শহর প্রতিনিধি: পৈতৃক সূত্রে পাওয়া আমার ৩১ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক জবর দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর ফারাহ দীবা খান সাথী। এ ব্যাপারে আমি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা করি। আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এ মামলা এখনও বিচারাধীন। এ নিয়ে আমি দেওয়ানি আদালতে আরেকটি মামলা করি। সেটিও বিচারাধীন। বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ফারাহ দীবা খান সাথী জমিতে জোর পূর্বক প্রবেশ করে আমার গাছ গাছালি কেটে সাবাড় করে দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শহরতলির রসুলপুর খাঁ পাড়ার লিয়াকত আলি খানের স্ত্রী ইরা খান। তিনি জানান, ওই জমিতে তিনি দীর্ঘদিন ভোগদখলে আছেন। গত ৯ মার্চ সকালে ফারাহ দীবা খান সাথী তার লোকজন নিয়ে কুড়াল, করাত, দাসহ জমিতে এসেই একের পর এক গাছ কেটে ফেলতে থাকেন। তিনি ৪৪ টি মেহগনি, দুটি ফলবান কাঁঠাল গাছ, তিনটি আম গাছ এবং দুটি শিশু গাছ কেটে নেন। বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপর তারা চড়াও হয়। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।
ইরা খান বলেন, এ বিষয়ে তিনি আদালতে ১৪৫ ধারার মামলা করেন। আদালত বিবাদিকে জমিতে প্রবেশে নিষেধ করেন। এছাড়া সিভিল কোর্টে এ্যাডভোকেসি তদন্ত চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু ফারাহ দীবা খান সাথী তাদের জমিতে ঢুকতে দেননি। এমনকি মাপ জরিপও করতে দেননি। তিনি মিউটেশনের ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ সিভিল কোর্টে মামলা চলাকালে কোনো মিউটেশন হয়না।
সংবাদ সম্মেলনে ইরা খান আরও বলেন, এখানেই শেষ নয়। ফারাহ দীবা খান সাথী আমার ছেলে সাদাব খান, মেয়ে সুরভী খান, আমার স্বামী লিয়াকত আলি খান এবং আমার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় জিডি করেছেন। এ নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে রিপোর্ট করাচ্ছেন। অপরদিকে আমি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
ইরা খান এর প্রতিকার দাবি করেন এবং প্রতিপক্ষ যাতে কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply