বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট (২ জুন, ২০২৫) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থাপন করেছেন। এটি দেশের ৫৫তম বাজেট এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে প্রথম বাজেট।
মোট বাজেটের আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
রাজস্ব বাজেট: ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা
উন্নয়ন বাজেট: ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫%
মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা: ৬.৫%
শিক্ষা খাত: ৯৩৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মোট বরাদ্দ হয়েছে ৮৪,০০০ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ কমলেও মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়: ১,১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, যা গত বছরের তুলনায় ৮৮ কোটি টাকা কম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ: ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ, পূর্ববর্তী বছরের ৮৩৫ কোটি টাকা থেকে কম।
নির্বাচন কমিশন: ২,৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড: ১,৩৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ।
জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পরিবার: ৪০৫.২ কোটি টাকা বরাদ্দ।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ: আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
করমুক্ত আয়সীমা: করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা খাত: বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ভর্তুকি ও প্রণোদনা: এই খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
সিগারেটের দাম: এবার সিগারেটের দাম না বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।
কোন খাতে কত টাকার বরাদ্দ হলো তা একনজরে
মোট এডিপি বরাদ্দ: ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা
পরিবহন ও যোগাযোগ খাত: ৫৯ হাজার কোটি টাকা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: ২২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা
সামাজিক নিরাপত্তা খাত: ৩৭ হাজার কোটি টাকা
মোট বরাদ্দ: ৯৫ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা
প্রাথমিক শিক্ষা: বরাদ্দ কমেছে
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা: বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে
মোট বরাদ্দ: ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা
পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা
কমেছে: ১৪৫ কোটি টাকা
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
এনবিআর থেকে: ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা
অন্যান্য খাত থেকে: ৬৫ হাজার কোটি টাকা
বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
অভ্যন্তরীণ ঋণ: ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা
বৈদেশিক ঋণ: ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫%
মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা: ৬.৫%
দাম বৃদ্ধি পাবে:
কনভেনশন হল, নির্মাণ খাত, সেল্ফ কপি পেপার, কোটেড পেপার, ই-কর্মাস কমিশন
প্লাস্টিক সামগ্রী, গৃহস্থালি সামগ্রী, টয়লেট সামগ্রী, কটন সুতা, কৃত্রিম সুতা, ব্লেড, জয়েন্ট, নাট, বোল্ট, ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার, সিগারেট
ওটিটি সেবা, এলইডি লাইট, আমদানিকৃত লিফট, সিফুড, নারিকেল তেল, স্যালমন ফিস, আমদানিকৃত মাংস, আমদানিকৃত টুনা, লবঙ্গ, এলাচ, জিরা, দারচিনি, মাখন, দুগ্ধজাত পণ্য, চিজ, বিদেশি সবজি, কাজু বাদাম, শুকনা ফল, আপেল, নাশপাতি
রড, কফি, চকলেট, শিশু খাদ্য, পাস্তা, বিস্কুট, চিপস, জ্যাম-জেলি, জুস, সস
দেশি তৈরি মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার
মার্বেল- গ্রানাইট, অ্যালকোহল, ফুড সাপ্লিমেন্ট, তামাক জাতীয় পণ্য, বিদেশি লবণ, আইসক্রিম, বার্নিশ, সুগন্ধি, এলপিজি সিলিন্ডার, অটো রিকশা, প্রসাধনী, সাবান, ডিটারজেন্ট
দাম কমবে:
ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্পের কাঁচামাল, এলএনজি, সিলিন্ডার, দেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন, দেশি ডায়াপার, প্যাকেটকৃত তরল দুধ, বলপয়েন্ট, ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর, রেন্ট, হাসপাতালের বেড, ওষুধের কাঁচামাল, হাসপাতালের যন্ত্রাংশ, কোল্ড স্টোরেজ, এলপিজি সিলিন্ডার, ব্যাটারি, কীটনাশক, ফ্রুট ব্যাগ, টায়ার, সার
কর হার পরিবর্তন:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর হার ২.৫% কমে ২০% হয়েছে
মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭.৫% থেকে কমে ২৭.৫% হয়েছে
ব্রোকারেজ হাউজের সিকিউরিটিজ লেনদেন কর ০.০৫% থেকে কমে ০.০৩% হয়েছে
ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা:
সাধারণ নাগরিক: ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা
নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী: ৪ লাখ টাকা
প্রতিবন্ধী: ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা: ৫ লাখ টাকা
‘জুলাই যোদ্ধা’: ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ:
মোট বরাদ্দ: ৯৫ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা
বাজেটের ১২.১৮%
পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা (১১.৩৫%)
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা:
১০% থেকে ২০% পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে
বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে:
সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অংকের পরিমাণ ৪.৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ:
গতবারের মতো এবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে
প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ:
বরাদ্দ কমেছে
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ:
বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে
নারী ও শিশু খাতে বরাদ্দ:
মোট বরাদ্দ: ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা
পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা
কমেছে: ১৪৫ কোটি টাকা
বাজেট ঘাটতি পূরণে ঋণ:
অভ্যন্তরীণ ঋণ: ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা
বৈদেশিক ঋণ: ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা:
৫.৫%
মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা:
৬.৫%
বাজেট ঘাটতি:
২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা:
৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
Leave a Reply