সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স. ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে সাতক্ষীরায় প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সংবাদকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করে। শহীদ স. ম. আলাউদ্দীনের কর্মময় জীবন ও সাতক্ষীরার উন্নয়নে তার অবদানের কথা তুলে ধরে খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম, যুগান্তর ও এনটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই- এলাহী, সময় টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, দৈনিক কল্যাণের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি কাজী শওকত হোসেন ময়না, দৈনিক করতোয়া ও দৈনিক যশোরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুকুল, দৈনিক মানবকন্ঠের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি অসীম চক্রবর্তীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী। এসময় ইলেক্ট্রনিক্স, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক স. ম. আলাউদ্দীন হত্যা মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। প্রসঙ্গত: ১৯৯৬ সালের ১৯জুন রাত ১০টা ২৩মিনিটে নিজ পত্রিকা অফিসে খুন হন স. ম. আলাউদ্দীন। হত্যাকান্ডের সিআইডি সাতক্ষীরার কথিত চোরাকারবারি গডফাদার আব্দুস সবুর, খলিলুল্লাহ ঝড়ু, কিসলু, মোহন, কালাম, এসকেন, আব্দুর রউফসহ দশ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। খুনিচক্র এ মামলার বিচার কার্যক্রম যাতে না হয় সেজন্য বারবার প্রভাব বিস্তার করে বাঁধাগ্রস্থ করেছে। ২২ বছরেও মামলাটির বিচার সম্পন্ন না হওয়ায় জেলাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মামলাটির ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকজন সাক্ষী মারা গেছে। কয়েকজন সাক্ষী রয়েছেন বিদেশে।
Leave a Reply