ঢাকা ব্যুরো : বাংলাদেশের রোগীদের বিদেশ গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু এ পর্যন্ত কতজন রোগী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছে এবং কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আপাতত দেয়া সম্ভব নয়। তবে, নীতিমালা প্রণয়নের পর এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব হবে।
তিনি জানান, মূলত চারটি রোগের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য কিছু মানুষ বিদেশে যান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৯ আসনের এমপি ডা. মো. এনামুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংসদকে এসব তথ্য জানান।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।
নাসিম বলেন, প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কিছুসংখ্যক রোগী বিদেশে চলে যায়। তবে মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মূলত চারটি রোগের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য তারা বিদেশে যান। কারণসমূহ হচ্ছে- আর্থিক স্বচ্ছলতা, বিদেশে চিকিৎসাপ্রীতি, হেলথ ট্যুরিজম এবং বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে চিকিৎসাস্বল্পতা।
তিনি বলেন, তবে এ প্রবণতা কমিয়ে আনতে দেশে সব মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালকে আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিতকরণের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বেশকিছু আধুনিক হাসপাতাল যেখানে অন্য দেশ থেকে এসে রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করার বহু নজির আছে।
মহিলা এমপি জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় মানুষ চারটি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। রোগগুলোর মধ্যে চর্মরোগ, পায়ে ও হাতের আঙুলে পচন ধরা বা গ্যাংগ্রিন, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার এবং লিভার, কিডনি, মুত্রাশয় ও ফুসফুস আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি।
মন্ত্রী বলেন, এসব রোগ সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করতে সরকার সচেতনমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নতুন কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।
এমপি মো. নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমানে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে মোট ১২ হাজার ৮৩৭ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছে এবং ১০৫৬ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে, যা খুব দ্রুতই সম্পন্ন হবে।
Leave a Reply