শ্যামনগর ব্যুরো ঃ উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী ৫নং পোল্ডারের ঝুকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধে অবৈধভাবে একাধিক ৯০০ পাইপ স্থাপন করে চিংড়ী ঘেরের পানি উত্তোলন করা হচ্ছে এবং একই পাইপ দিয়ে প্রবল বেগে ভাঙ্গনকুলে পানি ফেলায় নদীভাঙ্গন আরও ভয়াভয় আকার ধারন করেছে। সরজমিনে দেখা যায় দাতিনাখালী ৫নং পোল্ডারের ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধে একই স্থানে ৩-৪ টি ১২” ব্যাসার্ধের ৯০০ পাইপ বসানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানে ভাঙ্গন অব্যহত থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নেই কোন মাথা ব্যাথা, নেই কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলার দায়িত্বে থাকা এস,ও,কে একাধিকবার অবহিত করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এলাকাবাসী জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তারা উৎকোচের মাধ্যমে চিংড়ী ঘের ও কাঁকড়া হ্যাচারী মালিকদের এহেন অবৈধ কর্মকান্ডে সহযোগিতা করছে বিধায় ভাঙ্গনকুল হতে এসব ৯০০ পাইপ অপসারন সম্ভব হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে উপজেলার ৬টি অতীব ঝুকিপূর্ন বেড়ীবাঁধের মধ্যে এটি অন্যতম। এই ভাঙ্গনকুলে সরকারি ও বে-সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বেড়ীবাঁধ মেরামতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হলেও সবই নদী গর্ভে চলে গেছে। প্রকৃত পক্ষে টেকসই বেড়ীবাঁধ করা হয়নি এবং অপরিকল্পিত সংস্কার কাজ করায় এ অবস্থা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বহুল আলেচিত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ছোবল থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসীর সেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে ভাঙ্গনকুলে মাটি ভর্তি বস্তা ফেলে কোন রকমের রক্ষা পেয়েছে। এ সকল ৯০০ পাইপ অপসারণ ও নদী ভাঙ্গন রোধের দাবিতে ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধের উপর এলাকাবাসী ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অদ্যবধি নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থান থেকে ৯০০ পাইপ অপসারন ও ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধ মেরামত বা সংস্কারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এমতাবস্থায় ভাঙ্গনকুলের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অতীব গুরুত্বপূর্ন এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
Leave a Reply