দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভৌগলিকভাবে ভিন্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে স্থানীয় নেতৃত্বাধীন পানি অভিযোজন কৌশল পরিকল্পনা তৈরি করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) সুপেয় পানির সংকট ও পানি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সোসাইটি অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন ফর স্মল হাউসহোল্ডস এবং পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রাণ) এই কর্মশালার আয়োজন করে।
স্থানীয় নেতৃত্বাধীন পানি অভিযোজন কৌশল পরিকল্পনার দ্বিতীয় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, প্রাণ সায়ের খাল সুরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, প্রাণের প্রতিনিধি জাহিদ ইমরান, একশনএইড প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ, পবিত্র মোহন দাশ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আগত অংশগ্রহণকারীরা কর্মশালায় স্থানীয় পর্যায়ে পানির সংকট সমাধানে ঐতিহ্যগত ও প্রচলিত পন্থার সাথে আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক উপায় ব্যবহার করে সুপেয় ও নিরাপদ পানি সংকটের সমাধানে কি ধরনের কৌশল গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। একই সাথে প্রস্তাবনা আকারে দলীয় কাজের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। যা জাতীয় পানি নীতিমালার আলোকে উপকুলের মানুষের সুপেয় এবং ব্যবহারিক পানি নিশ্চিতে সরকারী নীতিমালাকে প্রভাবিত করবে এবং একটি উপকুলীয় পানি নীতিমালা হিসাবে গৃহীত হবে।
আয়োজকরা জানান, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায়, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার হিসাবে বিশুদ্ধ পানির দাবিতে ওয়াটারমুভ ক্যাম্পেইন বা পানি অধিকার প্রচারাভিযানের সূচনা করেছে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রাণ), যার লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের সুপেয় পানির অধিকারের জন্য কাজ করা এবং সবুজ রূপান্তরে তরুণদের উৎসাহিত করে এই প্রচারণায় সম্পৃক্ত করা।
এই প্রচারাভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হল উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পানির অধিকারের দাবিতে বিভিন্ন অংশীদার ও জনপদের জোটকে একত্রিত করা, যাতে উপকূলীয় অঞ্চলে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির নিরাপদ পানির এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। ওয়াটারমুভ ক্যাম্পেইন চলাকালীন, প্রাণ এবং এর অংশীদার সংস্থাসমূহ বাংলাদেশের উপকূলে অবস্থিত বিভিন্ন জেলাতে স্থানীয়-নেতৃত্বাধীন পানি অভিযোজন কৌশল পরিকল্পনার খসড়া তৈরিতে কর্মশালা আয়োজন করবে। অঞ্চল ভিত্তিক প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এই পরিকল্পনাটি এলাকা-নির্দিষ্ট সঙ্কট পরিস্থিতিকে নথিভুক্ত করবে, সংকট নিরসনে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা, ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞানের সম্মিলনে কৌশল খুজে বের করবে এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আরোও কার্যকর সমাধানের কৌশল সমূহ প্রস্তাব করবে।
Leave a Reply