1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
৮ বৈশাখ, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন📰ধরা’র আয়োজনে “হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা” বিষয়ক আলোচনা সভা📰আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬  শিক্ষককে এডহক নিয়োগ📰রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা📰মাদকসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী আটক📰ফলোআপ নিউজ তালায় সেচপাম্পের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জীবন বিলকিস বেগমের!📰কুল্যায় ফিলিন্তিনদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ📰আনুলিয়ায় একশত পরিবারের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ📰আশাশুনির খাজরা হাট বাজারের  ইজারা গ্রহিতার সাব ইজারা হস্তান্তর📰সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক

আওয়ামী লীগ কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনা বরং রক্ষা করে

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৬১৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগ কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনা বরং রক্ষা করে। তিনি বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য কয়েকটি দেশের সমালোচনা করে উল্লেখ করেন যে, তারা খুনীদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত। 
তিনি বলেন,‘আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। অন্যদিকে তাঁর সরকারের বারংবার আবেদন সত্ত্বেও কিছু দেশ খুনীদের ফেরত না দিয়ে তাদের মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সারাদেশে বিভিন্ন কারাগারে ও ঢাকা সেনানিবাসের ফায়ারিং গ্রাউনেড সশস্ত্র বাহিনীর শত শত কর্মকর্তা ও সৈন্যদের হত্যা করার পাশাপাশি অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে গুম ও হত্যার সংস্কৃতির সূচনা করেছিল। 
নিহতদের স্বজনরা এখনও তাদের কাছের এবং প্রিয়জনের লাশ পায়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিএনপি এখন কোন মুখে গুম-খুনের কথা বলছে।
প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এবং এই দিনে বিএনপির কোন কর্মসূচি না থাকার প্রসংগ টেনে বলেন, যারা সেইদিন এই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে ডাক্তার, সাংবাদিক সহ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল সেই নিজামী থেকে শুরু করে যাদের আমরা বিচার করেছি এবং বিচারের রায়ও কার্যকর করেছি এদেরকেইতো খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছিল। এদেরকেইতো মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানিয়েছিল জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানানোর পর এরশাদ এসে আরো এক ধাপ উপরে উপদেষ্টা অথবা প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেটও বানালো, রাজনীতি করার সুযোগ দিল জাতির পিতার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত খুনীকে, সেই ফারুককে। 
তিনি বলেন, জাতির পিতার খুনী রশিদ ও ডালিম এখনও পাকিস্তানে পলাতক, খুনী রশিদ যে আমার সেজ ফুপুর বাড়িতে গিয়ে ৪ বছরের সুকান্ত থেকে শুরু করে আমার ফুপুকে গুলি করেছে, ফুফাকেও হত্যা করেছে, তিনজন ফুপাতো বোনকে হত্যা করেছে, ভাইকে হত্যা করেছে, সে এখন আমেরিকায়। বার বার তাদের কাছে আমরা অনুরোধ করছি ঐ আসামীকে আমাদের কাছে ফেরত দেন, সে সাজাপ্রাপ্ত আসামী, সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে তারা দেয়না। কারণ খুনীর মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা। অর্থ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারির মানবাধিকার রক্ষা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আর মেজর নূর যে সরাসরি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়েছিল সেই নূর এখন কানাডায়। কানাডা সরকারকে বারবার অনুরোধ করি তারা ফেরত দেয়না। খুনীদের মানবাধিকার রক্ষা করতে তারা ব্যস্ত। তাহলে আমরা যারা আপনজন ও স্বজন হারিয়েছি তাদের অপরাধটা কি? সেটা আমি জাতির কাছে জিজ্ঞাসা করি। বিএনপি বা জামাত যারা এদের জন্য হা পিত্যেশ করে কান্নাকাটি করে, তারা এর জবাব দিক।
তিনি বলেন, শুধু এখানে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। কত মানুষকে গুম করেছে। আমার ছাত্রলীগের মাহফুজ বাবুর লাশতো তার পরিবার পায়নি। নারায়ণগঞ্জের মনিরের লাশতো পায়নি। যুবলীগ নেতা চট্টগ্রামে মৌলভী সৈয়দকে দিনের পর দিন অত্যাচার করে মেরেছে, ঠিক সেইভাবে খসরু সহ আমাদের বহুনেতাকে দিনে পর দিন অত্যাচার করেছে। একেক জনকে অত্যাচার করে এমনভাবে ছেড়ে দিয়েছে বেশিদিন তারা আর বাঁচতে পারেনি।
তিনি বলেন, এই বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে একদম নিশ্চিহ্ন করার অপরাধ তারা করেছে। এদেশের স্বাধীনতা আমরা এনেছি। জাতির পিতা যদি স্বাধীনতা না আনতেন তাহলে ঐ মেজর জিয়া কি কোনদিন মেজর জেনারেল হতে পারতো বা তার পরিবার সেই স্ট্যাটাস ভোগ করতে পারতো, পারতোনা। ঐ মেজর থেকেই স্যালুট দিতে দিতে ঐ বুট ও পা ক্ষয় হয়ে শেষ হয়ে যেত। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। যারা আপনজন হারিয়েছে তারা জানে যে তারা কি হারিয়েছে। তারাওতো লাশ পায়নি। আর যারা পেয়েছে তাও গলিত লাশ, দেখার মত নয়।
আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন।
আরো বক্তৃতা করেন, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর রহমান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক শহীদ জায়া ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির।
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভাটি সঞ্চালনা করেন।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করে।
অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা.আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা. ফজলে রাব্বী, সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী,অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন,অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদ সহ আরো অনেককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd