ক্রীড়া ডেস্ক: ভারতের কলকাতায় অ্যাওয়ে ম্যাচে আগে গোল করেও শেষ মুহূর্তে ড্র করতে হয়েছে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ লড়াকু পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে এবার বাকি তিন ম্যাচের প্রথমটিতেও আফগানদের বিপক্ষে ছিল লড়াকু মনোভাব। সেই লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়েই আগামীকাল সোমবার আরেক শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে জেমি ডের দল। তবে তার আগেই ভারতের ক্রোয়েশিয়ার কোচ ইগর স্টিমাচের সমীহ আদায় করে নিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। এই ৫৩ বছর বয়সী ক্রোয়াট কোচের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ দুর্দান্ত এক লড়াকু দল। কলকাতায় অ্যাওয়ে ম্যাচে যেভাবে বাংলাদেশকে ‘হালকা ভাবে’ নেওয়া হয়েছিল তেমনটি এবার হচ্ছে না। সেই ম্যাচের পর থেকে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই বদলে গেছে। কাতারের দোহাতে ম্যাচের আগে ভারতের ক্রোয়াট কোচ সমীহর সুরে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ লড়াকু মনোভাবের দল। মানসম্মত খেলার মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছে। আবার আমি যদি ফুটবল বিশ্বের কথা বলি। তারা একটা বিরক্তিকর দল হিসেবে খেলছে। যারা প্রতিপক্ষকে খেলতে সমস্যায় ফেলে। অধিক রক্ষণাত্মক খেলে কোয়ালিটি কাজ ও কিছু ব্লক তৈরি করে প্রতিপক্ষকে বিরক্ত করে। ঠিক যেমন কাতারের বিপক্ষে আমরা খেলেছি।’ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে পয়েন্ট পেতে হলে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ক্রোয়াট কোচের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে কিছু পেতে হলে সবকিছু সম্ভব করতে হবে। প্রতিপক্ষকে বিরক্ত করতে হবে। সমস্যায় ফেলতে হবে। পাসিংগুলো করতে দেওয়া হবে না। এজন্য বাংলাদেশ লড়াই করে যাচ্ছে প্রতিটা পয়েন্টের জন্য। তারা যাই করুক না কেন একটি দল হিসেবেই খেলছে।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে চাইছেন ভারতীয় কোচ। এই ম্যাচটিকে ‘বিগ ম্যাচ’ হিসেবে বলতে ভুল করলেন না। বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের বিগ ম্যাচ। সমর্থক ও দলের জন্য। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে জয়ের জন্য। প্রতিপক্ষকে অসম্মান না করে আমাদের লক্ষ্য আগের মতোই। আগে যা ছিল এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করা। সেই লক্ষ্যে আছি। তবে এর জন্য আমাদের সবকিছুতে দখল থাকতে হবে।’ এই ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের থেকে এক জায়গায় আগেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। জামাল-মতিনরা প্রিমিয়ার লিগ খেলে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলছে। অন্যদিকে, ভারতীয় দল ফেব্রুয়ারির পর থেকে কোনও প্রতিযোগিতার মধ্যে নেই। তাই তো ইগর স্টিমাচ বলেছেন, ‘কাতার ও বাংলাদেশের ম্যাচের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। একটা থেকে আরেকটা ভিন্নতর। প্রথম ম্যাচটি আমরা এশিয়ার সেরা দলের বিপক্ষে খেলেছি। আমাদের চেয়ে অনেক ওপরে। আমরা মাত্র ৮ দিন অনুশীলন করছি। বাংলাদেশও আমাদের মতো অবস্থায় ছিল। তবে তাদের সুবিধা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলার জন্য ফিট। তাদের সিজন শেষ হয়েছে মে’তে। আর আমরা ফেব্রুয়ারি থেকে কোনও খেলার মধ্যে নেই
Leave a Reply