জয়পুরহাটে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ


ন্যাশনাল ডেস্ক : কৃষি বান্ধব বর্তমানের সরকারের কৃষি উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার কৃষকরা। চলতি  ২০২২-২৩ পাট উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। 
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসসকে জানায়, জয়পুরহাট জেলায় পাঁচ উপজেলা মিলে এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৪ শ ৯৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার  বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে রয়েছে তোষা জাতের পাট ৩ হাজার ৯৩ হেক্টর ও দেশী জাত রয়েছে ২৫ হেক্টর।  এতে পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন। পাট বীজ বপনের সময় জমিতে পানির প্রয়োজন হয়ে থাকে সেকারণে এবারে অত্যধিক খড়া থাকায় বীজ বপনে বিলম্ব হয়। তাই পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় কৃষি বিভাগ।    
কৃষি বিভাগ জানায়, সরকারের পাট জাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানী হিসেবে পাট কাটিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার  কারণে জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগের থেকে বর্তমানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাট চাষ সফল করতে  কৃষি বিভাগ  হাতে- কলমে চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখাসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করে । ২০২১-২০২২ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা  ছিল ২ হাজার ৯ শ ৮৫ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৩ হেক্টর বেশি। এরমধ্যে দেশী জাতের পাট রয়েছে ৩০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট রয়েছে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর।  এতে পাটের  উৎপাদন হয়েছিল  ৩৮ হাজার বেল পাট। গত বছর প্রতিমণ পাট বিক্রি হয় প্রকার ভেদে  ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ২শ টাকা মণ পর্যন্ত। বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে পাটের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সে কারণে দিন দিন জেলায় পাটের চাষ  বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, চলতি  ২০২২-২৩ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে  জেলায় ৩ হাজার ৪ শ ৯৫ হেক্টর  লক্ষ্যমাত্রার  বিপরীতে  ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে  পাট চাষ হয়েছে।  এবার বৃষ্টিপাত একটু দেরিতে হওয়ায় পাট চাষও বিলম্ব হয়েছে ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।  চলতি মৌসুমে  ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *