আশাশুনি থানা চত্বরে বক ও পানকৌড়ির মিলন মেলা


আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি থানা চত্বর ও বাজার সড়ক দিয়ে হেঁটে যেতে হাজারো পাখির কলকাকলি যেকোনো পথচারীর মনোযোগ কাড়বে। সূর্য ওঠার আগে থেকে শুরু হওয়া এই পাখির কিচিরমিচির সন্ধ্যায় আরো বেড়ে যায়। থানার আশপাশে দাঁড়িয়েই একটু উপরে তাকালেই চোখে পড়বে থানা চত্বরে ভিতর বেড়ে ওঠা অনেকগুলো মেহগনি গাছ ও তাল গাছ জুড়ে বসেছে হাজারো বক ও পানকৌড়ি পাখির মেলা। প্রথম দেখায় মনে হবে সাদা কাশফুল যেন ছড়িযে ছিটিয়ে আছে পুরো গাছটি জুড়ে। এ ছাড়া আশপাশের আরো কয়েকটি গাছের ডালে রয়েছে বক ও পানকৌড়ি পাখি যাহা খূবই দৃষ্টিনন্দন এবং যেটা দেখে মানুষের মাঝে মুগ্ধতা ছড়ায়। প্রতিবছর এই মৌসুম এলেই থানায় বসে বক ও পানকৌড়ি পাখির মেলা। কিন্তু এই বছর থানা পুলিশের সতর্ক নজরদারী আর তার ভালোবাসায় হাজার হাজার পাখি দীর্ঘ সময় ধরে থানা চত্ত্বরে অবস্থান করছে। কোনোভাবেই যেন পাখি শিকার করা না হয় সে ব্যাপারেও পুলিশ সদস্যবৃন্দ সবাই সজাগ। দেখা গেছে সারাদিন এই গাছগুলোতে শুধু পাখির ছানারাই অবস্থান করে। আর দিনের মাঝে মাঝে মা পাখিরা মাছ শিকার করে ঠোঁটে করে তার ছানাদের খাওয়াতে আসে। মূলত সন্ধ্যার সময় পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। তখন পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে আরো বেশি মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো থানা এলাকা। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির জানান, আমি থানায় যোগদান করার পরে দেখেছি অল্প কিছু বক ও পানকৌড়ি থানা চত্বরের ভিতরে হেমগনিগাছে এসে বাসা বাঁধতে। এবং ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়ে বাড়তে থাকে বক ও পানকৌড়ির সংখ্যা। এখন হাজারেরও বেশি পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মাঝেমধ্যে ছোট ছোট বাচ্চাগুলো গাছ থেকে নিচে পড়ে যায় তখন সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাগুলোকে পুনরায় আবার গাছের বাসায় উঠিয়ে দেওয়া হয়। উপজেলার মানুষেরা যেমন নিজেই পাহারা দিয়ে রেখেছি ঠিক তেমন পাখিগুলোকেও নজরদারিতে রাখছি যেন তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *