নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসের উচ্চমান সহকারি লতিফুন্নার লতাকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ ও দোষী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, যুবলীগ নেতা মিল্টন, কণ্ঠ শিল্পী আবু আফফান রোজ বাবু, দিলরুবা রুবি শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের নুরুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মোজাম্মেলল হক সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে তার অধঃস্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সঙ্গে খারাপ আচরন করে আসছেন। ডেপুটেশনে থাকা উচ্চমান সহকারি লতিফুন্নাহার লতার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে দিতে রাজী না হওয়ায় তাকে বদলী করার হুমকি দেন কয়েক মাস আগে। এরপর তার বিরুদ্ধে ঠুনকো অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। পরে তাকে গত ২০ জুন বদলীর ব্যবস্থা করান। তাতেও সুবিধা না করতে পেরে তার স্বামী চিত্র শিল্পী আব্দুল জলিল শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ থাকার কারণে কয়েকদিন সময়মত আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে গত ৮ জুলাই নিজ অফিসের মধ্যে লুৎফুন্নার লতাকে টেনে হিচড়ে তার ঘর থেকে বের করে দেন এবং তাকে লাঞ্চিত করেন। অফিসে অশোভন আচরণ করেন, লতাকে নাটক মারাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাকে জুতোপেটা করা হয়েছে ডিজি মহোদয়ের কাছে এমন অভিযোগ করেন। অথচ ঘটনার দিনে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে লতিফুন্নাহারের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ করেন মোজাম্মেল হক। বক্তারা আরো বলেন, জেলা তথ্য অফিসের কোন কর্মীই মোজাম্মেল হকের উপর সন্তুষ্ট নন। একজন নারীকে এ ভাবে তার অফিসের মধ্যে অপমান মেনে নেওয়া যাবে না। আগামি তিন দিনের মধ্যে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে বৃহত্তর কর্মসুচি গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply