1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উচ্চতায় পৌছেছে : লেখক সাংবাদিক শাহারিয়ার কবির

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
  • ২১২ সংবাদটি পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে ২০০১ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মধ্যযুগীয় নির্যাতনের স্থান পরিদর্শন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার কবির বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা শান্তিতে বসবাস করছে। বর্তমান সরকার তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে। নিরাপত্তার শংকায় সংখ্যালঘুরা এখন ভারতে যাচ্ছেন না। এজন্য মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উচ্চতায় পৌছেছে। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বিশ^নাথপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ৭১রের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি এসব কথা বলেন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হামলা ও নির্যাতনের বর্ণনা করে শাহারিয়ার কবির আরও বলেন, নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে ২০০১ সালে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নয়, সংখ্যালঘুরাও নির্যাতিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, সে সময় হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ন কবির বালু, সাংবাদিক মানিক সরকারসহ অনেক মুক্তচিন্তার মানুষও চারদলীয় জোট সরকারের অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি। শাহারিয়ার কবির বলেন, ১৯৭৫ এর পর বেশীর ভাগ সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি দেশ শাসন করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দেশের শাসন ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। আইনের শাসন এখন অনেক মজবুত অবস্থানে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট’র সভাপতিত্বে এবং কালিগজ্ঞ উপজেলা নিমূর্ল কমিটির সদস্য সচিব এড. জাফরুল্যাহ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় সভাপতি ডা. বাহারুল আলম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য পূর্ণিমা রাণী শীল, শ্যামনগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বিশ^াস প্রমুখ। এসময় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক নারায়ন চক্রবর্তী রাজিব, কালিগঞ্জ হিন্দু-বৌদ্ধা-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব অসিত সেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় শেষে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারের নেতাকর্মীদের দ্বারা কালিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।


নির্মূল কমিটির সভাপতি আরো বলেন, ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৩ সালের ২০জুন কালিগঞ্জের বিশ্বানাথপুর গ্রামের সরকার পরিবারের জমি জবরদখল করতে তারালী ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে মন্দির ভেঙে আগুন দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ বিঘা জমি দখল করে বানানো হয়েছিল খেলার মাঠ। বাধা দেওয়ায় ধীরেন্দ্র নাথ সরকার, নরেন্দ্র নাথ সরকার, সুরেন্দ্র নাথ সরকার, বীরেন্দ্র নাথ সরকার, রবীন্দ্র নাথ সরকার , তাদের স্ত্রী আদুরি, বনলতাসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। ওই পরিবারের এক গৃহবধুকে উপর্যুপরি নির্যাতন করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সম্ভ্রম বাচাতে ওই নারী অত্যাচারি জামায়াত নেতাদের পায়ে ধরেছিলেন। ধরম বাপ ডেকেছিলেন। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ডাক্তার দেখে বলেছিলেন এ ধরণের অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। অথচ ওই ডাক্তার যখন ডাক্তারি সনদ পত্র দিয়েছিলেন তখন ধর্ষণের আলামত মেলেনি। ডাক্তার জামায়াত ছিল বলেই এমনটি হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২০০১ সালের ২২ নভেম্বর তাকে জেলে পাঠানো হয়। এসময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামী ছিল সাত হাজার। দু’ মাস পর যখন তিনি জেল থেকে বের হন তখন আসামী ছিল ১৩ হাজার। যার ৯২ শতাংশই ছিল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী। তাদের জেলে বাইরে ও ভেতরে যেভাবে মেরে হাত পা’ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, তাদের চিৎকার ও যন্ত্রনায় রাতে ঘুমোতে পারতেন না তিনি। অথচ সে দিনের অত্যাচারিরা এখন গায়েবী মামলায় তাদের লোকজনকে ধরে জেলে পাঠানো হচ্ছে বলে চিৎকার করছেন। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ফাতেমা বলে এক গৃহপরিচারিকাকে রাখতে দিয়ে জেল কোড আইন ভঙ্গ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
শাহারিয়ার কবীর বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী খুলনার সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবীর বালু, হুমায়ুন আজাদসহ ১৬ জন সাংবাদিক ও কলামিষ্টকে হত্যা করেছিলো মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত ও শিবির। তারা তো আর আওয়ামী লীগ করতেন না। স্বাধীনতা পরবর্তী ২৪ বছর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশে শোষন ও শাসন করাটা দূঃখের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা ও জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। হত্যাকারিদের প্রধান ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে এসব ঘটনায় আত্মস্বীকৃত কয়েকজনের বিচার হলেও আইএসআই এর প্রধান প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সিআই এর গুপ্তচরদের শাস্তি হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ১০ হাজার ঘটনায় ৭১’রের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল। এসব ঘটনায় সনাতন ধর্মের অনুৃসারী ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়া ও নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে তাদের উপর নির্যাতন করা হয় বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়। সিরাজগঞ্জে পূর্ণিমাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল তা সংবাদ সস্মেলন করার সময়শুনতে পেরে বিবিসি’র নারী সাংবাদিক শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। নির্যাতিতদের অনেকেই মামলা করেত পারেনি। আবার মামলা করলেও তুলে নিতে হয়েছে জামায়াত নেতাদের হুমকিতে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি পরবর্তী সময়ে রামু, নাসিরনগর ও গোবিন্দগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাঠ হয়েছিল। হামলাকারি জামায়াত শিবিরের লোকজন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে ভর করে এসব সহিংসতা করেছিল। জামায়াত ইসলামের সংবিধানে শুধু মাত্র মুসলমান ছাড়া কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি সদস্য হতে পারবে না। যেটা বাংলাদেশর সংবিধানের পরিপন্থী, যে কারণে তাদের সংবিধান বাতিল হয়ে নির্বাচন করতে পারছে না। আজ সেই জামায়াত বি,এন,পির ঐক্যে ডাঃ কামাল হোসেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ডাঃ কামাল হোসেন ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি সংবিধানে রেখে সংবিধান রচনা করেছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গে্েরনড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা সম্পর্কিত কমিশনের সদস্য হিসেবে সেই সময়ে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন এ দায় বর্তমান সরকারের। অথচ সেই কামাল হোসেন বিএনপি জামায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টর নেতৃত্ব দিয়ে নিজের ভাবমুর্তি নষ্ট করেছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় বাংলাদেশে ৮.৬ শতাংশ হিন্দু বসবাস করেছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন বর্তমানে এ দেশে হিন্দুৃদের বসবাসের সংখ্যা ১০.২ শতাংশ। ভারতে চলে যাওয়া অনেক হিন্দুই দেশে ফিরে এসেছে এবং এদেশ থেকে কোন হিন্দুই এখন ভারতে যাচ্ছে না ফলে দেশে হিন্দুর সংখ্যা বাড়ছে এটা একটি মানবাধিকা সূচক বলে দাবি করেন তিনি। ১২ থেকে ৪৮ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট আছে এমন ৯৬টি কেন্দ্রে তারা ভোট পর্যবেক্ষন করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে ৫৮টি কেন্দ্রে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি বিশেষ কমিটি গঠণ করবে। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকার নয় এলাকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এজন্য কাজ করতে হবে। ২০০১ সালে ও ২০১৪ সালে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়েছিল। আগামিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না গেলে ওই অত্যাচার কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে সকলকে সতর্ক করে তিনি বলেন, জামায়াত , মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি ও হাইব্রীড আওয়ামী লীগারদের আগামী সংসদীয় নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান শাহারিয়ার কবির। সহিংসতা প্রতিরোধে পাড়ায় পাড়ায় ও মহল্লায় মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd