তৈয়েবুর তামিম: কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
অাজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খুবির হাদী চত্বরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রথমে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত একটি মিছিল বের করে পরে অাবার হাদী চত্বরে অবস্থান করে অান্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কার এবং অান্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে তারা অান্দোলন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখা শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান বলেন, অামরা কোটা সংস্কারের যৌক্তিক অান্দোলনে নেমেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি কোটা উঠিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন অামরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় অামরা অাবারো মাঠে নামি তারপর ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা অামাদের যৌক্তিক অান্দোলনে নৃশংস হামলা চালায়। হামলাকারীদের বিচার না করে যারা ভিক্টিম নূর, রাশেদরা অাজ বিনা অপরাধে জেলে অাছে তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত অামাদের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।
কোটা অান্দোলনে বক্তব্য দেয়া অাশিক রহমান বলেন, অাজ যৌক্তিক অান্দোলনে শরিক হওয়া মেয়েরাও নিরাপদ নয়। অপরাধীরা চোখের সামনে ঘুরাফেরা করলেও তারা অাজ ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে এবং অামার ভাইদের দ্রুত জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অামরা ক্লাসে ফিরে যাবো না।
শরিফুজ্জামান বলেন, অামাদের সহজ সরল একটাই দাবী অার সেটা হলো কোটা যৌক্তিক সংস্কার চাই।
শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা কারও বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। আন্দোলনকারী যে সব ভাইকে আটক করা হয়েছে, সরকারের প্রতি আমাদের দাবি তাদের মুক্তি ও নিখোঁজদের সন্ধান দিতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার চাই এবং হাতুড়িপেটানো ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড চাই। হাসপাতাল থেকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা না করে বের করে দেওয়ারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর যারা হামলা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করতে হবে এবং বাংলাদেশের সকল ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও কোটা সংস্কার অান্দোলনে বক্তব্য রাখেন কাঞ্চন কুমার, রিফাত অাহমেদ, মাসুদ অাল মোস্তফা, শেখ শুভ, মুক্তা অাক্তার, ইয়াছিন অালী, নরোত্তম পল, শেখ নাভিদ প্রমুখ।
Leave a Reply