ফের দোকান দখল ও মারপিটের হুমকি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাওয়ালখালির সন্ত্রাসী রিপন


সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাওনডাঙ্গা বাজারের তিনটি দোকান জোর করে দখল করে সাইনবোর্ড তোলেন যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম রিপন। সালিশ বিচার শেষে প্রায় দুই বছর পর দোকান মালিকরা তাদের দোকান পুনঃদখল করলেও রিপন সম্প্রতি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দোকানগুলি ভাংচুর করেছে। এতে বাধা দেওয়ায় তার বাহিনীর হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন নারী পুরুষসহ কমপক্ষে দশজন। তাদের সবাইকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুবলীগ ক্যাডার রিপন আবারও কাওনডাঙ্গার তিন ভাইয়ের দোকান দখলের পাঁয়তারা করছে। এই লক্ষ্যে সে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এলাকায় সে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সে রাতারাতি যুবলীগ ক্যডার হয়ে যায়। এখন সে বাঁশদহা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য আবুল হোসেন সাতক্ষীরা থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেন যে গত ২৯ এপ্রিল হাওয়ালখালি গ্রামের যুবলীগ ক্যাডার খোরশেদ আলম রিপন,মো. হাসান, সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেজাউল করিম, মো. রানা, খোকন, চঞ্চল , আশিক, নাইম, হাবিবুল্লাহ, জিকরিয়া এবং কলারোয়ার গোয়ালচাতর গ্রামের মইনুল হোসেনসহ একদল সন্ত্রাসী তাদের দোকানসংলগ্ন বাড়িতে হামলা করে। লাঠিসোটা, চায়নিজ কুড়াল, লোহার রড, ধারালো দা, জিআই পাইপ নিয়ে এই হামলা চালানো হয়। তারা তান্ডব সৃষ্টি করতে থাকে। এতে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন আবুল হোসেন নিজে, তার ভাই আমজাদ হোসেন, তার স্ত্র্রী নার্গিস খাতুন, ভাই আলি হোসেন ও তার স্ত্রী লুৎফুননেসা, বোন নুরজাহানসহ অনেকেই। তিনি আরও জানান হামলাকারীরা তাদের বাড়ি ও দোকানের মালামাল লুট করে। প্রতিবেশি লোকজন এসে তাদের বাধা দিলে রিপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরা থানায় মামলা করার পর থেকে রিপন ও তার সন্ত্রাসী ক্যাডাররা এলাকায় আস্ফালন শুরু করেছে। তারা ফের হামলার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। গ্রামবাসী জানান রিপন হওয়ালখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার ভাংচুর মামলার আসামি। সে এলাকায় চাঁদাবাজ রিপন নামে পরিচিত। চোরাচালান, মাদক কারবার এবং মাদক সেবনসহ নানা ধরনের বেআইনি কাজে সে ও তার বাহিনী জড়িত। এতোসব অপরাধের পরও যুবলীগের দুর্ধর্ষ ক্যডার খোরশেদ আলম রিপন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *