কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ সরকারি কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহকালে কলেজের দপ্তরী আব্দুল হামিদকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পরীক্ষা শুরু হলে কলেজের দপ্তরী আব্দুল হামিদ রহস্যজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। সন্দেহ হলে পরীক্ষা কেন্দ্রের তদকরি কর্মকর্তা ও উপজেলা ত্রাণ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল হাসান দপ্তরী আব্দুল হামিদের দেহ তল্লাশি করে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ তাকে আটক করেন।
এরপর অজ্ঞাতকারণে শুধুমাত্র লিখিত মুচলেকা নিয়ে আব্দুল হামিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি সম্পর্কে পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার গোলাম মহিউদ্দিনের নিকট জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হল সুপারের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। পরবর্তীতে এসিল্যান্ড স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার পর মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
এব্যাপারে দপ্তরী আব্দুল হামিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় আমার কাছে নকল ছিলো। তবে এই নকল আমি কাউকে সরবরাহ করিনি। আর আপনাদের এ বিষয়টি নিয়ে নিউজ করার দরকার নেই।
এদিকে একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র জানান, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের দপ্তরী আব্দুল হামিদ দীর্ঘদিন যাবত কলেজে একের এক অপরাধ করেই যাচ্ছেন। গত কয়েক বছর আছে ৮/১০ জন শিক্ষার্থীকে বোর্ড থেকে এ প্লাস করিয়ে দেবে বলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিয়ে মুচলেকা নিয়ে রেহাই পান।
Leave a Reply