অনলাইন ডেস্ক: ফুটবল বিশ্বকাপে ট্রফির জন্য লড়াই হচ্ছে কাতারে; কিন্তু বিশ্বকাপের ট্রফি রয়ে গেছে কলকাতার একটি মিষ্টির দোকানে! যা দেখতে আবার ভিড় জমাচ্ছেন ফুটবলপ্রেমী মিষ্টি ক্রেতারা। পড়ে অবাক লাগছে? কলকাতার এক মিষ্টির দোকানে সত্যিই দেখা গেছে বিশ্বকাপের ট্রফি! তবে সেটি আসল নয়; ক্ষীর দিয়ে তৈরি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে বহুতল ভবনের মতো দেখতে হলেও, পুরো ভবনজুড়ে রয়েছে একটি মিষ্টির দোকান। এটি শহরের প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলোর মধ্যে একটি। ক্রীড়া আয়োজন হোক কিংবা ধর্মীয়, যেকোনো বড় উৎসবে ব্যতিক্রম কিছু ঘটিয়ে সবার নজরে থাকার চেষ্টায় থাকে এ দোকান সংশ্লিষ্টরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
গোটা বিশ্ব কাঁপছে বিশ্বকাপ ফুটবল জ্বরে। এর মধ্যে কলকাতা ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি দেখলেও, ফুটবলপ্রেমীদের শহরটির বাসিন্দারা মশাবাহিত এ রোগকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না। তাদের কাছে এখন একটাই ‘সংক্রমণ’ – সেটা হচ্ছে ফুটবল।
আর এমন আবেগকে শতভাগ কাজে লাগাতে মিষ্টির দোকানে ক্ষীর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। শুধু তাই নয়, রয়েছে ক্ষীরের তৈরি মেসি-রোনালদোর মূর্তি; আছে ৩২ দেশের পতাকার রঙে রঙিন হরেক রকম মিষ্টি এবং সন্দেশও।
তবে ক্ষীরের তৈরি সেই ট্রফি মিষ্টির দোকানে সাজানো অন্য মিষ্টির সঙ্গে রাখা হয়নি। কোনো ফুটবল ভক্ত গিয়ে অর্ডার করলেই শুধু বানিয়ে দেয়া হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ ২০২২-এর ‘ক্ষীর ট্রফি’। একইভাবে বানিয়ে নেয়া যাবে পছন্দের খেলোয়াড়ের ক্ষীর মূর্তি, যেকোনো দেশের পতাকা কিংবা জার্সির রঙের মিষ্টি-সন্দেশ কিংবা ক্ষীর।
এ নিয়ে বলরাম মল্লিক ও রাধারমন মল্লিক সুইটমিটের মুখপাত্র কনক মুখার্জী সময় সংবাদকে জানান, যেকোনো বিশেষ আয়োজনকে তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন এবং সেই অনুযায়ী মিষ্টি তৈরি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার তৈরি করছেন ফুটবল বিশ্বকাপের ক্ষীর ট্রফি, যা এখন তাদের দোকানের বেস্ট সেলার মিষ্টি।
ভবানীপুরের বাসিন্দা সুমন সাহা বললেন, ‘আমি মিষ্টি খেতে পছন্দ করি। তবে এর চেয়ে বেশি পছন্দ ফুটবল খেলা। এই দোকানে এবার ক্ষীরের বিশ্বকাপ ট্রফি অর্ডার করেছি। বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন নেব। মজার সুরে তিনি বলেন, আসল কাপ যার ঘরেই যাক না কেন, আমার ঘরে যাবে বিশ্বকাপের ক্ষীরের ট্রফি।’
শুধু সুমন সাহা নন, ভবানীপুরের ওই মিষ্টির দোকানে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী অনেক ফুটবলপ্রেমী। তাদের সবার নজর বিশ্বকাপ ট্রফির আদলে তৈরি বিশেষ মিষ্টির দিকে। দোকান সংশ্লিষ্টরা জানালেন, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আরও ব্যতিক্রমী কিছু মিষ্টি নিয়ে হাজির হতে চান তারা।
Leave a Reply