ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরের নাভারণ থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেনলাইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মানসম্মত স্টেডিয়াম, সুন্দরবন পর্যটন কেন্দ্রকে আধুনিকায়ন চেয়ে মহান জাতীয় সংসদে বক্তব্য রেখেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। বুধবার বিকাল ৫টা ১৬ মিনিট থেকে টানা ১২ মিনিট জাতীয় সংসদে অবহেলিত সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি তুলে বক্তব্য দেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বাঙালী জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশু সুস্থ্যতা কামনা করেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চক বাজার ট্রাজেডির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন তিনি। সাতক্ষীরার গণমানুষের নেতা ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি বলেন, আমরা সাতক্ষীরাবাসী প্রতিবছর চিংড়ি বিক্রয় করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করি। মৎস্যচাষেও সাতক্ষীরাবাসী এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা থেকে প্রচুর আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে ইউরোপের বাজার দখল করেছে সাতক্ষীরার আম। এছাড়াও ভোমরাস্থল বন্দর থেকে লক্ষ লক্ষ রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। সাতক্ষীরার সাদা মাছ ঢাকাসহ সারা দেশে যায়। সাতক্ষীরার মাছ না আসলে ঢাকার মানুষ মাছই খেতে পারতো না বলে আমরা মনে করি। সে তুলনায় আমরা উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। গত বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার পাশে আমাকে স্থান দিয়েছিলেন। সে সময় সাতক্ষীরাবাসী পেয়েছিল সাতক্ষীরায় স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ,বাইপাস সড়ক, আই.এস.টি ও ম্যাটস (প্যারা-মেডিকেল কলেজ), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ অনেকগুলো বড় বড় ব্রীজ,রাস্তাঘাট পেয়েছি। তারপরও আমরা মনে করি অনেক উন্নয়ন থেকে সাতক্ষীরাবাসী বঞ্চিত হয়েছে। বিশেষ প্রস্তাবিত রেল লাইনটি স্থাপন করা জরুরি। এটি স্থাপন করা হলে ভোমরা বন্দর থেকে মালামাল আনা নেওয়া অনেক সহজ হবে। যেহেতু পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। ওই সেতুর সাথে রেললাইনটি সংযোগ হলে সাতক্ষীরাবাসীর যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হবে। সাতক্ষীরা ক্রীড়ায়ও অনেক এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরার আশাশুনিতে একটি ছোট স্টেডিয়াম হলেও সাতক্ষীরা বড় কোন স্টেডিয়াম নেই। যে কারণে সাতক্ষীরায় একটি বড় স্টেডিয়াম সাতক্ষীরাবাসীর দাবি। এছাড়া সাতক্ষীরাবাসীর প্রাণের দাবি টেকনিক্যাল ইউনির্ভাসিটি। যেহেতু সাতক্ষীরা একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এখানে টেকনিক্যাল ইউনির্ভাসিটি স্থাপিত হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়ন হবে। সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে ঘোলা পর্যন্ত রাস্তাটির বরাদ্দ হলেও রাস্তাটি কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এলাকাবাসী অনেক কষ্ট পাচ্ছে। সে কারণে রাস্তাটির কাজ অবিলম্বে শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছে। চিকিৎসকের অভাবে সাতক্ষীরার মানুষ বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যেতে পারে। এজন্য সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা খুব জরুরি। সাতক্ষীরার একটি বড় সমস্যা জলবাদ্ধতা। আর এ জন্য সাতক্ষীরার নদীখালগুলো দ্রুত খনন করার প্রয়োজন। এছাড়া দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিভিন্ন সাফল্য,প্রস্তাবনা সহ একাধিক সম্ভাবনার কথা মহান সংসদে তুলে ধরেন।
Leave a Reply