নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাঈদ মেহেদি নৌকার পক্ষে কাজ করতে আমাদের নিষেধ করেছিলেন। তিনি নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে নামেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে তিনি জামায়াত বিএনপি ক্যডারদের সাথে যোগসাজশ করে নিজে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউপি যুবলীগ সভাপতি মো. শাহ আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি ফিরোজ ইফতেখার ,সম্পাদক আশিক ইকবাল ও সদস্য আবদুল আলিম।
শাহ আলম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন ২০১৩ সালে যারা সাতক্ষীরাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল সাঈদ মেহেদি তাদেরকে এলাকায় ফিরিয়ে এনে সকল প্রকার সাপোর্ট দেন। বিষ্ণুপুর ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেমউদ্দিন হত্যাকারীদের সাথে নিয়ে মাঠে নামেন এবং শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডারদের উদ্বুদ্ধ করেন। যে সব ত্যাগী নেতা আওয়ামী লীগের আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে সাঈদ মেহেদির পক্ষে কাজ করেননি তাদের খুন জখমের হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে জামায়াত বিএনপির সহযোগিতায় ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাঈদ মেহেদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম বলেন যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন তাদের খুঁজতে শুরু করে সাঈদ মেহেদির ছত্রছায়ায় থাকা জলিল সরদার, আকুল মীর, আফসার উদ্দিন, শেখ সিদ্দিকুর রহমান। তাদের হুমকি ধামকিতে এলাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অনেক নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন। ২৭ মার্চ রাতে তারা সাঈদ মেহেদির নির্দেশে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দিনের ওপর হামলা করে। তারা তাকে পিটিয়ে আহত করে। রিয়াজউদ্দিন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত বিএনপির আশ্রয়দাতা সাঈদ মেহেদিসহ তার দোসরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
Leave a Reply