জানা যায় ছাত্র আন্দোলনের নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেমের ক্যামেরা পারসর্ন ও মাই টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ফয়জুল্লুাহ বাবুর ক্যামেরা পাসর্ন জনি বাকবিতন্ডা জড়িয়ে এক পর্যায়ের মারাত্মক মারপিট করেন।
দুই দফায় মারামারি করেন তারা। ঘটনা স্থলে থাকা ক্যামেরা ম্যান ও প্রতিনিধিরা ঘটনা সামলাতে তাদের দুই জনকে পৃথক করে দেয়। এঘটনা দুই ক্যামেরা ম্যানের প্রতিনিধিদের জানান প্রেসক্লাবের কয়েকজন সদস্য কিন্তু দুই প্রতিনিধি কোন ব্যবস্থা নেয়নি।পরবর্তীতে জনি ও তার ভাই রনি সহ জনির লোকজন সৌরভ কে একা পেয়ে সৌরভের উপরে কিল-ঘুষি লাথি মেরে সৌরভ কে আহত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংবাদিক জানান প্রেস ক্লাবে সৌরভ ও জনির মধ্যে দুই দফা মারামারিতে জনি বেশি আহত হয় সে কারনে সৌরভকে একা পেয়ে জনির লোকজন সৌরভের উপরে হামলা করতে পারে।
প্রেসক্লাবের মারামারি ও সৌরভের উপরে হামলার পরে
মাই টিভির প্রতিনিধি বাবুকে কয়েকজন জানালে বাবু বলেন আমি এর আগেও শুনেছি জনির আচার-আচরণ অনেক খারাপ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি জনিকে বাদ দিবো সে যদি সৌরভের সাথে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে পারে তখন জনিকে আবার কাজে নেয়া যায়কি ভেবে দেখবো।
তবে সৌরভের উপরে আক্রমণের দিন সন্ধায় হঠাৎ মাইটিভির প্রতিনিধি সৌরভকে ফোন করে মিনি মার্কেটে যেতে বলে সৌরভ না যাওয়াতে মাই টিভির বাবু সৌরভ কে জানায় সিনিয়র সাংবাদিকরা বসে আছে সে বিলম্ব কেন করছে। তখন সৌরভ বাবুকে বলেন সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে বসবেন সে কথা ত আপনি আমাকে আগে জানাতে পারতে আপনি সিনিয়র সাংবাদিক নিয়ে বসলেই আমি যেতে পারবো না। আমার সংগঠন আছে তাদের কে নিয়ে বসবো আমাকে আগে জানালে আমি তাদের নিয়ে আসতাম।
এ ঘটনায় সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশন সৌরভের পাশে থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে মাইটিভির ক্যামেরা ম্যান জনি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সৌরভ ও জনির মারপিটের ঘটনায় তাদের দুই জনের নামে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী জনির এলাকার অনেকে জানান জনির ভাই রনি যুবলীগের পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে জমি দখল থেকে শুরু করে মাহফিলের নামে চাঁদা তুলে মাহফিলের আয়োজন না করা সহ নানা অভিযোগ আছে রনির বিরুদ্ধে। জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বেশ। অনেকে বলেন জনি ক্যামেরা ম্যান পরিচয়ে প্রশাসনের সাথে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এলাকার ছোট বড় সমস্যায় পক্ষ নিয়ে বয়স্ক লোকের সাথে বাকবিতন্ডা করে। এছাড়া এলাকায় উগ্র মেজাজের জন্য জনির বেশ পরিচিতি রয়েছে। এ ব্যাপারে সৌরভ ও কম না উগ্র মেজাজের জন্য তার ও বেশ নামডাক। অনেকে জানান সৌরভ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলো, পরবর্তীতে সে টিভি ক্যামেরা ম্যান হয় এর আগে মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে বেশ অবৈধ অভিজান পরিচালনা করতো, এছাড়া শহরের প্রবাসীদের স্ত্রীদের সাথে সুসম্পর্ক করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে সৌরভের বিরুদ্ধে।
সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের কিছু সিনিয়র সদস্য দুই পক্ষের ক্যামেরা ম্যান ও প্রতিনিধিদের কান পড়া দিচ্ছে বলে মনেকরছেন সাংবাদিকরা।
দুই চিত্র সাংবাদিকদের মারপিটের ঘটনায় তাদের থেকে দীর্ঘ দিন সুবিধা নেয়া অনেকে এখন চুপচাপ থাকছে। অচিরেই দুই চিত্র সাংবাদিকের ঝামেলার সমাধান হোক এমনটাও চাইছে দুই জনের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
Leave a Reply