1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ফুটবল ভাবনায় পরিবর্তন জরুরি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৩৮৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

তারিক আল বান্না

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের মূল আসর অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালে। তার আগে শুরু হয়েছে বাছাইপর্ব। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কবে মূল আসরে খেলবে কিংবা আদৌ কখনো মূল আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে কি না, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। কিন্তু চেষ্টা করলে তো একটা সম্মানজনক অবস্থানে যেতে পারে বাংলাদেশের ফুটবল। তবে তার জন্য চিরাচরিত প্রথাকে বাদ দিয়ে আমাদের ফুটবল ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নেওয়া মানে এই নয়, বাংলাদেশ চূড়ান্তপর্বে ওঠার জন্য লড়াই করছে। আসলে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে যেহেতু বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, একই সঙ্গে এশিয়া কাপেরও বাছাইপর্ব, তাই মহাদেশীয় আসরের মূলপর্বে একটা লক্ষ্য থাকা দোষের কিছু নয়। আসল কথা, শুধু ‘খেলার জন্যই খেলা’, ‘অংশগ্রহণের জন্যই অংশগ্রহণ’-সেই চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে হবে চিরতরে। ফুটবল ভাবনায় পরিবর্তন আনা জরুরি। আমাদের খেলোয়াড়রা কিন্তু এই গভীরতা চিন্তা করে না। এতে তাদেরও খুব দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাদের মনের ভেতরে সেই চিন্তা বা ভাবনা জাগ্রত করার দায়িত্ব টিম ম্যানেজমেন্টের, এমনকি লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রাখার দরকার রয়েছে। তা ছাড়া উৎসাহ আসতে হবে দেশ পরিচালকদের কাছ থেকেও। আগে একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল, ‘বাংলাদেশ গরিব দেশ, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড কিংবা জার্মানির মতো বিশাল অর্থ খরচ করে কোচ আনার সামর্থ্য নেই বাংলাদেশের।’ এটা পুরোপুরি ভুয়া যুক্তি। যদি তাই হতো, তাহলে নাইজেরিয়া, সেনেগাল, আইভরিকোস্ট, ক্যামেরুন, তিউনিসিয়া, মরক্কোর মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বিশ্বকাপের মূলপর্ব স্বপ্নেও ভাবতে পারত না। অথচ, তারা বীরের মতোই খেলেছে মূলপর্বে। আমাদের মূল অভাব ভালো মানসিকতার। আমাদের প্রতিজ্ঞার অভাব রয়েছে প্রচণ্ডভাবে। আমরা স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই। আমরা সামনে চ্যালেঞ্জ দেখলে পিছিয়ে পড়ি। অর্থ নয় আমাদের মূল সমস্যা আশাবাদী না হওয়া।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বড় বড় পদে যারা এখন পর্যন্ত কেউ খেলাটির সত্যিকারের উন্নতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন কি না সন্দেহ। তার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত আমরা দেখি নাই। বড় বড় কর্মকর্তারা শুধু বিদেশ সফরসহ অন্যান্য সুবিধা আদায় নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। ফুটবল ফেডারেশনের পদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সুযোগ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আজ পর্যন্ত বিদেশে কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল কনফারেন্সের আমন্ত্রণ পেয়ে কর্মকর্তারা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন, এমন ঘটনা নেই। কিন্তু মূল যে বিষয় ফুটবলের উন্নতি, সেটার জন্য কে কতটুকু অবদান রেখেছেন, তার হিসাব করতে গেলে একটা আস্ত এক ‘শূন্য’ চলে আসবে। অর্থাৎ ফুটবলের উন্নতি ছাড়া আর সবকিছু নিয়েই কাজকর্ম হয়ে থাকে। টোটালি এই মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে। ফুটবলের মান বাড়ানো নিয়েই ফেডারেশনের আসল চিন্তাভাবনা থাকা দরকার। ক্রিকেট তো শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এখনো পুরোপুরি ব্যালেন্স দলে পরিণত না হলেও খেলাধুলার মধ্যে একমাত্র ক্রিকেট থেকেই আমরা আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছি ও পাচ্ছি। নিয়মিত বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলছে বাংলাদেশ। এটা অনেক বিশাল ব্যাপার, অনেক গর্বের বিষয়। ফুটবলে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে না পারলেও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে তো ভালো অবস্থানে যাওয়া সম্ভব। সেটার জন্যই ভাবতে হবে। ভাবনা বদলাতে হবে।

সম্প্রতি ব্রাজিলে বাংলাদেশের চার কিশোর ফুটবলার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। এ বিষয়টিকে আরো বিস্তার ঘটানোর প্রয়োজন রয়েছে। ভারতে ক্রিকেটের আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্জাইজি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিয়মিতভাবে। ফলে ভারত কিন্তু বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। অথচ, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ের খুব একটা পার্থক্য ছিল না মাত্র কয়েক বছর আগেও। ভারতের এই পলিসি অনুসরণ করা যেতে পারে। আমরা অনেকেই জানি, বিশ্ব ফুটবলে আফ্রিকান অনেক খেলোয়াড়ই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সুনামের সঙ্গে খেলছে। আফ্রিকান খেলোয়াড়দের শারীরিক গঠন সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানে। এ বিষয়টির রহস্য খতিয়ে দেখতে হবে বাংলাদেশকে। হয়তো ওদের মতো পারা যাবে না, তবে যতটুকু পারা যায়, ততটুকুই মঙ্গল। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল লিগকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। আর ফুটবল মৌসুম শীতকালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না, সেটাও পরীক্ষা করে দেখা দরকার। আমরা ধরে নেই ক্রিকেট শীতকালের খেলা, যদিও বাংলাদেশকে এখন আইসিসির রুটিন মেনে চলতে হয়। সেখানে শীত বা গ্রীষ্মকাল বলে কিছু নেই। ক্রিকেটের মতোই ফুটবলকেও গ্রীষ্মের সঙ্গে শীত মৌসুমে সম্পৃক্ত করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

আরো নতুন নতুন ভাবনা আনতে হবে ফুটবলের উন্নতির জন্য। বাংলাদেশের ফুটবল জনপ্রিয়তা ছিল ঈর্ষণীয়। একসময় বিশ্বের অনেক দেশের ফুটবলই বাংলাদেশের মতো জনপ্রিয় কিংবা সম্ভাবনাময় ছিল না। কিন্তু আমরা সেই সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি। তবে সেসব ফিরে যাওয়া সম্ভব। তার জন্য আমাদের ফুটবল ভাবনায় অনেক পরিবর্তন আনা দরকার।  

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd