শনিবার এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই সহযোগিতার সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কারণ যেসব ভিত্তির ওপর বিশ্ব ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে সেই ভিত্তিগুলোকে পশ্চিমারাচরমভাবে অবমাননা করছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যবস্থাকে কীভাবে আরও ভালো করে পরিচালনা করা যায়, দুই বড় শক্তি হিসেবে আমাদের সেটা ভাবার দরকার আছে।’
ইউক্রেন ইস্যুতে শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস জানায়, প্রায় দুই ঘণ্টার ফোনালাপে রাশিয়াকে চীনের সমর্থন ও সহযোগিতার ‘পরিণতি’ সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, এই কথোপকথনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এসব হুঁশিয়ারি কানেই নেননি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বরং ইউক্রেন নিয়ে বাইডেনকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।
জিনপিং বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক সামরিক সংঘাতের পর্যায়ে যেতে পারে না। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মাধ্যমে কারও স্বার্থ হাসিল হয় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি ও নিরাপত্তা সর্বাধিক কাঙ্ক্ষিত বিষয়।’
এদিকে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত জৈব গবেষণাগার নিয়ে রাশিয়ার উপস্থাপিত নথিপত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটনের স্পষ্ট জবাব চেয়েছে চীন। জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন বলেছেন, এসব নথিপত্র বিশ্বের মনোযোগ পাওয়ার উপযুক্ত এবং এতে যাদের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে তাদের এই উদ্বেগজনক বিষয় নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, ইউক্রেনের বিভিন্ন গবেষণাগার থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরতে নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবার একটি বৈঠক আহ্বান করে রাশিয়া। ওই বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূত জুন বলেন, ‘(দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে) রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্রের ক্ষতির শিকার হওয়া চীন মনে করে অপূরণীয় ক্ষতি এড়াতে জৈব সামরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যউপাত্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগ ও মনোযোগের কারণ হওয়া উচিত।’
Leave a Reply