সাতক্ষীরায় ধর্ষন মামলায় গ্রেফতারে প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্যরা অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ প্রতিবন্ধী স্বামী, দুই প্রতিবন্ধী মেয়ে ও অন্ধ জামাতাকে নিয়ে নিজ বাড়িঘরে আটকা পড়েছেন দরিদ্র গৃহবধূ রোকেয়া বেগম। তার মেয়েকে ধর্ষনের মামলায় গ্রেফতার হবার পর আসামি পক্ষের লোকজন বাড়ির সীমানা প্রাচীর দিয়ে রোকেয়াদের পথ আটকে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে তিনি জানান।
সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামের মানসিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবদুল মালেকের স্ত্রী রোকেয়া বেগম তার ছোট মেয়ে প্রতিবন্ধী টুম্পাকে নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি তার প্রতিবন্ধী মেয়ে গুলশান আরা (২৮) কে জোর পূর্বক ধর্ষন করে তার প্রতিবেশি চাচা আকরম সরদার (৬০)। এক পর্যায়ে গুলশান আরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য আকরম কলারোয়ায় তাকে তার মেয়ে ফেরদেীসির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনায় ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে রোকেয়া বেগম ধর্ষক আকরমের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় আকরম, তার স্ত্রী মাসকুরা, মেয়ে ফেরদৌসী ও জামাতা রেজাউলকে। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। গত এক সপ্তাহ আগে আকরম সাতক্ষীরার একটি আদালতে হাজিরা দিতে এলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
গৃহবধূ রোকেয়া বেগম জানান, আকরম জেলে যাবার পর তারা তাদের নিজ বাড়ির চারপাশে প্রাচীর দিয়েছে। যে গলি দিয়ে রোকেয়া পরিবার এতোদিন যাতায়াত করতো সে গলিপথও ঘেরাবেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে তারা। গত এক সপ্তাহ যাবত প্রতিবন্ধী পরিবারের ছয়জন সদস্য আটকা পড়েছেন নিজ বাড়িতে। তিনি আরো জানান, তার মেজ মেয়ে চায়নার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্বামী ফারুক, নিজের স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে নিজ ঘরে আটকা পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশদহা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, আমি চেষ্টা করেছি পথ উন্মুক্ত করে দেওয়ার। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। আজ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ফের পথ উন্মুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। ##


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *