শ্যামনগর ব্যুরে॥ মহামান্য হাইকোর্ট এর ১৬৩৯২/২০১৭ নং রীটপিটিশন আদেশ অমান্য করে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদী ভাঙন এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বালী উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। এমন অবস্থা অব্যহত থাকলে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। ১৪২৪ ও ১৪২৫ সালে শ্যামনগর উপজেলায় কোন বালু মহল ঘোষনা না হলেও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলছে। রীটপিটিশনের আদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাগফারা তাজনীন গত ১৮/০১/২০১৮ তারিখে ৭৮ নং স্মারকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রেরন করে। এরপরও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ কৌশলী এ্যাডঃ মোঃ হুমায়ন কবীর গত ১৯/১১/২০১৮ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পর গত ০৩/১২/২০১৮ ইং তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম,এম মাহমুদুল রহমান ১৯৭৯ নং স্মারকে রীটপিটিশনের উধৃতি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আর একটি পত্র প্রেরন করেন। অথচ এ সমস্থ নির্দেশ অমান্য করে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান মোটা অংকের উকোচ নিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা নদী ভাঙন এলাকায় ড্রেজার মেশিনে ও লোকালয়ে বোরিং করে বালু উত্তোলন করছে। বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের পাশে ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শ্যামনগর ইউএনও স্যারের নির্দেশে বালু উত্তোলন করছি। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছে ফেরদাউস। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই , তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দেখি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম এম মাহমুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে জানান। এরপরও বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
সম্প্রতি বুড়িগোয়ালিনী মাসুদ মোড়ে আব্দুর রশিদ তরফদার এর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে সেখানে সংশ্লিষ্ট তহশিলদার পাঠিয়ে পয়সা নিয়ে নিশ্চুম রয়েছে। অথচ অবৈধ ভাবে উঠানো বালু জব্দ করে প্রকাশ্যে নিলাম দেন নাই। কলবাড়ী গ্রামের মকছেদ মোল্যার বাড়ীর পাশে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি ওই একই ভাবে রয়েছে।
Leave a Reply