সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা 

সাতক্ষীরায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা চালতেতলা মিশন হল রুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা।
 এডভোকেসিতে  সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মো. আব্দুল হাই, ফিংড়ি ও ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আলকাজ আলী, ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা রেবেকা সুলতানা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা মোছা: ময়না খাতুন, ইউপি সদস্য মো: কামরুজ্জামান, ফিংড়ি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা পৌরসভার স্থগিত মহিলা কাউন্সিলর অনিমা মন্ডল,  সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক, সাংবাদিক ও যুব সদস্যবৃন্দ।
 সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। প্রকল্পের কার্যক্রম ও প্রোগ্রামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)। আরো বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হ্রদয় মন্ডল, সদস্য ইমতি জামিল, শ্রেয়া সরদার ও লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, স্বপ্নসিড়ি যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন, কর্নফুলি যুব সংঘের সদস্য শাহনাজ পারভীন।
এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল যুব ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্ব বিকাশকে উৎসাহিত করার জন্য বাস্তবায়িত উদ্যোগগুলি উপস্থাপন করে কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সরকারী পরিসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুব ও নারীদের সংযুক্ত করা এবং বিভিন্ন প্লাটফর্মে অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করা। যুব নারীদের নেতৃত্বের ভুমিকা গ্রহন ও স্বনির্ভরতার জন্য উদ্যোক্তা তৈরীতে উৎসাহিত করা। এডভোকেসি থেকে যুবদের চাহিদা ছিল যুব নারীদের দ্বারা বাস্তবায়িত বিভিন্ন উদ্যোগ উপস্থাপনের মাধ্যমে জনসেবা কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান হবে এবং অন্যান্যদের উৎসাহিত করা হবে। যুব/নারী এবং স্থানীয় সরকার পরিসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন, যার ফলে সহায়তা পরিসেবা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্লাটফর্মে অংশগ্রহনের সুযোগ উন্নত হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ও ফরম্যাল কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ার যুব নারীদের অন্তভর্‚ক্তি করা।
সংলাপে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, যুব নারীদের  নেতৃত্তে¡র  জায়গাগুলো কী হতে পারে? নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বাঁধাসমুহ কী কী? বাঁধা সমুহ দুর করার উপায়সমুহ কী কী? বাধা সমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের ভূমিকা সমুহ কী কী? নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বাহ্যিক বাঁধাসমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের (তথা পরিবার, কমিউনিটি, সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা কী হতে পারে):  যুব নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বর্তমান সমাজে বিদ্যামান সুযোগ সুবিধাগুলো কী কী? ইত্যাদী বিষয়ে বক্তারা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন, সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে নারীরা নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনায় ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ),  এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফেলো শাওন প্রমুখ ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *