বেতনা, মরিচ্চাপ নদী খননে অনিয়ম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিনিধি : উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনদের পুর্নবাসন, মহাসড়কের পাশে বসবাসকারীদের বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। প্রাণ সায়েরের খাল, বেতনা, মরিচ্চাপ নদী খননে অনিয়ম বন্ধ, পরিবেশ দূষণকারী ইটাভাটা বন্ধ এবং টিআরএম চালু, ভূমিহীনদের তালিকা তৈরিতে ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দকে অন্তর্ভূক্তি করাসহ টেকসই ভেড়ীবাধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী।
জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, বাংলাদেশ দলিত পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি গৌর পদ দাশ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আলিনুর খান বাবলু, জেলা ভূমিহীন সমিতি সহ-সভাপতি শেখ শওকত আলী, যুগ্ম সম্পাদক শাহাজান আলী ছোট বাবু, মানবাধিকার কমিশনের শেখ ফারুক হোসেন, ভূমিহীন নেত্রী নাজমা আক্তার নদী, শাহিনা ময়না, শাহানারা খাতুন রিনা, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, জেলা ভূমিহীন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রেজাউল করিম রেজা, সাংবাদিক সেলিম হোসেন, তালা উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবল হোসেন, আজিজুর রহমান, শরিফা খান, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নদী ও খাল খননের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি কোটি টাকা লোপাট করে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা নদী কেটে খাল বানাচ্ছেন আর খাল কেটে ড্রেন বানাচ্ছেন। বার বার প্রতিবাদ করা হলেও কোন প্রতিকার নেই। সম্প্রীতি বেতনা ও মরিচ্চাপ খননেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের সাতক্ষীরা প্রাণ সায়র খাল খনন করার ১ বছর পূর্ণ হতে না হতেই আবারো খাল বুজে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এসব অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। টিআরএম চালু করতে হবে।
এছাড়া মহাসড়ক প্রশস্ত করনের জন্য সম্প্রতি মহাসড়কের ধারে বসবাসকারী অসহায় কায়পুত্র সম্প্রদায়সহ ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের বিকল্প স্থানে বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। মুজিববর্ষের ঘর প্রদানের তালিকা তৈরিতে ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দকে অন্তর্ভূক্তি করতে হবে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কতিপয় সরকারী কর্মকর্তাদের যোগসাজসে যে সব ইটভাটার কালো ধোয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। টায়ারের কারো ধোয়ায় পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পোড়ানো হচ্ছে মূল্যবান গাছ। সে সব ইটভাটা বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *