1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
৮ পৌষ, ১৪৩১
Latest Posts

বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে : খালেদা জিয়া

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭
  • ৯৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে

এসবিনিউজ ডেস্ক : চক্রান্তের চোরাগলি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী জোট আবারও অর্জিত গণতন্ত্রকে ভূগর্ভে সমাহিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি মন্তব্য করেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠার দিবসকেগণতন্ত্র হত্যা দিবসউল্লেখ করে তিনি বাণী দেন।

বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, অলীক স্বপ্নে আওয়ামী লীগ শুধু গণতন্ত্রই নয়দেশের ঐক্য, সংহতি সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনোই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। ফলে নব্য বাকশালী জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চেপে বসা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, এদের ঐতিহ্যই হচ্ছে গণতন্ত্র মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন করা। তাই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে ভরাডুবির বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।

বিএনপি প্রধান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে প্রধানমন্ত্রীকে একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে তার ওপর একক কর্তৃত্ববাদী নির্দয় শাসনের ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এখন সর্বত্রই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দখলবাজদের  জয়জয়কার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রণেতারা জনগণ, রাষ্ট্র গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা, আশ্রয়, পেশা, ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু এখন নৈরাজ্যের করাল গ্রাসে নিপতিত।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার  চিরস্থায়ী ক্ষমতার বন্দোবস্ত করতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থাবাকশালকায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে। এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক, ব্যক্তি, চলাচল সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত টি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়।  দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে তারা ভূলুন্ঠিত করে। সমাজে ভয়াবহ নৈরাজ্য ছড়িয়ে দেয়।

 

 

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd