সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মৌতলায় বিক্রয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পূর্ব মৌতলা গ্রামের মৃত শেখ কলিমুদ্দিন এর ছেলে শেখ শাহাজান আলী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন মৌতলা মৌজায় জে এল ১৭২ এস এ দাগ নং ২৯৫৫ ও ২৯৫৬ দুটি দাগ মিলে ৪১ শতক সম্পত্তির পৈত্রিক সূত্রে মালিক আব্দুল মাজেদ ও কালু শেখ। ঐ সম্পত্তি আব্দুল মাজেদ জীবিত থাকা অবস্থায় সামাদ ও লতিফের কাছে সাড়ে ৮ শতক সম্পত্তি বিক্রয় করে। পরে সামাদ-লতিফ আমার কাছে সাড়ে ৫ শতক বিক্রয় করে এবং কালু শেখের কাছ থেকে সাড়ে ১২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। এছাড়া মাজেদের পুত্র শেখ অহিদুর এর কাছ থেকে আড়াই শতক সম্পত্তি আমার পুত্র শেখ জাবির হোসেনের নামে ক্রয় করি। যার দলিলের সনাক্ত কারী আব্দুর রশিদ ও স্বাক্ষী ইসমাইল। উক্ত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি মৃত আব্দুল মাজেদ শেখের পুত্র আব্দুর রশিদ শেখ তার পিতার বিক্রয় করা সম্পত্তি পুনরায় অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ন্যায় বিচারের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আব্দুর রশিদ ও তার ভাই ইসমাইল। ইউপি সদস্য মীর সালমান রহমান ডালিম, শেখ রেজানুর রহমান, শেখ মশিউর রহমান, আবু তাহের, জাকির, মামুন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয় উক্ত সম্পত্তির সমস্যা সমাধানের জন্য শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত সকলে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আব্দুর রশিদকে তার পিতার বিক্রয় করা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ না করার পরামর্শ দেন এবং রশিদের ভাই ইসমাইল হোসেনকে চোরাই মালামাল মেশিন, মটর, বাইসাইকেল, টিউবওয়েল ক্রয় না করার পরামর্শ দেন। আব্দুর রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে শালিসী বৈঠক ছেড়ে চলে যান। ওই দিন সেখানে কোন মারপিট বা রশিদকে ঘরে আটকে রাখার মত ঘটনা ঘটেনি। কিছুক্ষণ পরে আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম ফোনে শেখ মশিউর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আব্দুর রশিদ মৌতলার বাসিন্দা না। সে কয়রা উপজেলা বসবাস করেন। মাঝে মধ্যে এসে এলাকার সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে চলে যায়।
এঘটনা গত ২২ জুলাই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৌহিদ নামে কোন পুলিশ কালিগঞ্জ থানায় নেই। শালিসী থাকা শেখ মশিউর রহমান, আবু তাহের, মামুনের ওই সম্পত্তির সাথে কোন সম্পর্ক নেই। সংবাদ সম্মেলনে মশিউর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। মশিউর রহমান একজন চাকুরিজীবি এবং সমাজের অসহায় মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং অবৈধ ভাবে পিতার বিক্রয় করা সম্পত্তি দখলের জন্য এধরনের মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
এব্যাপারে পরসম্পদ লোভী আব্দুর রশিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply