1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত📰পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ!প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি📰জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শহীদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮
  • ৫৮৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ঢাকা ব্যুরো : কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি, ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচী দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আইন অনুষদ ভবনের পাশ দিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের নেতৃত্বে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধনে দাঁড়ান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়ান। নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা মাইক চালু করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এর দুই মিনিটের মধ্যেই ছাত্রলীগও নিপীড়নবিরোধীদের মুখের দিকে একটি মাইক তাক করে বক্তব্য দিতে থাকেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈকত শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকদের জামায়াত-শিবিরের দোসর উল্লেখ করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এ সময় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি হয়েছে শহীদ মিনারকে ঘিরে। শহীদ মিনারকে ভালোবাসি বলে আমরা এখানে। আমরা অতি সাধারণ আর আপনারা অসাধারণ। কারণ আপনারা রাষ্ট্র ক্ষমতার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছেন। আমরা সাধারণদের রক্ষা করতে চাই।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন নিপীড়িত হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হয় তাকে রক্ষা করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করেনি, পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসন ছাত্রলীগকে ডেকে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রশাসন কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষকরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সুন্দর সুষ্ঠুভাবে বিদ্যার চর্চা করবে। তাদের মৌলিক অধিকারের জন্য আন্দোলন করবে। সেই আন্দোলন কোনো গুণ্ডাবাহিনী ঠেকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, আপনারা শক্তিতে বলিয়ান হতে পারেন কিন্তু আমাদের মনোবল আপনাদের চেয়ে তুখোর। এ সময় ছাত্রলীগের পাশ থেকে শিক্ষকদের গোলাম, দালাল সম্বোধন করে বক্তব্য দেওয়া হয়। এটা শুনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা গোলাম নই, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা এসে নিপড়নবিরোধীদের মাইকের তার ছিঁড়ে দেন। পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীমউদ্দিন খান শহীদ মিনারে অবস্থানের ঘোষণা দেন। এ সময় ছাত্রলীগও তাদের দেখাদেখি বসে পড়ে। মিনিটি দশ পরে শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের দিকে রওনা হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেদিকে রওনা হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিমার্ণাধীন ভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের কাছে গেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন, সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. রুম্মান হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস। শিক্ষার্থীরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর বিক্ষিপ্তভাবে হামলা করেন।
শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরে সোয়া একটার দিকে শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বরং প্রশাসন হামলার জন্য আমাদের দুষছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা নানাভাবে সহযোগিতা চেয়েও কোনো পক্ষের কাছে কোনো সহযোগিতা পাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনাদের স্বাধীনতা আছে আপনারা কর্মসূচী পালন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও যখন আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাইবে তখন আপনারা এগিয়ে আসবেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় আইন শৃংখলা রক্ষার বিষয়টি একজন প্রক্টর দেখেন। তার অধীনে শিক্ষকদের সমন্বয়ে অন্তত ১১জন সহকারী প্রক্টর ও কর্চারীদের সমন্বয়ে ৯ জন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য কাজ করেন।

এদিকে, মধুর ক্যান্টিনের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা জানান। এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd