সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: হবিগঞ্জের বাহুবলে চর্যাপদে সমকালীন ভাটেরার তাম্র শাসনে আদি বাংলার নিদর্শন’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব কবিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা, কবি ও দার্শনিক সৈয়দ আজিজ। তিনি ভাটেরার তাম্র শাসনের নানা দিক তুলে ধরে ঢাকার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে শুধু কলেজে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সমকালীন ভাটেরার তাম্র শাসনে আদি বাংলার নিদর্শন’ বিষয়ক আলোচনা সভা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মিষ্টুরাণী দাসের সঞ্চালনায় সেমিনারের ঘোষণা করেন উত্তরপূর্ব ভারতের লেখক ও গবেষক ড. দেবব্রত দেবরায়। তিনি বলেন, যে রাজ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাত বার গিয়েছিল, সে দেশের প্রতিনিধি হয়ে চৈতন্য দেবের পূর্ব পুরুষদের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে পেরে গর্ববোধ করছি। কারণ হবিগঞ্জ ও সিলেট আমার কাছে তীর্থক্ষেত্রের মতো। আর চর্যাপদে ভাটেরার তাম্র শাসনের যে উল্লেখ ছিল তা অবর্ণনীয়। তিনি আরও বলেন, এ সেমিনারের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ভাটেরার তাম্র শাসন সম্পর্কে জানানো একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আজ শুরু হলো।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব কবিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক কবি পুলক কান্তি ধর, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ গভনিং বর্ডির সভাপতি নিরঞ্জন সাহা নিরু, বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোতাহের হোসেন, চাঁনপুর কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক অবিনাশ আচার্য্য, ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিত কুমার দেব, আদর্শ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মানিক মিয়া, সানশাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ রণদ্বীপ চক্রবর্তী, পরিচালক একনেক সামছুদ্দিন, তরফ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও গবেষক নিপেন্দ্রলাল দাস।
বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক টিপু চৌধুরী, সাংবাদিক মুনসুর রহমান, সানশাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক আব্দুল কাদির। এ সময় অত্র কলেজের সকল বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রীবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের সাহিত্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হলো-ভাটেরার তাম্র শাসন, বাংলাগদ্যে ইতিহাস ও তিনটি মহাকাব্য। যা সিলেককে বিশ্ব দরবারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধিষ্ঠিত করেছে। তাই এ সুনাম ধরে রাখার জন্য বেশি বেশি করে সভা-সেমিনার করা প্রয়োজন। আর আজকের এই সুন্দর সেমিনারের আয়োজন করায় মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।
Leave a Reply