1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন
২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts
📰বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল, ডেন্টাল ও ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প📰প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! হামজার মাথা, সোহেলের বুলেট — জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ফুটবল মহোৎসব📰জাতীয় বাজেট ঘোষণা, ঘোষণার পরই বাজারে আগুন! দাম বাড়বে এসব জিনিসের📰জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা📰আশাশুনিতে বজ্রপাতে রাজমিস্ত্রী নিহত📰প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত📰সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ📰জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?📰বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল📰জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

দুর্গোৎসবে ভারতে গেল ২২ ভাগ ইলিশ

মশাল ডেস্ক
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২১ সংবাদটি পড়া হয়েছে

দুর্গোৎসবে ভারতের বাঙালিদের ইলিশের স্বাদ দিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি আদেশ পেলেও শেষমেষ বেনাপোল দিয়ে গেল ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ। এবার সরকারের দেওয়া রপ্তানি আদেশের মাত্র ২২ ভাগ ইলিশ ভারতে গেল। সময় স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুুবুর রহমান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেন অন্তবর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার রপ্তানি মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২৩ সালে চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৪২ টন। এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। প্রতিবারই এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা রপ্তানির অনুমতি পেলেও মাছ রপ্তানি করেন না। তারাই আবার পরের বছর অনুমতি পেয়ে যান। জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতিবছর এ ঘটনা ঘটলেও দেখার কেউ নেই।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইলিশ চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ আর বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া অনুমতির মধ্যকার সময় স্বল্পতার কারণে পুরো ইলিশ রপ্তানি করা যায়নি। পূজা শুরুর পর ভারতীয় অংশে আমদানি বন্ধ এবং রপ্তানির জন্য হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন থাকায় ইলিশ রপ্তানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বছরই কেবল নয়, বিগত পাঁচ বছরেও রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পুরো ইলিশ পাঠানো যায়নি।

এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৮শ’ থেকে দু’হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১২শ’ টাকা কেজিতে। এটি কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না। ইলিশ রপ্তানির খবরে বেনাপোলসহ আশপাশের এলাকার বাজারগুলোতে ইলিশ সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাগামহীন দাম বাড়ানোয় সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে রসনাবিলাস বাঙালির জাতীয় মাছ ইলিশ। চড়া দামের কারণেই মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের অধিকাংশের পাতে ওঠেনি ইলিশ।

ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের রেজাউল জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বেনাপোল থেকে সড়ক পথে ভারতে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকে। তবে শনিবার খোলা থাকে। অন্যদিকে রোববার আবার মাছ আমদানি বন্ধ রাখে ভারত। সপ্তাহের এই দু’দিন বাদ দিলে ২৬ অক্টোবর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১২ দিন ভারতে ইলিশ পাঠানোর সুযোগ পেয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকার সমান। কিন্তুু বাজারে এক হাজার ৮০০ টাকার নীচে মাছ কেনা যায়নি। তাছাড়া বড় বড় মোকামে মাছ সংকটও ছিল।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হয়। ১২ দিনে এ বন্দর দিয়ে ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পেরেছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠান কোন ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে পারেনি বলে তিনি জানান।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd