিনালে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্ল্যার নেতৃত্বে টার্মিনালের অফিস কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা বাসমালিক সমিতির আহবায়ক অধ্যাপক আবু আহমেদ জানান, গত ৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে শহরের লেকভিউতে মালিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় নির্বাচনের তপশীল ঘোষণা করা হয়। এর পর দিন ৭ মে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্বাক্ষরকৃত ১৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং ঐ কমিটি টার্মিনাল দখল করে নেয়। অধ্যাপক আবু আহমেদ আরো জানান, সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বাধীন ঐ কমিটি কোন কারণ ছাড়াই বাস মালিক শেখ জামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গির হোসেন, নাছের উদ্দিন, কবির হোসেনসহ বিভিন্ন মালিকদের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা নিউমার্কেটস্থ শহিদ আলাউদ্দিন চত্বরে সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নেতৃত্বে কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয় দুটি পত্রিকাকে গালিগালাজ দেওয়ার জন্য একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সমাবেশের পর অধ্যাপক আবু আহমেদের মালিকানাধীন দুটি বাস ও শেখ জামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন একটি বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আবু আহমেদ আরো জানান, আজ বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে তিনিসহ অন্যান্য মালিকরা বাস বন্ধের কারণ জিজ্ঞাসা করতে টার্মিনালে যান। এসময় সাবু গ্রুপের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। হামলায় আশরাফুল ইসলাম, ফয়সাল হোসেনসহ ৭/৮ জন আহত হয়। আবু আহমেদ জানান, বর্তমান কমিটি মালিকদের সমর্থনে গঠিত নয়। মালিকরা নির্বাচন চায়। কিন্তু সেই নির্বাচন না দেওয়ার জন্য ইচ্ছা খুশিমত বাস চলাচল বন্ধ করাসহ আজকের এই হামলা করা হয়েছে।
তবে সাইফুল করিম সাবু সমর্থক গ্রুপের লোকজন জানান, আবু আহমেদের নেতৃত্বেই ১০/১২ জন এই হামলা করেছে। এই হামলায় সাইফুল করিম সাবুসহ তাদের পক্ষের ৩ জন আহত হন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে টার্মিনালে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্ল্যার নেতৃত্বে টার্মিনালের অফিস কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে।
Leave a Reply