শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা উপকূলীয় গাবুরা বাসির কাছে এক আতঙ্কের নাম নদী ভাঙন। প্রতিবছরই বিস্তীর্ণ উপকূলীয় ইউনিয়নটি নদী ভাঙনের শিকার হয়।
দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ৯ নং সোরার দৃষ্টিনন্দন এলাকা ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে। ।
৯ নং সোরার। ৫ শতাধিক পরিবার উদ্বেগ ও উৎকষ্ঠার মধ্যে সময় পার করছে। পুরো ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষই আছে আতঙ্কে ।
( ২৬ মার্চ)রবিবার সকালে শুরু হওয়া নদী ভাঙ্গন মুহুর্তের মধ্যে প্রায় ২০০ ফুট নদী চর ভেঙ্গে রাস্তায় ভাঙ্গন ধরেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভয়াবহ এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা শুধু এলাকাবাসির পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকার, উপজেলা প্রশাসনের সাহায্য খুবই জরুরী।
৯নং সোরা এলকার ইউ,পি সদস্য মুঞ্জুর হোসেন জানান , এই মুহূর্তে ভাঙন রোধে এগিয়ে না এলে প্লাবিত হতে পারে গাবুরার প্রধান খাবার পানির পুকুরটি। তলিয়ে যেতে পারে শত শত ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মৎস ঘের।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি,এম মাছুদুল আলম বলেন , ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর গাবুরার ঝুঁকিপূর্ণ বাধগুলো আজও টেকসই হয়নি। ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধের কারণে আকাশে মেঘ দেখলেই উপকূলের মানুষের বুকের মধ্যে কাঁপন উঠে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার ভয়ে রাতে ঘুম আসেনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধে বড় ফাটল না দেখা দিলে তাদের পাওয়া যায় না। অতি দ্রুত ভাঙ্গনটি সংস্কার না করলে ৯নং সোরার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে।
Leave a Reply