রমজাননগর (শ্যামনগর) প্রতিনিধি:
শ্যামনগর উপজেলার তারানীপুর বিলের চোরাদুনের খাসখাল বরাদ্দ দেয়ায় পানিতে ডুবে আছে গোটা বিল।
ভেটখালী বিলের হিমখালের পানি তারনীপুর বিলে চোরাদুনের খালে এসে এখানে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। রমজাননগর মৌজায় ভেটখালী বাজার হয়ে তারনীপুর বিল দিয়ে মানিকখালী কলিকাখালী খালে যেয়ে এই খাল মিশেছে। এই এলাকার পানি নিস্কাশনে খালটি সরকারের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় তারানীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র শমশের গাজী ও মৃত নুরুল ইসলামের জামাতা আব্দুল মজিদের নামে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। এই খালের অপর অংশ মানিকখালী বিলে কয়েকজন চিংড়ি ঘেরের ভিতরে নিয়ে চিংড়ি চাষ করছে। আর এভাবেই সামন্য বৃষ্টিতে গোটা তারানিপুর বিল পানিতে ডুবে আছে। এখানে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের বাড়িঘর বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে আছে। এলাকার একমাত্র খাবার পানির পুকুর তারানীপুর দীঘিটি ও যেখানে হাজার হাজার মানুষের পানির একমাত্র উৎস। এই দীঘিটিও তলিয়ে যেতে বসেছে। এভাবে চলতে থাকলে চলতি বর্ষা মৌসুমে তারনীপুর বিলের ৩/৪শ’ বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এলাকাবাসি জানিয়েছেন, পানি নিস্কাশনের জন্য সরকারি খাস খালের বন্দোবস্ত বাতিল করে খাল উন্মুক্ত রাখলে তিনটি বিলে পানি নিস্কাশন সম্ভব।
তারানীপুর বিলের পানি নিস্কাশনে খাস খালের বন্দোবস্ত বাতিল ও দখলদারমুক্ত করার বিষয়ে শ্যামনগরের এসিল্যান্ডের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, পানি নিস্কশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে বাবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর খাসখাল বন্দোবস্তের বিষয়ে তথ্য প্রমান পেলেই ঐ সমস্ত বন্দোবস্ত বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply