1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত📰পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ!প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি📰জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

২১ জুন তালা ও কলারোয়ায় ইউপি নির্বাচন: করোনাকালে ভোট নিতে অনড় ইসি: জেলা প্রশাসনের আপত্তি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ৬ জুন, ২০২১
  • ১২৩১ সংবাদটি পড়া হয়েছে


মশাল ডেস্ক: তালা- কলারোয়া সহ স্থগিত হওয়া প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের পরিবর্তীত তারিখ আগামী ২১ জুন। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠানে সায় নেই জেলা প্রশাসনের। সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ইতোমধ্যে কমিশনকে অবহিতও করেছে জেলা প্রশাসন। তবে ভোট নিতে অনড় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট অনুষ্ঠানের আদেশ দিয়ে রবিবার (৬ জুন) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকসহ ইসি মাঠ প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন গত ২ জুন কমিশন সভা করে স্থগিত তালা- কলারোয়ার ২১ টি সহ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে ২১ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে। ওইদিন কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব খন্দকার আনোয়ারুল কবীর সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্থগিত এসব ভোট অনুষ্ঠানের তারিখ জানিয়ে ওইদিনই আদেশ জারি করার কথা জানান তিনি।
সূত্রে জানা গেছে, স্থগিত তালা- কলারোয়ার ২১ টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের আদেশ রবিবার জেলা প্রশাসনে পৌঁছেছে। যদিও চিঠিটি ৩ জুনের তারিখে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ই-মেইল ও ইসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা পৌঁছে যায়। জেলা প্রশাসন প্রশাসন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের তার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে সরকারি বিধি নিষেধের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে থেকে লকডাউন ঘোষণার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা পর্যবেক্ষণ করে চারদিনের মাথায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য চিঠি পাঠানো হলেও মাঠ প্রশাসন থেকে নির্বাচনের পরিবেশ বিষয়ে যেসব লিখিত বা মৌখিক চিঠি এসেছে তা ফাইল আকারে কমিশনে তোলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কমিশন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে তা-ই বাস্তবায়ন হবে।
নির্বাচন কমিশনের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- ভোট নিয়ে তাদের মধ্যেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। তারা বলেন, নির্বাচন হলে প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লকডাউন এলাকায় কীভাবে প্রচারণা চলবে সেটাও প্রশ্ন রয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার একাধিক সংসদ সদস্য পরিস্থিতি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখার জন্য জেলা প্রশাসককে আগেই অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের জেলার যেসব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে, তার সবগুলো নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল নয়। বিশেষ করে কলারোয়া উপজেলার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভালো নয়। সেখানে পরিবেশ অনুকূল নয় মর্মে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, ২১ জুন তারা ভোট করবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্ত জানার পর আমাদের তো কথা থাকতে পারে না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক মাধব রায় বলেন, এখন পর্যন্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। যার কারণে এ সংক্রান্ত আদেশ মাঠ প্রশাসনে পৌঁছে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, কয়েকটি জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। বর্ডার এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক বলে তারা জানিয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের চিঠি ফাইল আকারে তুলেছি। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মাঠপ্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব বলেন, স্থানীয় প্রশাসন সাতক্ষীরার কলারোয়া ও বাগেরহাটের মোংলায় সমস্যার কথা জানিয়েছে। পরিস্থিতি এমন হলে বেশি সংক্রমণ এলাকার ভোট স্থগিত রেখে অন্যগুলো হয়তো হতে পারে। অবশ্য এই বিষয়ে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কমিশন আগে থেকেই দ্বিধা বিভক্ত ছিল। যার কারণে পরপর তিনটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সর্বশেষে ২ জুনের বৈঠকে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে পাঁচজন কমিশনার এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কবিতা কবিতা খানম ভোট অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দেন। অপরদিকে কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় ভোট গ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নেন। কমিশনার মাহবুব তালুকদার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্নে প্রথমে নিরপেক্ষ থাকলেও শেষ সময় সিইসির মতের পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে ৩/২ ভোটে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd