ক্রীড়া ডেস্ক: ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে যায় ক্রোয়েশিয়া। এবার সেই দলকে ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে তারা। রবিবারের শিরোপার লড়াইয়ে ওই স্মৃতি মাথায় রাখছেন না ক্রোয়েশিয়ার কোচ।
যুগোস্লাভিয়া ভেঙে স্বাধীন দেশ হিসেবে ২০ বছর আগে প্রথমবার বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেছিল ক্রোয়েশিয়া, খেলেছিল প্রথম সেমিফাইনাল। কিন্তু স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে হেরে থামে তাদের অবিশ্বাস্য যাত্রা। দেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠে সেই দলের মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েটরা। কিন্তু দুই দশক আগের সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার কোনও চিন্তা মাথায় আনছেন না কোচ জাৎকো দালিচ।
১৯৯৮ সালের ওই ম্যাচে ৪৬ মিনিটে ডেভর সুকারের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ডিফেন্ডার লিলিয়ান থুরামের জোড়া গোলে ফ্রান্স পায় ফাইনালের টিকিট। দালিচ জানালেন, এই দলের খেলোয়াড়দের জন্য ওই সেমিফাইনাল হারের ভাবনা মাথায় আনা অনর্থক।
দুই দশক আগের সেই বেদনার স্মৃতি মনে আছে ৫১ বছর বয়সী দালিচের, ‘১৯৯৮ সালে একজন সমর্থক হিসেবে প্রথম তিন ম্যাচে আমি ফ্রান্সে ছিলাম। ক্রোয়েশিয়ার প্রত্যেকের মনে আছে ওই ম্যাচের কথা, যখন থুরাম স্কোর করলেন এবং আমরা হারলাম ২-১ গোলে। গত ২০ বছর ধরে এটা ছিল আলোচনার বিষয়।’ সুকারের গোল উদযাপনের আনন্দ কীভাবে মাটি হয়ে গেল জানালেন তিনি, ‘আমার মনে আছে আমরা সুকারের গোল উদযাপন করলাম। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি সমতা ফেরার পর আমাদের বসে পড়তে হলো।’
রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পেলেই কেবল ক্রোয়েশিয়ার কোচের দায়িত্বে থাকবেন এমন শর্ত দিয়ে অক্টোবরে চুক্তি করেন দালিচ। সেই তিনিই এখন দলকে নেতৃত্ব দিলেন দারুণ সাফল্যে। শেষ বাধা টপকে এবার শীর্ষ অর্জনটা পেতে চান দালিচ, ‘দুই দলই তাদের মান দেখিয়েছে। আমরা প্রতিশোধের চিন্তা করছি না। এটা ফুটবল, খেলা। আমরা যেটা করতে পারি সেটা হলো ফাইনালে টুর্নামেন্টের সেরা খেলার প্রস্তুতি নেওয়া এবং সেদিকে মনোযোগ ধরে রাখা।’ ইএসপিএনএফসি
Leave a Reply