সিজম্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শিবপুর ইউয়িনের জগন্নাথপুর গ্রামের নাশকতা মামলার আসামীর পুত্র কর্তৃক প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের প্রত্যায়ন দেখিয়ে সহকারী জজ পদে চাকুরি নেয়ার পর এলাকার নিরিহ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এসময় গ্রাম বাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নজরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগের পরিবারের সদস্য। অথচ অত্র এলাকার শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়া তার দুই ভাই আরাবুল ইসলাম ও জুলফিকার আলী ইউনিয়ন যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন। তার আপন চাচাতো ভাই জুয়ের হোসেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলাও রয়েছে। শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে জ¦ালাও পোড়াও এর সাথে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়। যার মামলা নং- ৫০৪/১৫। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি শহীদুল ইসলামের বড়পুত্র আজহারুল ইসলাম সোহাগ তথ্য গোপন করে নিজেকে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে একটি প্রত্যায়নপত্র ম্যানেজ করেন। ওই প্রত্যয়নপত্র দেখিয়ে সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। এরপর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শহীদুল ইসলাম ও তার পুত্র আজহারুল ইসলাম সোহাগসহ তাদের পরিবার। সোহাগের বর্তমান কর্মস্থল খুলনাতে হওয়ায় প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে নিজের পরিবারের সদস্য এবং জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। অন্যয়ভাবে এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষদের অত্যাচার করেন। তুচ্ছ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে মারপিটসহ নানান ভাবে হয়রানি করেন। এমনকি অত্র এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অজয় কুমার সরকার ও মহাদেব চন্দ্র বালাকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তার সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছে তুচ্ছ ঘটনায় অজয় ও মহাদেবের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বর্তমানে অজয় কুমার ও মহাদেব চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। গ্রামবাসীর ব্যবহৃত অন্যের পুকুর তার পরিবার কর্তৃক জবর দখল করে পরিবেশ দূষণ ও গবাদী পশুর মলমুত্র ফেলে নষ্ট করছেন। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি পবিত্র ঈদ উল আযহার নামাজ শেষে আজহারুল ইসলাম সোহাগের উপস্থিতিতে তুচ্ছ ঘটনায় অসহায় মুসুল্লীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে তার চাচা আরাবুল ইসলাম, আয়ার আলী, ভাই মাহবুবুল ইসলামসহ অনেকেই। বর্তমান তার ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে গ্রামবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তার চাচা জুলফিকার আলী ভোটে পরাজিত হওয়ায় তারা এলাকাবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। এই ক্ষোভের জেরে সোহাগ সহকারী জজ পদে চাকুরি পাওয়ার সাথে সাথে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। তার বশ্যতা শিকার না করায় জলিল নামের এক ব্যক্তিকে হয়রানি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে এসময় তারা ওই জামায়াত পরিবারের আজহারুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান, অজয় কুমার সরকার, আব্দুল আলিম, মোহাম্মদ সায়েম, মাসুম বিল্লাহ, কামরুজ্জামান, শরিফুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা একই দাবী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারক লিপি পেশ করেন। এর আগে তারা সাতক্ষীরা প্রেসকøাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচিও পালন করেন।
Leave a Reply