1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
২ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts

সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৫৫৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

মশাল ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইনে ফের অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নেওয়া এমন একাধিক পরিবারের খোঁজ মিলেছে। তাদের দাবি, এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মগদের সশস্ত্র বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ছেড়ে মংডুর ক্যাম্পে নেওয়ার জন্য গত মাস থেকে পুরুষদের হত্যা ও নারীদের ওপর নিপীড়ন করা হচ্ছে।

পালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসাদের ভাষ্য, শাহপরীর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টায় বর্তমানে নাফ নদীর ওপারের ধংখালীর চরে কমপক্ষে ৮০০ রোহিঙ্গা পরিবার লুকিয়ে আছে। সুযোগ বুঝে তারা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা বলেন, দু-একটি নতুন পরিবার মিয়ানমার থেকে এসে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না।

বিজিবির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৭৮ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠায় বিজিবি। তাদের মধ্যে ১৩১ জন নারী, ৮১ শিশু ও ২৬৬ জন পুরুষ। আর চার রোহিঙ্গাকে থানায় দেওয়া হয়।

বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা তৎপর রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় সাত রোহিঙ্গার একটি দল। তারা সবাই রাখাইনের বুথেডং গ্রামের বাসিন্দা। এই দলের সদস্য দিলদার বেগম বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও মগরা নতুন করে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তারা আমাদের এখান থেকে মংডু চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় আমার স্বামী শহীদুল্লাহকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলেছে। আমার মতো অনেকের ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। প্রাণ ভয়ে তিন মাসের সন্তান নিয়ে ১১ দিনের মাথায় টেকনাফে পৌঁছেছি। পরে সেখান থেকে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছি।
একই ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া আবুল ওয়াফা বলেন, মগ ও সেনারা নতুন করে জুলুম-নির্যাতন করছে। এ জন্য পালিয়ে এসেছি। তারা লড়াইয়ের কথা বলে আমাদের গ্রাম থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। এখন সীমান্তের ধংখালীর চরে ৮০০-৯০০ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তারাও এপারে আসার চেষ্টায় আছে। মিয়ানমার সরকার নাকি মংডু টাউনশিপে ক্যাম্প করে সব রোহিঙ্গাকে সেখানে রাখার পরিকল্পনা করেছে।

শরণার্থী শিবিরের কর্মকর্তারা বলছেন, রাখাইনে মাসখানেক ধরে সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে সীমান্ত এলাকায়। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। তবে যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার করেছে।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, মিয়ানমারের যেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাস, তার খুব কাছে বাংলাদেশ। ফলে সেখানে জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিতের আশঙ্কা দেখা দিলেই তারা সবার আগে বাংলাদেশে, পরে ভারত, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তবে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হবে।

৮-এপিবিএনের অধিনায়ক আমির জাফর জানান, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন চালায়। সে সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। আগে আসা রোহিঙ্গাসহ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ঠাঁই হয় উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd