আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রীট আবেদন করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক ৬ মাসের স্থগিতাদেশ ও ৬ সম্পাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে আদেশ দিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, গতবছরের ৭ নভেম্বর তিনি এ কলেজে যোগদানের পর থেকেই কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার, সরকারি কাজে বাধাপ্রদান, জাতীয় দিবসের অবমূল্যায়ন, দুটি ভুয়া পরীক্ষা দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, শিশু নির্যাতন, রাতের আধারে উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুরের কক্ষের নেমপ্লেট সরিয়ে নেয়া ও অবমূল্যায়নসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রভাষক জানান, তার কলেজের যোগদানের বিষয়টি নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তাকে ৭/১১/১৭ তারিখে আশাশুনি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বদলির আদেশ হলেও ৮/১১/১৭ তারিখে আবার জয়পুরহাট সরকারি কলেজে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে বদলীর পুনঃআদেশ করা হয়। কিন্তু তিনি জয়পুরহাটে যোগদান না করে ১১/১১/১৭ তারিখে আশাশুনি যোগদান করেন। তিনি আসার কিছুদিনের মধ্যেই কলেজে সরকারের যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ভেন্যুটি বন্ধ করে দেন। যার নিন্দা জানিয়ে উপজেলার পরিষদের সভায় রেজুলেশন করা হয়। মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনসিসিদের সঙ্গে নিয়ে জুতা পায়ে শহিদবেদীতে উঠে জাতির সাথে চরম ধৃষ্টতা দেখানো, গত বছরের জুন ও আগস্ট মাসে ভুয়া পরীক্ষা দেখিয়ে আদায়কৃত ২২ হাজার ৮’শ টাকা উত্তোলন করা, সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ডিড অফ গিফট এর চুক্তি ভঙ্গ করে মোখলেছুর রহমান ও সুলতানা তুরিনাজকে এমপিও ভুক্তির জন্য কাগজপত্র স্বাক্ষর দিয়ে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে প্রেরণ করা, পুথি নিলয় প্রকাশনির অবৈধ গাইড বই শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ৪০ হাজার টাকার বাণিজ্য করা, শিক্ষার্থীদের ক্রীড়ানুষ্ঠানের নাম করে টাকা তুলে অনুষ্ঠান না করা, যোগদানের পর থেকে কলেজের সরকারি কোয়ার্টারে থাকলেও কোন যথারীতি ভাড়া না দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বাড়িভাড়া বাবদ মোটা অংকের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ বেশ জোরেশোওে উঠেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে একটি আম গাছে ওঠার অপরাধে এক শিশুকে মারপিট করায় তার (অধ্যক্ষ) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুর বাদি হয়ে হাইকোর্টে ৩৯৩০/১৮ নং রীট পিটিশান করলে বিচারক তারিকুল হাকিম ও এম ফারুক এর যৌথ বেঞ্চ অধ্যক্ষের ৭/১১/১৭ তারিখের বদলি আদেশের প্রজ্ঞাপনটি ৪ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। সাথে সাথে ৪ সপ্তাহের মধ্যে উক্ত অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর রুল জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যোগদানের পর থেকে কলেজের অনেক পরিবর্তন আনতে কাজ করেছি। কলেজের কিছু শিক্ষক তাদের অবৈধ স্বার্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এধরের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
Leave a Reply