সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি আব্দুর রবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন হাজরাকাটি গ্রামের মুনছুর গাজীসহ কয়েকজন গ্রামবাসী।
গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মুনছুর গাজী বলেন, একটি অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তসহ একাধিক মামলার আসামি তালা উপজেলার আব্দুল ওহাব সরদারের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রব আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অল্প বয়সে নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টিতে নাম লিখিয়ে একপর্যায় অঞ্চল প্রধানের দায়িত্ব পান। শুরু করেন অস্ত্র-বোমাবাজি, হামলা, দখলসহ নানা ধরনের অপকর্ম। হাজরাকাটি গ্রামের ইছারুদ্দিন মোড়লকে প্রকাশ্যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। হাজরাকাটি বাজারে গ্রামীণ ফোনের টাওয়ার নির্মাণের সময় এক শ্রমকিকে ধরে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। ১৯৯৯ সালে রইচ মিস্ত্রির মালিকানাধিন হাজরাকাটি-কাঠবুনিয়ার এক হাজার বিঘা জমির ঘের দখল করে নেয় আব্দুর রব। ২০১৪ সালে হাজারাকাটি এলাকার ১২০ বিঘার নলবুনিয়া মাছের ঘের বোমাবাজি করে দখল করে নেয়। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোকছেদ শেখের এক বিঘা জোর পূর্বক রেজিস্ট্রি করে নেয়। এছাড়া ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি, শালিশের নামে অন্যের জমি নিজের নামে লিখে নিয়ে আর ফেরত না দেয়াসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এভাবে সে এলাকার বহু মানুষের জমি লিখে নিয়ে নিজে মালিক হয়েছেন। তার অত্যাচারে নিরব কান্না এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে। শালিশের নামে প্রতিনিয়ত মানুষকে হয়রানি করে চলেছে সে। কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই নানা ধরনের হয়রানি ও হামলার শিকার হতে হয়েছে তাকে। এলাকার দিনমজুর থেকে শুরু করে সকলের কাছে আতংকিত একটি নাম হচ্ছে আব্দুর রব।
গ্রামবাসী আরো জানান, ২০০১ সালে আব্দুর রব অস্ত্রসহ তালা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। পরে এই মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। কারাগারে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। এলাকায় এসে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। আমাকেসহ এলাকার বহু লোককে প্রকাশ্যে হত্যার হহুমকি দেয় আব্দুর রব। এসব ঘটনায় তালা থানায় তার বিরুদ্ধে একাধক সাধারণ ডায়েরি ও করা হয়েছে। তার অত্যাচারের মাত্রা সাধারণ মানুষের সহ্যক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এক্ষুনি তাকে নিয়ন্ত্রন করা না হলে শত শথ নিরিহ মানুষকে এলঅকা ছাড়তে হবে। তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাহারুল, লুৎফার, জালাল শেখ, শেখ তুহিন প্রমূখ।
Leave a Reply