1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
৭ পৌষ, ১৪৩১
Latest Posts
📰বছরের দীর্ঘতম রাত আজ📰গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন📰সাতক্ষীরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত 📰সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ‘অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত📰জেলা প্রশাসক কর্তৃক সাংবাদিক উজ্জলের সাথে অশোভন আচরনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ📰আশাশুনির খাজরায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখার অভিযোগ📰আশাশুনিতে সুন্দরবন রক্ষায় শিক্ষন ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক বিনিময় সভা📰মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন📰সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন📰আশাশুনিতে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক বিনিময় সভা

সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই অনৈতিক সুযোগ নিয়ে অন্তত দেড় কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগসদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই অনৈতিক সুযোগ নিয়ে অন্তত দেড় কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯
  • ১১৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিনিধি: এলজিইডি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আলম এর বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হিভূতভাবে পিপিআর ও টেন্ডার ছাড়াই মোটা অংকের দফারফা করে প্রায় দেড় কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। মাত্র ৪জন ব্যক্তির ১০টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩০টি কার্যাদেশ দিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকার সুবিধা নেওয়ায় শহর ব্যপি তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে অভিযুক্ত প্রকৌশলী বলছেন, পিপিআর ও টেন্ডার ছাড়াও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে কার্যাদেশ প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে বরাদ্দ আসে। যা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি। এসব বরাদ্দ অনুযায়ী পিপিআর আরএফটি অনুযায়ী একক ১০ লক্ষ টাকা এবং এর উদ্ধে শর্ত মোতাবেক বার্ষিক ৬০ লাখ টাকার উর্দ্ধে হলে টেন্ডারে আসার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ পিপিআর শর্তের বাইরে যাওয়ায় টেন্ডারে না এসে ঘরে বসেই টেন্ডারের কাগজপত্র সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। কোটেশন ওপেনিং শিট বিশ্লেষন করে দেখাগেছে, গত ৩০ এপ্রিল নোটিশ নাম্বার-০১/২০১৮-১৯ প্যাকেজ নাম্বার ১৭৬৭ থেকে ৩০টি দরপত্র পুরণ করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। প্রতিটি টেন্ডার ওপেনিং শিডে এই ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান ঘুরে ফিরে ২০০/৪০০/৬০০ টাকা কম বেশি দেখিয়ে দর দাখিল করেছেন। অথচ এই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিটি কোন পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ বলতে পারছেন না।
জানাগেছে, টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের মধ্যে রয়েছে, শহরের কাটিয়া এলাকার জারা এন্টারপ্রাইজ-৪টি কার্যাদেশ, কালিগঞ্জের কাকা এন্টারপ্রাইজ-৪টি কার্যাদেশ, কালিগঞ্জের আখিরুল এন্টারপ্রাইজ-৫টি কার্যাদেশ, কাটিয়ার খন্দকার এন্টারপ্রাইজ-২টি কার্যাদেশ, কালিগঞ্জের শাহেদ এন্টারপ্রাইজ-১টি কার্যাদেশ, মিল বাজারের মোল্যা এন্টারপ্রাইজ-৩টি কার্যাদেশ, বলাডাঙ্গার সিরাজুল ইসলামের ৩টি কার্যাদেশ, কাটিয়ার মুক্তি এন্টারপ্রাইজের ১টি কার্যাদেশ, বলাডাঙ্গার রোকন এন্টারপ্রাইজের ৪টি কার্যাদেশ ও একই এলাকার নেহা এন্টারপ্রাইজের ৩টি কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম, রোকন ও নেহা একই ব্যক্তির ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, জারা ও মোল্যা এন্টারপ্রাইজ একই ব্যক্তির ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কাকা ও আখিরুল একই ব্যক্তির ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং খন্দকার, শাহেদ ও মুক্তি একই ব্যক্তির ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
এদিকে শহরের কাছাপাড়ার মেসার্স অরিণ এন্টারপ্রাজের স্বত্তাধিকারি এম এম মজনু জানান, এই টেন্ডারটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দরপত্র বিক্রির সুযোগ হলে সরকার কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব পেত। একই সাথে সেই সুযোগ সরকারকে না দিয়ে সমদরে ইচ্ছে মাফিক চুক্তিভিত্তিক অন্তত ২০ লাখ টাকা নিয়ে উপরোক্ত ৪জন ঠিকাদারের ১০টি প্রতিষ্টানের নামে ৩০টি কার্যাদেশ দিয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী নিজেই এসব টাকা পকেটস্থ করেছেন। সরকারের একজন কর্মকর্তা সরকার নির্দেশিত বিধি বিধান লঙ্ঘন করে সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার বিষয়টি তদন্তের দাবী জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও বিচার হলে কারা এরসাথে জড়িত তা অবশ্যই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
এম এম মজনু আরও বলেন, এঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলী এলজিইডি, চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তবে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতাকে ম্যানেজ করার নামে সেখানেও কয়েক লাখ টাকা বিনিময় করার বিষয়টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সার্বিক বিষয়ে ধামাচাপা দিতে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের মালিকদের কাছে ধর্ণা দিয়ে চলেছেন উপজেলা প্রকৌশলী নিজেই।
এসব ব্যাপারে দুপুরে কথা হলে সদর উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আলম আরও জানান, পিপিআর ও টেন্টার কোনটির দরকার হয়নি। কারণ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাকে উক্ত কার্যাদেশ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd