নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাল বেতনে চাকুরি দেয়ার নামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে ধর্ষক গ্রাম্য ডাঃ মনিরুজ্জামান মনিকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা ওই নারী।
এ মামলার আসামী ও ধর্ষণ কাজে সহযোগিতাকারী আব্দুল হান্নানকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল হান্নান কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের জামাত আলী পাড়ের ছেলে। এ মামলার পলাতক আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের নওশের আলীর ঘর জামাই ও এই মামলার প্রধান আসামী গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি এবং একই উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের হাসান পাড়ের ছেলে ফিরোজ হোসেন।
এদিকে, অসহায় নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকে তদবীর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই নারীর বাবা ও মা কেউ নাই। তিন বছর আগে তার বিয়ে হলেও স্বামীর আগের একটি স্ত্রী ও সন্তান থাকায় তিনি সেখানে যাননি। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সম্প্রতি কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি তাকে ভাল বেতনে চাকুরির প্রস্তাাব দিয়ে গত রোববার তাকে নলতা হাসপাতালের নিকটবর্তী ঘোড়াপোতা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তোলেন। এরপর রাতে তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে ডাঃ মনিরুজ্জামান মনি জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে আব্দুল হান্নান ও ফিরোজ হোসেন। পরে তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ধর্ষিতা ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং আব্দুল হান্নানকে আটক করে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় পালিয়ে যায় ধর্ষক মনিরুজ্জামান মনি ও ফিরোজ হোসেন।
এদিকে, পলাতক গ্রাম্য ডাক্তার মনির বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ডাক্তারী করার অভিযোগে এর আগে প্রশাসন জরিমানাও করেছন বলে জানিয়েছেন একাধিক এলাকাবাসী।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে এ মামলার আসামী আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply